লিবিয়াঃ ত্রিপলির মুক্তির যুদ্ধ

এই প্রবন্ধটি লিবিয়ার গণজাগরণ ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

২০আগস্ট, ২০১১-এ আল্লাহ আকবর (আল্লাহ মহান!) ধ্বনির মাধ্যমে ত্রিপলির মুক্তির যুদ্ধ শুরু হয়, যার নাম মার মেইড ডাউন। ত্রিপলিতে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মসজিদ থেকে এই আওয়াজ উচ্চারিত হয়। এটা ঐক্যমতের এক সঙ্কেত যে, ত্রিপলির বাসিন্দারা এক ব্যক্তির হাত থেকে মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে, যার অভিব্যক্তি শয়তানীতে পুর্ণ। এই আহ্বানের মধ্যে দিয়ে এই ঘটনায় সবার অংশগ্রহণ এত দ্রুত ঘটেছে যে তা ছিল এক শ্বাসরুদ্ধকর বিষয়।

এই মহাকাব্যিক লড়াই-এর সময় ঘটা গন্ডোগোলের ঘটনা আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যম ভালোভাবে তুলে ধরেছে, বিশেষ করে যখন পরের দিন বিদ্রোহীরা ত্রিপলিতে প্রবেশ করে।

Libyans fight to free Tripoli. Image by Patriots of Misrata, copyright Demotix (23/04/11).

লিবিয়ার নাগরিকরা ত্রিপলি শহর মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছে। ছবি প্যাট্রিওট অফ মিসরাতারা, কপিরাইট ডেমোটিক্সের (২৩/০৪/১১).

কিন্তু ত্রিপলির যুদ্ধে একজন ব্লগারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় ঘটিয়েছে, যা আমার টুইটারের সমসূচিতে দেখা যাবে। ২১ আগস্টের সন্ধ্যায় এ.এ্যাডাম (ফ্লাইং বার্ডস) নামের একটি টুইটারকারী এক টুইটে প্রজ্বলিত হয়ে ওঠে। এ. এ্যাডামের একটি ব্লগ রয়েছে যার নাম ফ্লাইং বার্ড, দুর্ভাগ্যক্রমে এটি এখন উধাও হয়ে গেছে, তবে অনলাইনে তার একাউন্ট এখনো রয়ে গেছে

তার বার্তা দৃশ্যমান হবার মানে হচ্ছে ত্রিপলি আবার ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়েছে এবং তা সঠিক এক সংবাদ ছিল, কারণ এর সাথে সাথে আলজাজিরা তাজা সংবাদ হিসেবে এই সংবাদ প্রদান করেছে।

A.Adam's first tweets from Tripoli

ত্রিপলি

এটা একটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি যে বেশ কয়েক মাস পরে ত্রিপলির জনতা আবার বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হতে পেরেছে এবং তাদের আবেগ, চিন্তা এবং মতামত প্রকাশ করতে পারছে। আমি মনে করি বিশ্ব এই ঘটনার উন্য অপেক্ষা করছিল; ত্রিপলিবাসীর আওয়াজের অপেক্ষায়।
অবিশ্বাস্য ভাবে এই ঘটনার পর ব্লগাররা যোদ্ধা বেশে বের হয়ে আসতে শুরু করে,, লম্বা এক বিরতির পরে তারা তাদের প্রথম পোস্ট প্রকাশ করা শুরু করে

তারা ছিল পুরোপুরি উদ্দাম এবং সুখী, এই কারণে যে এক দুঃস্বপ্নের কালের ইতি ঘটছে কিন্তু একই সাথে লিবিয়ার নাগরিক এবং আত্মীয়দের প্রাণহানিতে তারা বেদনার্ত ।

ব্লগার এমা কুড অনলি মুস্টার বলছে:

কোন শব্দ যথেষ্ট নয়, আমাদের কেমন লাগছে তা ব্যক্ত করার জন্য কোন শব্দ যথেষ্ট নয়। স্বাধীনতা।

খাদিজাতেরি-এর কাছে বিষয়টি অবিশ্বাস্য :

এটা ছিল ছয় মাসের লম্বা এক কঠিন সময়, কিন্তু আমি তা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছি। ইন্টারনেট আবার চালু হয়েছে এবং ধীরে ধীরে জমে থাকা ২০০০ মেইল-এর উত্তর দিচ্ছি।

ব্লগার পুডিং অফ কিলমানিব্বি বলছে [আরবী ভাষায়]:

و أخيراً ثوار طرابلس فتحولنا النت، نقدر ندون مرة أخرى … و بعد تهنئة الجميع على تحرير ليبيا، حاب نعلق على ادراجي اللي فات
এবং অবশেষে ত্রিপলির বিদ্রোহীরা/ বিপ্লবীরা আমাদের জন্য পুনরায় ইন্টারনেট চালু করেছে এবং আমি আবার ব্লগ করতে পারি। আমি লিবিয়ার মুক্তির জন্য লড়াই করা সকলকে অভিনন্দন জানাতে চাই এবং আগের পোষ্টে মন্তব্য চলছে।

ত্রিপলির পতনের পর পুডিং তার ব্লগে (এটা পরিষ্কার নয় তিনি ছেলে না মেয়ে) লেখা প্রথম পোস্টের আগের এক পোস্টে কোরানের আয়াতের উদ্ধৃতি প্রদানের একটি বিষয়ে আলোচনা করেছে। এর মধ্যে দিয়ে তাঁর পাঠকরা ধারণা করেছিল যে এই লেখা পোস্ট করা হয়েছে, কারণ ব্লগার লিবিয়ায় বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।

এটা এমন একটা বিষয়, যা আমরা সামনে আরো দেখতে পাব, যদি আমরা একবার লিবিয়ার বিষয়ে মতামত শুনতে শুরু করি এবং এটি নির্ভর করছে লিবিয়ায় ন্যাটোর পরিকল্পনা কি তাঁর উপর।

লিবিয়ার নাগরিকেরা স্বাধীনভাবে কথা বলছে বিষয়টি দেখতে ভালো লাগছে।

এবং উপসংহারে আমরা লিবিয়ার ব্লগে গিয়ে লিবিয়ান ভায়োলেটের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শেষ করব।

এখনই সব কিছু শেষ হয়নি, আমাদের এই মহান রাষ্ট্রের কিছু অংশে (আর এখানে যে বিশেষণ তা একেবারে এর সাথে খাপ খায়, কারণ এখনো আমাদের দেশকে মুক্ত করার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন। এখানো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পুর্ণভাবে ঠিকঠাক হওয়া প্রয়োজন, যেখানে শহীদদের এখনো করব দেওয়া প্রয়োজন, বন্দীদের মুক্ত করা, আহতদের চিকিৎসা করা প্রয়োজন এবং শিশুদের নিশ্চয়তা প্রয়োজন! তবে আমি আশাবাদী যে যুদ্ধের কঠিন অংশের পরিসমাপ্তি হয়ে গেছে।

আবেগের যে বর্ণচ্ছটা তা ছিল চমৎকার এবং আশা করি যে এবার বেশী বেশী লোক ব্লগিং করতে শুরু করবে।
এই প্রবন্ধটি লিবিয়ার গণজাগরণ ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .