দেখে মনে হচ্ছে যে ইরানে এখন আর মূর্তিও নিরাপদ নয়। দেখে মনে হচ্ছে ইরানের বেশ কিছু প্রকাশ্য স্থান থেকে ইরানের জাতীয় বীরের ব্রোঞ্জের মূর্তি চুরি হয়ে যাবার ঘটনার পেছনে ধর্মীয় উদ্দীপনা কাজ করছে।
ইরানের দক্ষিণ শহর সারিতে, কর্তৃপক্ষ আদেশ ইরানের উপকথা অনুসারে তৈরি ১৬ জন বীর এবং ঘোড়া ও রথসহ তীরন্দাজ আরাশ কামাঙ্গির-এর মূর্তি ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ দেয়।
এর কারণ হতে পারে এই যে ইমাম স্কোয়ারে উপস্থিত ঘোড়ার মূর্তিগুলোকে দেশটির ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের স্থপতি আয়াতুল্লাহ খোমেনির প্রতি অপমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
বলা হয়ে থাকে কামাঙ্গির তার নিজের জীবন তার তীরের মধ্যে যুক্ত করেছে এবং সে ইরানের সীমান্ত এলাকা বৃদ্ধির জন্য তা ব্যবহার করেছিল। ১৯৭৫ সালে সারিতে প্রকাশ্য স্থানে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল।
এই ভিডিওতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মূর্তির দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এটি আপলোড করেছে সেকুলার ডেমোক্রেসি ইরান । ২৯ জুন, ২০১১ তারিখে এটি আপলোড করা হয়:
http://www.youtube.com/watch?v=5rHTL_UzbDo
সহজ লক্ষ্যবস্তু
আজারমেহের লিখেছে যে আজকাল অনেক বেশি বেশি মূর্তি হামলার শিকার হচ্ছে, বিশেষ করে ইরান সরকার যখন প্রাক ইসলামিক সময়ের ইতিহাসের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সে বলছে :
১৯৭৯ সালে সংঘটিত বিপ্লবের পর থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র তার ইরান বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই শাসকেরা ইরানের প্রাক-ইসলামিক প্রতীককে ভয় পায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই ইরান বিরোধী কর্মকাণ্ড দেখা যায় মাশাদের সেই সমস্ত দেওয়াল অঙ্কিত চিত্র সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে, যে সব চিত্রে শাহানামা নামক মহাকাব্যের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে (বুক অভ কিংস)। সারি শহরে, ইরানের আরেক বিখ্যাত মহাকাব্যের নায়ক আরাশ-এর মূর্তি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তারা ইয়াসুজ শহরে অবস্থিত আরিওবারজেন-এর মূর্তি অপসারণ করতে চায়।
বেশ কয়েকজন ব্লগার, যেমন অসাইয়ান সাবজ, যে স্থানে মূর্তি ছিল, সেখান থেকে তা সরিয়ে ফেলা এবং তা ধ্বংস করে ফেলার সে খালি স্থানের ছবি তুলেছে:
কাইসার, সারির এক শিল্পী আবদুলহোসেইন মোখতাবাদ এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে। সে বলছে, এই সব মূর্তি আমাদের নাগরিকদের সম্পদ এবং আমাদের তা রক্ষা করা উচিত।
কিন্তু সারির অশ্বারোহীর জন্য, বেদনাদায়ক ভাবে অনেক দেরি হয়ে গেছে।