- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

প্যালেস্টাইন: দুটি নৌকাকে অন্তর্ঘাত করা হয়েছে যখন ফ্লোটিলা সামনের দিকে এগুচ্ছিল

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., আয়ারল্যান্ড, ইজরায়েল, প্যালেস্টাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, তাজা খবর, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, ভ্রমণ, মানবতামূলক কার্যক্রম, রাজনীতি

অবশেষে প্রতীয়মান হয়েছে যে গাজার অভিমুখে যাত্রা রত ফ্রিডম ফ্লোটিলা-২ একটি আইরিশ জাহাজ হারাবে।

জানা গেছে যে এমভি সাওয়ারসিকে অন্তর্ঘাতমূলক আঘাত করা হয়েছে যখন সেটা তুর্কির বন্দর নগর গোকেকে নোঙ্গর করে ছিল আর এখন এটা ফ্লোটিলাতে অংশগ্রহন করতে পারবে না, জানিয়েছে [1] ‘গাজা প্রচারণায় যোগদানকারী আইরিশ জাহাজ নামক ব্লগ'।

বিশ্বব্যাপি ৩০০ জনের বেশী কর্মী অংশগ্রহন করছেন গাজার অভিমুখী ৬টি জাহাজের এই ফ্লোটিলাতে, যার লক্ষ্য হচ্ছে গাজায় ইজরায়েলের অবরোধ ভাঙ্গা আর এর জনগণকে মানবিক সাহায্য প্রদান। এটা গত বছরের গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলার [2] ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ হয়েছিল যখন ইজরায়েলি বাহিনী জোর করে ফ্লোটিলাতে উঠেছিল যখন তারা তাদের গতিপথ আশদোদ বন্দরের দিকে ঘোরাতে অস্বীকৃতি জানায়, যেখানে ইজরায়েল কথা দিয়েছিল যে তারা সাহায্য সামগ্রী পরীক্ষা করে নিষিদ্ধ না এমন জিনিষ গাজায় পৌঁছিয়ে দেবে।

এমভি সাওয়ারসিতে অন্তর্ঘাত। [3]

এমভি সাওয়ারসিতে অন্তর্ঘাত। ছবি আইরিশশিপটুগাজা.অর্গ এর সৌজন্যে

সেবার ছয় জাহাজের ফ্লোটিলার অংশ কমোরোস পতাকাবাহী এমভি মাভি মারমারার নয় জন যাত্রী জাহাজে অভিযান চালানো ইজরায়েলি সেনা দ্বারা নিহত হয়েছিলেন আর ১০ জন ইজরায়েলি সেনা আহত হয়েছিলেন।

এই বছরের প্রচেষ্টায় অন্যান্যদের মধ্যে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে আর যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা আছেন যারা খুব উঁচু পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রচারণা আর কর্মীরা সামাজিক মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন প্রেস কাভারেজ আর বিশ্বের সমর্থনের লক্ষ্যে। গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজের ওয়েবসাইট [4] তাদের হোমপেইজে দেয়া একটি প্রেস রিলিজে সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানাচ্ছে পুরো জাহাজটা দেখার জন্য।

স্মাক এখানে ফূটেজ আর ছবি তুলে ধরেছেন আইরিশ জাহাজের ক্ষতির ছবি দিয়ে। তিনি লিখেছেন [3]:

সোমবার জাহাজের তিন জন সদস্য শেন ডিলন, জন হেয়ার্ন আর প্যাট ফিটজেরাল্ড আর তাদের সাথে ক্লে গেরি ম্যাক্লোক্লায়েন, চার্লি ম্যাক্মেনামিন (দুইজনই ডেরি থেকে) সাথে জন ম্যালোন আর ফিল ম্যাক্কোল্যাগ (দুইজনি বেলফাস্ট হতে) যাত্রা শুরু করেছেন এমভি সাওয়ারসিতে জ্বালানী ভরে পরীক্ষামূলক চালুর জন্য।

বন্দরে ফেরার সময়ে জাহাজের প্রকৌশলি প্যাট ফিটজেরাল্ড লক্ষ্য করেন যে জাহাজে গুরুত্বর কিছু সমস্যা আছে। বন্দরে পৌঁছে প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু হয়, তখন বোঝা যায় যে আয়ারল্যান্ডের জাহাজে অন্তর্ঘাত করা হয়েছে।

প্রচারণাতে রিপোর্ট করা হয়েছে “প্রোপেলার শ্যাফটে গভীর ক্ষত করা হয়েছে যা গুরুতরভাবে আর বিপদজনকভাবে বাঁকানো হয়েছে”।

কয়েকদিন আগে গ্রীসের একটা জাহাজে একই ধরনের অন্তর্ঘাতের ঘটনা ঘটানো হয়। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের দ্বারা আইরিশ সম্পদের উপরে এটা ছিল ভয়ঙ্কর আক্রমন আইরিশ পতাকাবাহী একটা জাহাজের প্রতি। জাহাজটা এতো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে এটা এখন ফ্লোটিলাতে আর অংশগ্রহন করতে পারবে না। তবে আয়োজন করা হচ্ছে অন্যান্য জাহাজে যতজন সম্ভব আইরিশ নাগরিকের বসার জায়গা করার জন্য।

ফিন্টান লেনকে জাহাজের ক্ষতির ব্যাপারে কথা বলায় অবস্থায় এখানে দেখা যাচ্ছে [5]:

আইরিশ টাইমসের বৈদেশিক বিষয়ক প্রতিনিধি মেরি ফিটজেরাল্ড জানিয়েছেন [6]:

@মেরিফিটজেরাল্ডআইটি: ফ্লোটিলার সাথে যাওয়া আইরিশ জাহাজের প্রোপেলারে সমস্যা হচ্ছে। আয়োজকরা মনে করছে এর অন্তর্ঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। http://bit.ly/leKYKE

তিনি আরো বলেছেন [7]:

@মেরিফিটজেরাল্ডআইটি: আইরিশ যারা গাজা ফ্লোটিলাতে অংশগ্রহন করছেন ইজরায়েলকে অভিযুক্ত করেছেন তাদের জাহাজকে অন্তর্ঘাত করার জন্য আর আইরিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন ইজরায়েলি পক্ষের কাছে এই ব্যাপারটা তুলে ধরার জন্য।

একটা ফেসবুকের পাতা [8] গঠন করা হয়েছে যা জাহাজটা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য ডাবলিনে অবস্থান প্রতিবাদের আহ্বান জানাচ্ছে।

সেই পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে:

‘গাজায় আইরিশ জাহাজ’ জরুরী একটা বিক্ষোভের আয়োজন করেছে আজকে এই অদ্ভুত কাজের প্রতিবাদে। আমরা মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সন্ধ্যা ৬টায় ও কন্নেল সড়কে সমবেত হওয়ার জন্য। সেখান থেকে আমরা ইজরায়েলি দূতাবাসের দিকে গিয়ে রাতে ওর সামনে বসে থাকব (তাই শোয়ার ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে আসবেন)। আমরা চাচ্ছি ইজরায়েলি দূতাবাস বন্ধ করে দিতে!

এই প্রতিবাদ যতো জোরালো করা যায় তা দরকার, তাই আপনাদের কাছে যদি ড্রাম, বাঁশি, কিছু থাকে, দয়া করে সাথে নিয়ে আসবেন।

একটা শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার নাগরিক সমাজের মিশনের (যার জন্য হাজার হাজার সাধারন আইরিশ নাগরিক অর্থ দিয়েছেন) প্রতি এই ধরনের অন্তর্ঘাতের ঘটনা জোরালো ভাষায় প্রতিবাদ দাবি করে।

অনেকের মতো, মিশরীয় টুইটার ব্যবহারকারী খালেদ খলিল ইজরায়েলকে দোষারোপ করেছেন [9] চাপ প্রযোগের যখন তিনি আইরিশ জাহাজের অন্তর্ঘাতের খবর পেয়েছেন:

@খ–খলিলঃ# ইজরায়েল চাপ দিচ্ছে @নটমাইট্রাইব: আইরিশ জাহাজ এমভি সাওয়ারসে অন্তর্ঘাতের দ্বিতীয় শিকার হয়েছে, গাজা ফ্লোটিলার সাথে যাত্রা করতে পারছে না http://bit.ly/jrP7dh

ইজরায়েল ফ্লোটিলার প্রচারণাকে দোষারোপ করেছে ‘পরিষ্কার রাজনৈতিক উস্কানি’ হিসাবে। এই ফ্লোটিলার লক্ষ্য তাদের গাজার সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা ভাঙ্গা।

টুইটারে নিউ ইয়র্কের টনি কারোন জানিয়েছেন [10]:

@টনি কারোন: অবশ্যই গাজা ফ্লোটিলা একটা উস্কানি- গন সংঘাত হীন অসম্মতি অন্যায় আদেশের বিরুদ্ধে। ড: কিং এমন অনেক উস্কানির নেতৃত্ব দিয়েছেন #এফবি

আইরিশ জাহাজ থেকে গাজা সংক্রান্ত টুইট এখানে পাওয়া যাবে [11]