এই প্রবন্ধটি লিবিয়া গণজাগরণ-২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস নামক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে লিবিয়া ১-০ গোলে মোজাম্বিককে পরাজিত করেছে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনের পতনের পর লিবিয়ার, কোন ফুটবল খেলায় এটাই প্রথম জয়। মুক্ত লিবিয়া যখন প্রথম কোন খেলায় জয়ের স্বাদ লাভ করল, তখন সেই ঘটনায় টুইটার গুঞ্জনে ভরে গেছে।
@ইবনেওমর২০০৫: খেলা খতম! # এক মুক্ত জাতি হিসেবে লিবিয়া প্রথম কোন খেলায় জয়লাভ করল!
খেলা চলার সময়, মিশরে ফুটবল খেলা ইসমাইল জামরিল, যিনি চেঞ্জইনলিবিয়ার পেছনে কাজ করেছিলেন, তিনি আমাদের গাদ্দাফির সময়ে ফুটবলের উপর আরোপ করা এক কুখ্যাত আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন:
@চেঞ্জইনলিবিয়া:আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি লিবিয়া টিভির ধারাভাষ্যকারদের মুখে ফুটবল খেলোয়াড়দের নাম শুনতে পাচ্ছি-যা গাদ্দফির সময় যা উচ্চারণ করা শতভাগ অবৈধ ছিল#লিবিয়া
এছাড়া তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন :
@চেঞ্জইনলিবিয়া : লিবিয়ার যে সব ফুটবলাররা আজ মোজাম্বিকের যে দলটিকে পরাজিত করেছে, তাদের বেশীর ভাগই মাত্র সপ্তাহখানেক আগে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখ সারিতে ছিল#লিবিয়া
ইবনে ওমর, ত্রিপলিতে খেলা দেখছে এ রকম একটি লিবীয় পরিবারের ছবিটি আমাদের প্রদর্শন করেছে:
@ইবনেওমর ২০০৫: #লিবীয় পরিবার #ত্রিপলিতে খেলা দেখছে। সেই পরিবারের যদি আমি এক সদস্য হতাম, তাহলে আমি বেশ কয়েকবার স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতাম, দারুণ ব্যাপার (হাসি)yfrog.com/nybqosj
এই জয়ের ফলে ত্রিপলি জুড়ে তা উদযাপন করার জন্য গুলি ছোঁড়া হয় এবং সারা লিবিয়া জুড়ে নানা ভাবে তা উদযাপন করা হয়।
লিবিয়া-হোররা সংবাদ প্রদান করছে:
@ লিবিয়া_হোররা : এইমাত্র #ত্রিপলিতে বাস করা এক বন্ধুকে ফোন করেছিলাম, সে বলল যে এই শহর এখন উদযাপনের জোয়ারে ভাসছে, সকল প্রকার উদযাপন, যার ভেতর বন্দুকের গুলি ছোঁড়াও রয়েছে। এতে আপনি হয়ত ভাবতে পারেন যে আবার বুঝি লড়াই শুরু হল।
আক্রাম, যিনি ত্রিপলি থেকে ফ্লাইংবার্ডস নামে টুইট করে থাকে, সে উল্লেখ করেছে:
@ফ্লাইংবার্ডস: এখন আমাদের আতশবাজির প্রয়োজন। দয়া করে আর বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে উদযাপন করবেন না 🙁 #লিবিয়া #ফুটবল
বেনগাজিতেও উদযাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, যেখান থেকে কেলভিন ব্রাউন টুইট করেছে:
@কেলভিনব্রাউননিউজ: লিবিয়ার ফুটবল দল যখন কাপ অফ নেশনস নামক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে মোজাম্বিকের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে, তখন বেনগাজি যেন উন্মাদ হয়ে গেছে।
ত্রিস্তান রেডম্যান নামক আল জাজিরা ইংলিশ টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে:
@ত্রিস্তানএজেই: কায়রোতে অনুষ্ঠিত খেলায় #লিবিয়া জেতার ফলে বেনগাজি উন্মত্ত হয়ে গেছে। যদি আপনি আজ রাতে বাইরে যেতে চান, তাহলে মাথায় হেলমেট পড়ে বের হবেন। চারপাশে প্রচুর গুলি ছোঁড়া হচ্ছে।
সেপ্টিমিনাস-সেভার বলেছেন যে এমনকি গাদ্দাফিও, ত্রিপলির এই উৎসবের মজা না নিয়ে যেতে চাইছেন না, এবং সে এই ছবিটি পোস্ট করেছে:
এদিকে, শাবাব লিবিয়া, যা কিনা লিবিয়ার যুব আন্দোলনের টুইটার একাউন্ট, সেখানে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় জয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
@শাবাবলিবিয়া: ২০১২ সালে অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে এখন লিবিয়াকে অবশ্যই জাম্বিয়াকে পরাজিত করতে হবে।#
em> এই প্রবন্ধটি লিবিয়া গণজাগরণ-২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।