আমাদের এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা বিশেষ কাভারেজের অংশ।
মিশরীয় এক আদালত মিশরের বিতাড়িত রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারক এবং তার সহযোগী কয়েকজন কর্মকর্তাকে ৫৪০ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড (৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা করেছে। মূলত বিপ্লবের সময় ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন সেবা বিচ্ছিন্ন করে দেবার কারণে তাকে এই জরিমানা করা হয়। এই বিপ্লবের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হতে হয়। তার এই বিচারের রায় আজকে ঘোষনা করা হয়।
রয়টারের সংবাদ অনুসারে, মিশরের প্রশাসনিক আদালত মিশরের জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতি করার কারণে মুবারককে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আহমেদ নাজিফকে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলিকে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করে।
যখন মিশরে মুবারক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়, তখন তার প্রেক্ষাপটে প্রথম ২৫ জানুয়ারিতে সেখানে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২৬ জানুয়ারিতে ফেসবুক এবং ২৮ জানুয়ারিতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আসা কয়েকটি নাগরিক প্রচার মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া।
টুইটারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাবন্ধিক সুলতান আল কাসেমি সংবাদ প্রদান করছে:
আল জাজিরাঃ মিশর: বিপ্লব চলাকালীন সময় ইন্টারনেট এবং মোবাইল সংযোগ বন্ধ করার কারণে মুবারককে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমান করে হয়েছে।#জান২৫
এই জরিমানায় বেশ কয়েকজন মিশরীয় তাদের মাথা চুলকাচ্ছে, তারা তাদের ক্যালকুলেটর হাতড়ে বেড়াচ্ছে এই হিসাব বের করার জন্য যে, এই জরিমানার অর্থ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছবে কিনা।
মোহাম্মদ হামদাই প্রশ্ন করেছে:
মোহাম্মেদ ইউসুফ, যে @জাওয়াজসফরকে টুইট করেছে, সে যোগ করেছে:
মনে হচ্ছে অর্থনৈতিক কারণে মুবারককে শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে, খুন এবং জরুরী সাহায্য চাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করার কারণে তার বিচার হওয়া উচিত। #ইজিপ্ট
মিশরের এক আইনজীবী এবং আরবের মানবাধিকার তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধান গামাল ঈদ যোগ করেছে:
আমাদের এই প্রবন্ধটি মিশর বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা বিশেষ কাভারেজের অংশ।