১০ জুন, ২০১১-এ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানায় ক্রোয়েশীয়াকে নবীনতম সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে ইইউ আর কোন বাধা নাই। আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ-এর সদস্যপদ পেতে ক্রোয়েশীয়াকে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে, আর যে মুহূর্তে এই সদস্যপদ লাভের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে, সে সময়টা অনেক আশঙ্কাজনক, যা অনেক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এখন ইউরোপের অর্থনৈতিক অবস্থা ছাড়াও, ১৫ এপ্রিল, ২০১১-তে আইসিটিওয়াই (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) ক্রোয়েশীয়ার প্রাক্তন জেনারেল আন্টে গোটাভিনা এবং ম্লাদেন মারকাচ যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
কেবল মাত্র আসা এক লেখায় যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে:
ঊর্ধতন কর্মকর্তা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, এদিকে ক্রোয়েশীরা রাজধানী জাগবের কেন্দ্রস্থলে সমবেত হওয়া জনতা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিবিসি সংবাদ প্রদান করেছে যে, এই দুই জেনারেলকে জনতা বীর হিসেবে অভিনন্দিত করেছে।
এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে জনমত একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। যোগদানের আগে, ক্রোয়েশিয়া এক জাতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, গণভোটে যোগদানের বিষয়টি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে, কারণ, প্রায় মাত্র ৩৯ শতাংশ ক্রোয়েশীয় নাগরিক যোগদানে পক্ষে “হ্যাঁ” বলছে, অথবা গণভোটে যোগদানের বিষয়টই খুব সহজে পাশ হয়ে যেতে পারে, যখন ৬৪ শতাংশ ভোটার যোগদানের পক্ষে ভোট দেবে বলে জানাচ্ছে, ঘটনা কি ঘটবে তা নির্ভর করছে কোন সুত্রটি সঠিক তথ্য প্রদান করছে তার উপর। ক্রোয়েশীয় সরকার অবশ্য ক্রমাগতভাবে ইইউ-তে যোগদানের পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে, যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে জুটারনজি লিস্ট-এ [ক্রোয়েশিয়ান ভাষায়]:
[প্রধানমন্ত্রী জাড্রাঙ্কা কোসর] বলছেন যে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ক্রোয়েশিয়ার জন্য এক আনন্দদায়ক মুহূর্ত, বিশেষ করে ক্রোয়েশিয়া যখন এই সপ্তাহে স্বাধীনতা লাভের ২০তম বার্ষিকীতে পা দিতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে বলেন “আমি সব সময় বলে এসেছি যে স্বাধীনতা বার্ষিকীর জন্য এটা হবে সবচেয়ে বড় পুরস্কার”।
অবশ্য, বেশিরভাগ অর্জন দেশটির ৪৫ লক্ষ জনতাকে হতাশ করেছে, যারা সব কিছু মিলিয়ে হিসেব করে দেখছে এই জায়গা পর্যন্ত যেতে সময়টি কেমন লাগছে, যেমনটা লেখা হয়েছে গসপেন প্রফেসার-এ [ ক্রোয়েশিয়ান ভাষায়]:
কাজে, যতদুর দেখা যাচ্ছে প্রবেশের তালিকায় রয়েছে ছয়টি এবং আরো দু'টি রাষ্ট্র? এবং আমি ভবেছিলাম যখন আমরা আলোচনা শেষ করেছি, আশা তৈরি হয়েছিল যে এইবার আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে যাচ্ছি। কিন্তু, না।
এই পোস্টে কিঙ্কি কলমুনিস্টা নামের এক মন্তব্যকারী এক বাস্তব অবস্থান থেকে পদ প্রদানের ঘটনার ঝুলে থাকার বিষয়টির মুল্যয়ান করছে [ক্রোয়েশিয়ান ভাষায়]:
আসুন বিষয়টির মুখোমুখি হই, যদি ইইউ থেকে কোন চাপ না থাকে, তাহলে এই সব ক্ষুদ্র [রাষ্ট্রের] উন্নতি কোনদিন ঘটবে না এবং আমরা সেই কাদায় আটকে থাকবো যেখানে আমরা আটকে ছিলাম[…]। ইইউ-এর দেশ সমূহ নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে বেশি সফল রাষ্ট্র এবং যারা ইইউ-তে প্রবেশ করতে পারিনি তারা অনেক অসুবিধার মধ্যে রয়েছে।
আগামী দু-বছরে ক্রোয়েশিয়ায় অনেক কিছু আশা করে হবে, কিন্তু বর্তমানে সকলে ইইউ-এর ২৮ তম সদস্য পদ অর্জন করতে যাবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।