সিরিয়ার শাসক বিরোধী বিক্ষোভে শাসকের অনুগতদের হামলা

এই প্রবন্ধটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

২ আগস্ট ২০১১-এ লেবাননে অবস্থিত সিরীয় দূতাবাসের সামনে এক ক্ষুদ্র বিক্ষোভ সমাবেশ এক সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সে সময় সিরিয়ার সরকার-পন্থী একদল ব্যক্তি এই বিক্ষোভে হামলা চালায়।

সিরিয়ার বিক্ষোভকারীদের উপর সে দেশের সরকার যে নির্মম ভাবে নিপীড়ন চালাচ্ছে, এই প্রতিবাদকারীরা তাদের সাথে একাত্মতা প্রদর্শন করার জন্য এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। একই সময় একই স্থানে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি আসাদের সমর্থনে একদল নাগরিক একই স্থানে সমবেত হয়।

লেবাননের বাথ পার্টির পক্ষ থেকে সিরিয়ার প্রতি বিশ্বস্ত এবং সোশ্যাল ন্যাশনাল পার্টির প্রতি অভিযোগ রয়েছে যে তারা আসাদ বিরোধীদের সামনে দাঁড়িয়ে আসাদের পক্ষে স্লোগান দেয় এবং তারা এক হামলা চালিয়ে আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করে।

জাদালিয়া এবং জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির আরব স্টাডিজ ইনস্টিটিউট-এর সাথে যুক্ত স্বাধীন ইজিন-এ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতক্ষ্যদর্শী এই হাতাহাতির প্রাথমিক দৃশ্যের বর্ণনা প্রদান করেছে;

আমরা তিন সারিতে ছিলাম। দূতাবাস এবং একই সাথে লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হয়ে অবস্থান হয়ে। হটাত একদল মানুষ কিনার ধরে আমাদের দিকে দৌড়ে আসতে থাকে, এর নেতৃত্ব দিচ্ছিল ৫০ বছরের এক ব্যক্তি যার চুলগুলো ছিল সাদা, পরে আমি জেনেছি সে হচ্ছে লেবাননের বাথ পার্টির সদস্য। তারা যেন তালে তালে আসছিল, সাদা চুলের ব্যক্তিটি দলটা সাজাল, দৃশ্যত যাদের দেখে মনে হচ্ছিল তারা সিরীয় অভিবাসী, যারা আমাদের মুখোমুখি হয়েছে। সে তার হাত এমন ভাবে তুলে ধরল যেন সে এক সঙ্গীত পরিচালক এবং মনে হল সে পরাবাস্তব এক যুদ্ধের ঘোষণা দিল। আমরা স্লোগান দেওয়া শুরু করলাম “বৈরুত থেকে হামা, আমরা এক জনতা”, তারা এই স্লোগানের বিপরীতে স্লোগান দেওয়া শুরুর করল “আমাদের রক্ত এবং আত্মা দিয়ে আসাদ তোমাকে সমর্থন করি”।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা প্রদান করে যাচ্ছে কি ভাবে সিরীয় শাসক অনুগত একদল ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের হুমকি এবং তৎক্ষণাৎ তাদের এলাকা ত্যাগ করতে বলে। বিক্ষোভকারীদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়ে এই কাহিনীটি ইউটিউবের এক ভিডিও-তে প্রতিফলিত হচ্ছে। এটি পোস্ট করেছে লেবানসিরিয়া । এটে দেখা যাচ্ছে আসাদ-পন্থী একটি দল আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে আসছে।

এবং তারপর হামলা শুরু হল:

যখন তারা আমাদের উপর হামলা চালালো, তারা এক সাথে মিলিত হয়ে এগিয়ে আসতে শুরু করে তারপর তারা এলোপাথাড়ি ভাবে আমাদের উপর আক্রমণ শানায়। প্রথমে তারা সেই সব ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যায় যাদের কাছে ক্যামেরা ছিল। তারা তাদের দিকে তেড়ে যায়। তারা চেয়ার হাতে নেয় এবং আমাদের দিকে ছুড়ে মারে। একদল বেল্ট খুলে নেয় এবং তা আমাদের দিকে চাবুকের মত ছুঁড়ে মারতে থাকে, এদিকে অন্যরা আমাদের ঠেলতে থাকে, কিল-ঘুষি মারতে থাকে, এবং আমাদের দিকে লাথি ছুঁড়তে থাকে। আমি এক বন্ধুকে দেখতে পাই। সে এক রাজনৈতিক একটিভিস্ট । লেবাননের মধ্যে যাকে আমি সবচেয়ে শ্রদ্ধা করি। তার মুখে ঘুষি এসে লাগে। সে পিছিয়ে যায় এবং এরপর সে এবং আমি, উভয়ে হুমড়ি খেয়ে পিছিয়ে গাড়ি পার্কিং-এর জায়গায় পড়ি। সে সময় কয়েকটি কারণে আমি ভেবেছিলাম যে আমি নিরাপদ। যেখান তিনি হুমড়ি খেয়ে পিছে পড়ে যান, তার উপর হামলাকারী তাঁকে ধাক্কা দিচ্ছিল এবং বন্ধুটি এমন ভাবে পড়ে গেল যেমন করে মাংসের টুকরোকে সিমেন্টের মেঝের মধ্যে ফেলে দেওয়া।

আমি তার দিকে এগিয়ে গেলাম, কারণ হামলাকারী তখনো সন্তুষ্ট না হবার কারণে মেঝেতে পড়া থাকা উক্ত ব্যক্তিকে লাথি মারছিল। যখন আমি আমার বন্ধুর দিকে ঝুঁকলাম, দেখতে পেলাম তার উপর হামলাকারী আমার আরেক বান্ধবীর দিকে এগিয়ে গেল। সে উক্ত ভদ্রমহিলার জামার কলার ধরল এবং তাঁকে বীভৎস ভাবে রাস্তায় আধা পাক ঘুরিয়ে আনল। এরপর উক্ত হামলাকারী আমার এবং আমার বন্ধুর দিকে ঘুরল, যে কিনা তখনো মেঝেতে পড়ে ছিল। উক্ত হামলাকারী যে লেবাননের আরবিতে চিৎকার করছিল, সে ছিল দেখতে বেশ শক্তিশালী এবং তার পরনে ছিল সাদা টি শার্ট, তার চামড়া ছিল টান টান এবং মাথার ছোট ছোট কালো চুল ছিল। সে আমার দিকে এগিয়ে এলো, চিৎকার করতে থাকল এবং শপথ করতে থাকল, আর তার সাথে ক্যামেরা নিয়ে আসা এবং ছবি তোলার জন্য আমাকে সে অভিযুক্ত করতে থাকল। এখন এই কথা বলতে আমার লজ্জা লাগছে, সে সময় আমি উঠে দাঁড়ালাম, তার দিকে তাকালাম এবং হাতজোড় করে আবেদন করলাম যেন সে আমাকে বা আমার বন্ধুকে আর আঘাত না করে । আমি আমার হাত উন্মুক্ত করলাম, তার চোখের দিকে তাকালাম, এবং বললাম , আমার কাছে কোন ক্যামেরা বা কোন ফোন নেই। আমার কাছে কোন কিছু নেই। দয়া করে আমাকে আঘাত করবেন না। সে মুহূর্তে যেন এই কথা গুলো আমার মুখ থেকে বের হয়ে গেল। সেই মুহুর্তে এই ভাবে ভেঙ্গে পড়া এবং ভীত হবার জন্য আমি নিজেকে ঘৃণা করলাম। তার জিৎ হল। ভয়াবহ ভাবে আক্রমণকারী ঘুরে দাঁড়ালো এবং অন্যদের দিকে তাকাল।

এই হামলার উপর ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এবং তা ইউটিউবে উঠিয়ে দেওয়ায় হয়েছে:

যাকে দেখে মনে হচ্ছিল শান্তিপূর্ণ এক বিক্ষোভ মিছিল, সেই মিছিলের শেষ হয় অংশগ্রহণকারীদের হাড় ভাঙ্গার মধ্যে। এদিকে স্থানীয় পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে সিরিয়া শাসক-পন্থী নিবৃত করার ক্ষেত্রে ছিল অসহায়

ব্লিস স্ট্রিটের (মাগফার হুবায়েস) পুলিশ স্টেশনে তিনজন ব্যক্তি গিয়েছিল, যারা আমাদের শারীরিক ভাবে আক্রমণ করছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। কিন্তু পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়, তারা বলল যে আক্রমণকারীদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে এবং এই ব্যাপারে পুলিশের কিছু করার নেই। এভাবে একটা ভাঙ্গা কোমর, ফাটা মাথা ও চোখের কোনে অসংখ্য কালো দাগ এবং শরীরে অসংখ্য ফোলা চিহ্ন নিয়ে এমন এক দল ব্যক্তির মুখোমুখি হয় যারা এই বিষয়টি জানে যে তারা তাদের কাজের জন্য কারো কাছে দায়ী নয়।

ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লেবাননের উপর সিরিয়ার এক প্রভাব রয়েছে। যা দেশটিতে এক মেরুকরণের সৃষ্টি করেছে।

লেবাননের রাজনীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয় সিরীয় সরকারের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে। আর এ ভাবে লেবাননের রাজনীতি সিরিয়া-পন্থী এবং সিরিয়া বিরোধী দ্বারা বিভক্ত।

লেবাননের নিজস্ব পরিচয় দেশটিতে তাদের উভয়ের জন্য ঐক্য তৈরিতে সমস্যার সৃষ্টি করে, একদিকে যারা মনে করে দেশটি সিরিয়া থেকে একেবারে পুরোপুরি আলাদা এবং অন্যদিকে যারা ইচ্ছা পোষণ করে যে দুটি দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে, যেমন লেবাননের বাথ পার্টি এবং এসএসএনপি। তারা যুক্তি প্রদান করে যে এই দুটি রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে সম্মিলিত সিরিয়া গঠন করা যেতে পারে, তারা বর্তমান লেবানন এবং সিরিয়ার দ্বিখণ্ডিত ভূখণ্ডকে স্বীকার করে না, কারণ এটি ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্টি হয়েছিল।

ঘটনাক্রমে, সিরিয়া সব সময় লেবাননের ঘটনাবলীর বিষয়ে আবেগের এক বিষয়, মঙ্গলবারের বিক্ষোভের ঘটনাই তার প্রমাণ।

এই আক্রমণের ঘটনায়, সে সময় ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর অনুপস্থিতির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

নাদিন মাওয়াদ: :

এই আঘাতের ঘটনায় বেশ কিছু ব্যক্তি আহত হয়েছে এবং তারা এখনো হাসপাতালে। একদিকে অনেকে আঘাতের ফলে যন্ত্রণা ভোগ করেছে, তাদের কারো শরীরের কিছু অংশ কেটে গেছে এবং কোথাও কোথাও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। যে সমস্ত একটিভিস্ট হেবিচ নামক পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল তারা সেখানকার পুলিশদের কাছ থেকে কোন সহযোগিতাই পায়নি। এই সকল বদমাশদের এই অবৈধ আক্রমণের জন্য নিশ্চিত এবং অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে এবং সকল মন্ত্রী দেশের নাগরিকদের মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করতে না দেবার জন্য সকল মন্ত্রী দায়ী। এটা এক ধরনের স্বৈরচারী মনোভাব, এবং এই বিষয়ে আমরা চুপ থাকব না।

বৈরুত এবং পুরো লেবানন জুড়ে রাজনৈতিক সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে কিফা নাকবি -তে ইলিয়াস মুহান্না তাঁর নিন্দা জানিয়েছেন:

প্রতি ছয় মাস পর পর বা এ রকম সময় , যখন আমি আমার পরিবারে সাথে মিলিত হবার জন্য বৈরুতে ভ্রমণ করতে যাই (যারা এর কেন্দ্রীয় এলাকায় বাস করে), ততবার আমি আবিষ্কার করি যে এসএসএনপি-এর আরো ব্যানার, দেওয়াল এবং ল্যাম্পপোস্ট- এ ঝুলছে। সম্প্রতি তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের হতাশা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে।

জাদালিয়ার লেখক যে বিষয়ের উপর পোস্ট তুলে ধরে সে বিষয়টি গুরুত্ব প্রদানের যোগ্য; এই সমস্ত প্রতিবাদকারীরা একত্রে নিন্দা করেছে সিরিয়া যে সমস্ত নিন্দনীয় কাজ তার প্রতি এবং তারা একই সাথে বিরক্তি প্রকাশ করছে, ১৪ মার্চ এবং ৮ মার্চের রাজনৈতিক পরিকল্পনার প্রতি, যা ছয় বছরের মধ্যে দেশটির রাজনৈতিক মেরুকরণের সৃষ্টি করেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পাশের এক এলাকাকে বেছে নেয় [হামরা] যাতে তারা বিশেষ কোন দলের নয় বলে বিবেচিত হয়। আমি এই ব্লগের একই মানসিকতার যে কোন পাঠককে ধারণ করতে উৎসাহিত করব, যারা লেবাননে বাস করছে, যারা এর সাথে যুক্ত হবার উপায় খুঁজছে। এই সব বিক্ষোভে যোগ দিন, নিজের কণ্ঠ তুলে ধরুন এবং হামারা নামক এলাকার রাস্তায় বাথ দলের গুন্ডাদের রাজত্ব খতম করুন।

শুরুতে এ্যাংরি আরব সন্দহপোষণ করেছিল যে এসএসএনপি-এর সদস্যরা এই সংঘর্ষের ঘটনার সাথে যুক্ত কিনা, কিন্তু পরে উনি নিশ্চিত হন যে বাথ পার্টির সাথে এসএসনপি-এর সদস্যরা এই হামলায় অংশ নেয়।

গতকাল আমি স্বাধীন মতাদর্শী বামপন্থীদের (যাদের অনেককে আমি চিনি) উপর চালানো ঠগি হামলায় বিষয়ে পোস্ট করেছি, তারা যখন সিরিয়ার অপরাধী শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল। আমি শুনতে পেয়েছি যে এই ঘটনায় সাথে এসএসএনপি-র (যে দলটি তার নেতা আদ হারদান-এর দ্বারা বদলে গেছে, এখন এটি সিরিয়ার শাসকদের প্রতি অনুগত একটি দলে পরিণত হয়েছে) সদস্যরা জড়িত ছিল। যে সমস্ত এসএসএনপি সদস্য আমার ফেসবুকের বন্ধু, তাদের কাছে আমি এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম এবং তারা আমাকে নিশ্চিত করেছে যে তারা এই ঘটনায় যুক্ত ছিল না। তবে ঘটনাক্রমে আমি শুনেছি যে হামরা এলাকার এসএসএনপির সদস্যরা তাদের হয়রানি করছে যারা সিরিয়ার শাসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।

যখন প্রতিবাদের মত অধিকারের বিষয় সামনে চলে আসে, সে ক্ষেত্রে বাকী আরব বিশ্বের সাথে লেবাননে বেশ আলাদা। ঘটনা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে বৈরুতে অজস্র গণ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

তবে, দেশটিতে এমন এক পরিবেশে-এর সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে এক অস্বস্তিকর নীরবতা আরোপ করা হয়েছে, যেখানে লেবাননের প্রধান বিরোধী দল আসাদের শাস্তির ভয়ে সিরিয়ার আভ্যন্তরীণ জটিলতার বিষয়ে কিছু বলছে না।

দীর্ঘ সময় ধরে লেবাননে যে প্রতিবাদের ঐতিহ্য রয়েছে এটি তাঁর সাথে যায় না। সিরিয়ার শাসকদের প্রতি যারা বিশ্বস্ত, তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সিরিয়ার গণহত্যা নিয়ে বিক্ষোভ করা বিরোধীদের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি দেশের অনেককে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে যারা মনে করে প্রতিবাদ তাদের পবিত্র অধিকার।
এই প্রবন্ধটি সিরিয়া বিক্ষোভ ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .