তিউনিসিয়া: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীরা পুলিশের নির্মমতায় ছত্রভঙ্গ

এ পোস্টটি আমাদের তিউনিসিয়া বিপ্লব ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ

গতকাল (১৫ই জুলাই) মন্ত্রীসভার প্রধান কার্যালয়ের বাইরে তিউনিসিয় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে ছত্রভঙ্গ করে। বিক্ষোভকারীরা সংস্কারের দাবি জানায় । বিক্ষোভকারীরা তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের ঐতিহাসিক কেন্দ্র কসবা স্কয়ারে তৃতীয়বারের মত অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।

বেন আলির শাসনামলে মন্ত্রনালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা বর্তমান বিচার মন্ত্রী হাবিব এসিদ তাঁর দায়িত্ব পালনে অক্ষম এ অভিযোগে ও “ বিপ্লবে শহীদের হত্যাকারীদের বিচার করার দাবিতে” বিক্ষোভকারীরা সোচ্চার।

Police in Tunisia. Photo by Kissa online blogspot.

তিউনিসিয়ায় পুলিশ, ছবি কিসসা অনলাইন ব্লগপোস্টের সৌজন্যে

প্রতিবাদকারীগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবদের বাইরে রাখা এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার দাবিতে শ্লোগান দেয়।

বিক্ষোভকারীরা যাতে সমবেত হতে না পারে এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করতে না পারে সে জন্য নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের প্রতি কাঁদানে গ্যাস ও লাঠি ব্যবহার করে। বহির্বিশ্বকে ঘটনা জানানোর জন্য এবং আপডেট জানানোর জন্য টুইটারে তিউনিসিয়রা ঘটনা প্রবাহ রেকর্ড করে।

@ওয়ালিদসা৩ডি:কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ প্রতিবাদারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালাচ্ছে # কসবাহ৩

@tunisien:অসন্তুষ্ট, তিউনিসিয়রা শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট শুরু করার চেষ্টা করছিল আর পুলিশ তাঁদের সহিংসতা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। # কসবাহ৩

মসজিদের ভিতরে আশ্রয় নেওয়া বিক্ষোভকারীদের উপরও নিরাপত্তা বাহিনী আক্রমণ চালায়।

@ওয়ালিদসা৩ডিকসবা মসজিদে পুলিশ ঝড়ো অভিযান চালায় এবং লাঠি ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেয় # কসবাহ৩

@বাইলাসকো:Les flics ont forcé la porte de la mosquée, tabassé et expulsé les gens qui s'y étaient réfugiés #kasbah3

পুলিশ মসজিদের দরজায় আঘাত করে, বিক্ষোভকারীদের পেটায় এবং যারা ভেতরে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল তাঁদেরকে বের করে দেয়

নিচের ইউটিউব ভিডিওতে দেখা যায় “শহীদের রক্তের প্রতি বিশ্বস্ত”- এ শ্লোগান দিয়ে কসবাহ স্কয়ারের নিকটবর্তী একটি মসজিদে বিক্ষোভকারীরা আশ্রয় নেয়। কাঁদানে গ্যাসের কারনে অনেকেরই শ্বাসরোধ হয়।

বারোজনেরও বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হন। কিসসা_ অনলাইন-এ তাঁদের প্রত্যেকের মুক্তির দাবিতে বার্তা প্রকাশিত হয়:

نطالب بنفس الصوت العالي إطلاق سراح كل المؤقوفين (يبدو أن عددهم 48) وخاصة منهم المدونين الفايسبوكر محمد شايح و شهيد بلحاج وأمان الله منصوري.

আমরা জোর গলায় গ্রেফতারকৃতদের (ধারনা করা হয় ৪৮ জন) আশু মুক্তি কামনা করছি, বিশেষ করে ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারী মোহাম্মদ চিয়েহ, শাহিদ বেলহাজ এবং আমান আল্লাহ মনসুরীর।

@ওয়া ইভোলুশন:
الإفراج عن 26 من معتقلي القصبه, إحالة 20 على القضاء و تجنيد 35. #kasbah3 #kasba3 #tunisie #tunisia

কসবায় গ্রেফতারকৃত ২৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে,২০ জনকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে আর ৩৫ জনকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীর মিলিটারী সার্ভিসে যোগ দিতে হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত বর্বর পদ্ধতি তিউনিসীয় ব্লগারদের ক্ষুব্ধ করেছে এবং তাঁদের আগের শাসনামলের পুরোনো পদ্ধতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। টুইটারের কিছু প্রতিক্রিয়া।

@মারু কিং: la #Kasbah3 n'était pas grand-chose (300 personnes) ! je suis pas d'acc avec ce sit-in mais je suis aussi contre la violence de la police !

##কসবাহ৩ কিছুই ছিল না (৩০০ বিক্ষোভকারী)! আমি অবস্থান ধর্মঘটকে সমর্থন করিনা, আমি পুলিশের সহিংসতার বিপক্ষে

@কোয়েলাটি: Je crois que les policiers n'ont pas compris qu'on sortait d'un état policier.

আমার মনে হয় পুলিশ কর্মকর্তারা এখনও বুঝতে পারেনি যে আমরা এখন পুলিশী রাষ্ট্রের মধ্যে নেই।#কসবাহ৩

@মারওয়েন:Sinon, je ne me reconnais pas dans la #Kasbah3, mais pour moi la pression de la rue est indispensable et les lacrymos n'ont aucune justif.

আমি #কসবাহ৩-এর সমর্থক নই, কিন্তু রাস্তার চাপ(আন্দোলন) থাকাটা জরুরি, কাঁদানে গ্যাস সমর্থনযোগ্য নয়

এ পোস্টটি আমাদের তিউনিসিয়া বিপ্লব ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .