খেলাটার নাম প্লানকিং বা মাটিতে শুয়ে পড়া, যা আগমনের সাথে সাথে থাইল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। সেলিব্রেটি [1], প্রতিবাদকারী [2], এবং রাজনীতিবিদরা [3] তাদের প্লানকিং-এর ছবি এক খেলা হিসেবে ইন্টারনেটে আপলোড করতে শুরু করে। ব্যাংকক প্লানকিং সম্প্রদায়ের ফেসবুক পাতা [4] স্থাপন করা হয়েছে, যে পাতাটিতে সাধারণ মানুষেরা অস্বাভাবিক কোন জায়গা থেকে তোলা তাদের প্লানকিং ছবি পোস্ট করতে পারে।
[5]প্রিন্সেস অফ দি মুন ইয়াথাআকিরার ফেসবুক পাতা থেকে নেওয়া
কিন্তু বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর পোশাক পরে তোলা এই ব্যক্তির প্লানকিং ছবি অনলাইনে এক উত্তপ্ত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। যদি কেউ উক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারে, এমনকি তাহলে তার জন্য অর্থ পুরস্কার রয়েছে।
[6]ক্রাইমওয়াচারের ওয়াইফ্রগ পাতা থেকে নেওয়া হয়েছে
কালচারাল ওয়াচ সেন্টার [7] (সংস্কৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) যথারীতি ঘোষণা দিয়েছে যে, নগ্ন হয়ে প্লানকিং-এর ছবি তোলা সংস্কৃতির সাথে ‘সঙ্গতিপুর্ণ নয়’।সাকসিত সাইয়াসোমবাত এই ধারনাকে প্রত্যাখান [8] করেছে।
বেশ, বেশ – “সঙ্গতিপুর্ণ নয়”, আবার! অবশ্যই এ ধরনের কোন বিষয় ‘গঠনমূলক’ কিছু বোঝায় না, এটা একটা নির্বোধ তামাশা, যা কেবল হাসির উদ্রেক করে অথবা একে বলা যেতে পারে ‘লোল’ (অট্টহাসি), যেমনটা আজকের দিনের কিশোররা হয়ত এ কথা শুনে যা বলে উঠে।
চুপ থাকা এবং বিষয়টি এক সময় নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়া (আজকের দিনে ইন্টারনেটে কোন চিন্তা দ্রুত উধাও হয়ে যায়) পর্যন্ত অপেক্ষা করার বদলে, নিজেকে সংস্কৃতির বার্তাবাহক হিসেবে দাবী করা ব্যক্তিরা এই বিষয় নিয়ে বিশাল এক বাড়াবাড়ির সৃষ্টি করল। পরবর্তিতে এই বিষয়ে কি করা যায়, এক আদর্শবান চরিত্র হওয়া এবং আপনারা যা যথাযথ মনে করেন তা রক্ষা করার জন্য, সেই বিষয় হাঁটু কাঁপিয়ে কোন বাকসর্বস্ব বক্তৃতা না দেওয়া। আরো একবার অট্টহাসি হাসা যাক!
কিন্তু আরো বড় এক উন্মাদনায় প্লানকিং নামক খেলাটি ঢাকা পড়ে গেছে: এর নাম পাব পেব [9]। একে বলা হচ্ছে থাই চেহারার প্লানকিং। এই খেলায় খেলোয়াড় নীল ডাউন (হাঁটু মুড়ে বসা) হয়।
[10]
এর ফেসবুকের পাতাটিকে [11] ২০০,৩৩৯ জন ব্যক্তি পছন্দ করেছে। ফেসবুকের পাতা ছাড়াও এর একটা টুইটার [12] একাউন্ট রয়েছে।
[13]
এমনকি কর্তৃপক্ষ পাব পেব উন্মদনাকে সমর্থন [14] দিচ্ছে, কারণ এটি থাই সংস্কৃতিকে ভালোভাবে তুলে ধরে।
[15]নুএয়েপিচাইয়ার ফেসবুকের পাতা থেকে নেওয়া