রাশিয়া: ই-গভার্নেন্স ব্লগার প্রযুক্তি আর স্বচ্ছতা (ভিডিও) নিয়ে আলোচনা করেছেন

ইয়েকাতিরিনা আক্সিওনোভা, যিনি রাশিয়াতে ই-সরকারের উপরে সব থেকে বেশী তথ্য সম্বলিত ব্লগ গভ-গভ.রু এর নির্মাতা, সম্প্রতি মধ্য এশিয়ার বার ক্যাম্পে গ্লোবাল ভয়েসেস এর সাথে সাক্ষাত করেন আর বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রযুক্তি আর স্বচ্ছতার ভূমিকার ব্যাপারে।

আক্সিওনোভা সরকারী একজন কন্ট্রাক্টর আর ফেডারেল সরকারের বেশ কিছু ওয়েবসাইটের সৃষ্টিকারী। তিনি তার ব্লগ আর সরকারের স্বচ্ছতার ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গী নিম্নরূপভাবে ব্যাখ্যা করেছেন:

В средневековом Нюрнберге существовал полезный обычай: все члены городского совета должны были идти на очередное заседание пешком, чтобы любой гражданин города мог лично подать прошение или выразить свое мнение о решениях магистрата. Кроме того, традиция была хорошим способом держать отцов города в тонусе.

На мой взгляд, государственные сайты должны стать своеобразным возвращением к правилам вольного города Нюрнберга. Вряд ли в скором времени депутаты и чиновники будут принимать обращения по дороге на работу, но с тех пор, как власть вышла в интернет, она снова оказалась на одной улице со своими гражданами. Хорошие государственные сайты упрощают многие задачи, мгновенно выдают нужную информацию и даже обеспечивают оформление разнообразных справок и бумажек. Плохие государственные сайты, во всяком случае, раскрывают безжалостную правду о своих ведомствах.

মধ্যযুগের নুরেমবার্গে [জার্মানির বাভারিয়ার একটা শহর] প্রয়োজনীয় একটা পন্থা আছে: নগর কাউন্সিলের সকল সদস্যকে কাউন্সিলের সভায় হেঁটে যেতে হতো, যাতে কোন নাগরিক তাদের কাছে কোন আবেদন জানাতে পারেন বা নগর কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মতামত জানাতে পারে। তাছাড়া নগর কর্তৃপক্ষকে সুস্বাস্থ্যে রাখারও এটি উপায় ছিল।

আমার মনে হয়, সরকারী ওয়েবসাইটকে কোনভাবে মুক্ত শহর নুরেমবার্গের নিয়মে ফিরিয়ে দেয়া উচিত। আমার সন্দেহ হয় যে ডেপুটি আর কর্মকর্তারা কাজে যাওয়ার সময়ে কোন আবেদন নেবেন কিনা, কিন্তু যেহেতু তারা ইন্টারনেটে আছেন [আপাতদৃষ্টিতে] একই পথে আছেন তাদের নাগরিকদের সাথে। ভালো সরকারের ওয়েবসাইট কাজ অনেক সহজ করে তোলে, সাথে সাথে জরুরী তথ্য দিয়ে আর একই সাথে বিভিন্ন দলিল বের করে। খারাপ সরকারী ওয়েবসাইট, সকল ক্ষেত্রে, তাদের সংস্থার কঠোর সত্য জানিয়ে দেয়।

রাশিয়ার সরকার ভীষন দুর্নীতিগ্রস্ত। ২০১০ সালের দূর্নীতি নির্ধারক মান অনুসারে, রাশিয়ার স্থান ১৭৮ দেশের মধ্যে ১৫৪, পাপুয়া নিউ গিনি আর তাজিকিস্তানের মাঝখানে অবস্থান। এই তুলনামূলক হাতিয়ার দিয়ে কোন দেশের মান নির্ধারন করা হয় সরকারী খাতে দূর্নীতির ধারনা অনুসারে।

রাশিয়ার নেট নাগরিকরা বেশ প্রচেষ্টার সাক্ষর রেখেছেন বেশ কিছু ‘তৃনমূল’ অনলাইন স্বচ্ছতার প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সম্প্রতি রাশিয়ার দূর্নীতি বিরোধী একটা পোর্টাল রস্পিল.ইনফো ২০১১ সালের বেস্ট অফ দা ব্লগস (ববস) পুরষ্কার পেয়েছে ‘সামাজিক ভালোর জন্য প্রযুক্তি সব থেকে ভালো ব্যবহার’ শ্রেনীতে। গত এপ্রিল ২২, ২০১১ তারিখে রাশিয়ার সরকারের পক্ষপাতিত্ব আর দূর্নীতির পক্ষে নিবেদিত আর একটা প্রকল্প শুরু হয় যার নাম ক্ষমতা ও পরিবারেরা

আক্সিওনোভার কথা হচ্ছে যে কেবল নাগরিকের ভালো স্বচ্ছতার সুযোগ আছে তাই না, সরকারও তা করতে পারে। এমন ধারনা খুব বেশী ছেলেমানুষী কিনা, কিন্তু তারপরেও এটা শোনা যায়।

নীচে ইয়েকাতেরিনার সাথে সংক্ষিপ্ত একটা সাক্ষাতকার, রাশিয়া ভাষায় ইংরেজী সাবটাইটেল সহ [সাবটাইটেলের জন্য ভিডিওর নীচের ‘সিসি’ বোতামে চাপ দেন আর ইংরেজী ভাষাকে বেছে নিন।]

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .