- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরান: লিবিয়ায় ইসলামের পুনঃজাগরণ নাকি ন্যাটোর জয়?

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, লিবিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নাগরিক মাধ্যম, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ

এই প্রবন্ধটি লিবিয়া গণ জাগরণ-২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]

ইরানের নাগরিকরা গভীর মনোযোগের সাথে লিবিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর [2] উপর নজর রাখছে, এবং এখানকার সাইবার স্পেস মন্তব্য, পোস্ট এবং টুইটে ভরে গেছে।

এদিকে যখন ইরানের কিছু কর্মকর্তা এবং কূটনীতিবিদ এই ঘটনাকে “ইসলামের পুনঃজাগরণ” হিসবে অভিহিত করছে, সে সময় ইরানের ব্লগার বেদনে অনভান একটি ছবি প্রকাশ করেছে [3], এতে দেখা যাচ্ছে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে পতাকাকে চুমু খাচ্ছে: ” পরিহাসক্রমে এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে” ইসলামের পুনঃজাগরণ !”

আনাদিশেলিখেছে [4][ফার্সী ভাষায়]:

এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে ন্যাটো যে গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে তা লিবিয়ার জনগণের জন্য ভালো হবে কি না। তবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, ন্যাটোর সাহায্য ছাড়া লিবিয়ার এই স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা অসম্ভব। আমার মতে, যে স্বৈরশাসক তার নিজের জনতাকে খুন করে এবং কাল্পনিক যে কোন ধরনের অপরাধ করতে পিছপা হয় না, শক্তিশালী কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা সম্ভব নয়।

[5]

২০ মার্চ, ২০১১-এ লিবিয়ায় তার অভিযান শেষে রয়াল এয়ার ফোর্স টাইফুন নামক বিমান বাহিনীর বিমান। ছবি ন্যাটোর ফ্লিকার পাতা থেকে নেওয়া হয়েছে (ফেয়ার ইউজেজ বা সীমিত অনুমোদন)

বামদাদি তার পাঠকদের একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে [6]: ” আফ্রিকার মধ্যে কোন রাষ্ট্রটি মানব উন্নয়ন তালিকায় সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জন করেছে?” এই প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য একটি লিঙ্ক [7] যুক্ত করা হয়েছে: আর সেই দেশটির নাম লিবিয়া [8]! ব্লগার এর সাথে যোগ করেছে, “আর অবশ্যই, তা ছিল গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে” আরেকটি পোস্টে, বামদাদি বলছে [9] [ফার্সী ভাষায়]:

ন্যাটো এবং পশ্চিমা বাহিনী লিবিয়ায় একটা নতুন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে সফল হতে যাচ্ছে, আমি বুঝতে পারি না কেন এই ঘটনায় অনেক ইরানী আনন্দিত? … হয়ত তারা মনে করে যে একটা নতুন ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী মানে স্বাধীনতার দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া? নিশ্চিত ভাবে বলা যায় তার মজা করছে, যে সব দেশ লিবিয়ায় বোমা বর্ষণ করেছে তারা সেটি বিশ্বাস করে না। কিসের স্বাধীনতা? এটা বিশ্বাস করে আপনি খুব বোকামী করবেন… যে সমস্ত শক্তিশালী রাষ্ট্র কৌশলে দুর্বল রাষ্ট্রের উপর হস্তক্ষেপ করে এবং ধ্বংস করে, তাদের কাছে সামরিক বাহিনীর চেয়ে স্বাধীনতার মানে সমান্য।

সেকুলার লিখেছে [10] [ফার্সী ভাষায়]:

ইরান এবং লিবিয়ার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, দ্বিতীয় রাষ্ট্রের জনতা গাদ্দাফির সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করা রাজীতিবিদদের সমর্থন প্রদান করেছে, কিন্তু কিছু ইরানী তা সমর্থন করেছে না [ ইরানের সরকার বিরোধী আন্দোলনকে], যদিও এর নেতামীর হুসাইন মৌসাভী [11] ২০ বছর ধরে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত। সাধারণত ইরানীরা বলে থাকে [যারা ক্ষমতায় আছে এবং যারা সংস্কারবাদী] সবাই সমান।

এই প্রবন্ধটি লিবিয়া গণ জাগরণ-২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]