হালেহ সাহাবি ইরানের এক নারী অধিকার কর্মী, গতকাল সকালে নিরাপত্তা কর্মীদের বাজে আচরণের কারণে তার মৃত্যু ঘটেছে। তার পিতা এজাতোল্লার শবযাত্রায় অংশ নেবার সময় এই ঘটনা ঘটে। হালেহ-এর পিতা এজাতোল্লার সাহাবি একজন প্রখ্যাত স্বদেশপ্রেমী রাজনৈতিক নেতা ছিল।
হালেহ যখন ফুল আর তার ছবি নিয়ে তার পিতার এই শবযাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলো, সে সময় সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের উপর আঘাত হানে এবং ছবি ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বলেন যে নিরাপত্তা কর্মীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং এই আঘাতে সে পড়ে যায় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে তার মৃত্যু হয়।

এজাতোল্লাহ এবং হালেহ সাহাবি
তার এই অসময়োচিত মৃত্যু বেশ কিছু ইন্টারনেট নিউজ ওয়েবসাইটে শিরোনাম হয়। হালেহ ও তার পিতার ছবি (উপরে) এবং তাদের নিষ্প্রাণ দেহ আর তাদের শোকের কান্নার উপর ধারণ করা চলচ্চিত্র ফেসবুক এবং ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে।
http://www.youtube.com/watch?v=PbDIJlEKXc8
ইরানের বগ্লার জেদা কোদেতা (অভ্যুথান বিরোধী) ইরানের জনগণকে উৎসাহ প্রদান করেছে [ফার্সী ভাষায়) তারা যেন হালেহ-এর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তার বেলায় ছাদে উঠে সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়।
আরেকজন ব্লগার আর্টেনুস লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:
হালেহ-এর বয়স ছিল ৫৬ বছর। সে ছিল এক নারী অধিকার কর্মী এবং পবিত্র গ্রন্থ কোরান গবেষক। যখন আহমাদিনেজাদ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসে সে সময় ৫ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে হালেহ গ্রেফতার হয়েছিল। ইরানের সংসদের পাশে যে প্রাতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে যারা সেখানে উপস্থিত হত, হালেহ ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে প্রহার করেছিল…। সে বিশ্বাস করত, যদি কেউ নারীর চোখে এবং চিন্তায় কোরান পাঠ করে, তাহলে যে কেউ নারী এবং পুরুষের মাঝে সমতা খুঁজে পাবে।
ব্লগার টোওয়েটার লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:
আমাদের সমতার জন্য আর কত হালেব সাহাবি নিহত হবে? আর কতকাল আমরা অপেক্ষা করব, এবং ওবামার এই ভাষণ শুনে খুশি হব, যে বলবে, এই অঞ্চলের প্রথম বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হবে ইরান থেকে? কেন আমরা মিশর, তিউনেশিয়া এবং সিরিয়ার জনতার বীরত্বপুর্ণ আন্দোলন থেকে উৎসাহ গ্রহন করব না? কেউ কি [ইরানের এই প্রবাদের কথাটি] শোনেনি, “ আপনি যদি কোন কাজ শেষ করতে চান, তাহলে আপনাকে তা শুরু করতে হবে?