আরসাম পারসি ইরানী সমকামী সংগঠন (ইরানিয়ান কোয়ার অর্গানাইজেশনের) প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক। যার অফিস কানাডার টরেন্টোতে অবস্থিত। ২০০৮ সালে তিনি গ্লোবাল ভয়েসেসকে বলেছিলেন, “ইন্টারনেট আমাদের জন্য এক উপহার হয়ে এসেছে”।
এ বছরের ১৭ মে তারিখটি ছিল আন্তর্জাতিক সমকামিতা ভীতি প্রতিরোধ দিবস । বেশ কয়েকজন ইরানী নাগরিক আরো একবার তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার জন্য এই উপহারটি ব্যবহার করেছে, “আমরা রয়েছি সবখানে” নামক প্রচারণা শুরুর মাধ্যমে, এটি ইউটিউব, ফেসবুক এবং ব্লগে সমকামিতার প্রতি ঘৃণার বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।
ইরানে সমকামিতা মৃত্যুদণ্ড যোগ্য অপরাধ।
ইরানের ব্লগার পেসার (ফার্সী ভাষায় যার অর্থ ‘বালক’) লিখেছে [ ফার্সী ভাষায়]:
আজ আন্তর্জাতিক সমকামিতা ভীতি প্রতিরোধ দিবস। আমি খুব খুশি যে আজকের দিনে অনেক ব্লগার লেখা পোস্ট করছে এবং তাদের ব্লগে নতুন লেখা লিখছে। আমি আশা করি যে একদিন মূলধারার প্রচার মাধ্যম এই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং কেবল তা সাইবার জগতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমি আশা করি যে একদিন যখন আমি বলব যে আমি একজন পুরুষ সমকামী, তখন আমাকে একজন পাপী হিসাবে অভিযুক্ত করা হবে না, কিংবা আমার প্রতি খারাপ ব্যবহার করা হবে না।
আমরা রয়েছি সবখানে
ফেসবুকে বেশ কয়েকজন ইরানী প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা সমকামী এবং তারা তাদের মুখ লুকাইনি।
আরেকটি ভিডিও-তে সোকফো নামের এক মহিলা সমকামী বলছে [ফার্সী ভাষায়]:
আমার এই সমকামী অভিজ্ঞতা প্রেমে পড়ার মাধ্যমে লাভ করি এবং আমি বিশ্বাস করি এই বিশ্বে সকলেই তা অনুভব করতে পারে। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় ছিল আমার চারপাশের মানুষজন মনে করেছিল এটা একটা রসিকতা যেখানে আমি যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় ছিল আমার যারা ঘনিষ্ঠ, তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আপনি কথা বলতে পারবেন না। আমি কথা বলতাম, কিন্তু তারা শুনত না। আমি ভাবি যে আমরা এক সুন্দর পৃথিবীতে বাস করতে পারি, যেখানে আপনি কোন ব্যক্তির প্রেমে পড়ার জন্য আপনাকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখী হতে হবে না। আমি আশা করি আমাদের দিন গুলো বিশাল এক সুর্য, এক রংধনুর মত হবে এবং কোন ধরনের শঙ্কা ছাড়াই আমরা কথা বলতে পারবে।