প্রথমে, সবাই ভেবেছিল যে, এটা কৌতুক বা আরেকটা টুইটার গুজব। কিন্তু, শীঘ্রই নেট নাগরিকরা বুঝতে পেরেছে যে এটা সত্যি এবং এই ঘটনা সবাইকে হতবাক করেছে, এমনকি যারা এটা নিয়ে মজার টুইট প্রদান করেছে, তাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় হল জর্ডান ও মরোক্কোর গালফ কোপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি-তে যোগদান অনুরোধকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জিসিসি নামক সংস্থায় জর্ডানের অংশগ্রহণের বিষয়টি এত গুরুতর নয় কারন এর সীমানায় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু আরব বিশ্বের অন্য প্রান্তে অবস্থিত মরক্কোর ব্যাপারটি অনেক কৌতুক ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জিসিসি, ১৯৮১ সালে গঠিত একটি রাজনৈতিক সংঘ, যার সদস্য হল কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরব আমিরাতের কলাম লেখক এবং টুইটার ব্যবহারকারী সুলতান আল কাসেমি (@সুলতানআলকাসেমি) এই খবরের ব্যপারে প্রথমে টুইট করেছিল। তিনি লিখছেন :
“এখন জিসিসি-এর সীমানা ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার সীমানার সাথে যুক্ত হয়েছে”
এরপর, আল কাসেমি আরো বলেন:
“প্রকৃতপক্ষে, জিসিসি আরব রাজতন্ত্রের এক ক্লাবে পরিণত হয়েছে”#মরোক্কো# জর্ডান।
এমবিসি সম্প্রচার কেন্দ্রের এক প্রখ্যাত সৌদি উপস্থাপিকা মুনা আবু সুলায়মান (@মুনাআবুসুলায়মান) লিখছেনঃ
“নতুন জিসিসি নিশ্চিত করছে যে, পুরনো জিসিসি বাদে আর কারো কোন ক্ষমতা নেই। মিশরের জন্য বড় শিক্ষা, তারা আরব লীগকে সেকেলে এক সংস্থায় পরিণত করেছে”।
সৌদি আরবের অপর এক প্রখ্যাত নারী অধিকারকর্মী হাতুন-আল-ফাসি জিসিসি নামক সংস্থায় জর্ডান ও মরোক্কোকে নেয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেছে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি অন্যান্য টুইট করা ব্যক্তির টুইটে বিভিন্ন ভাবে পুনরায় উপস্থাপিত হয়েছে। আল-ফাসি (@হাতুনআলফাসি) লিখেছেন :
জিসিসি, রাজতন্ত্রের ধ্বজাধারীদের এক সংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে। জর্ডান এবং মরোক্কোকে সেখানে যোগ দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এবতিহাল মুবারাক (@এবতিহালমুবারাক) এক সৌদি একটিভিস্ট এবং সাংবাদিক যিনি বর্তমানে নিউইয়র্ক শহরে বাস করছেন, তিনি আল ফাসির সাথে একমত, ভদ্রমহিলা তার টুইটে বলছেনঃ
“ অবশিষ্ট রাজতন্ত্র/একনায়কদের রক্ষার জন্য নতুন জিসিসি কি ধনী উপসাগরীয় রাষ্ট্রের-এর এক বেপরোয়া পদক্ষেপ?”
খোবারে পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম নিবন্ধনকারী সৌদি তরুণী হেবা-আল-বুতাইরি (@হে_বা) কয়েক সপ্তাহ আগে লিখছেন:
“এই দুর্বোধ্য ব্যাপারটিকে দেখতে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। গণতন্ত্রের একে বিরুদ্ধে জিসিসি ও রাজতন্ত্রের জোট হিসেবে দেখা যেতে পারে”
কুয়েতি আইনজীবী ও রাজনৈতিক কর্মী ওবাইদ-আল-ওয়াসমি (@ডঃ_আলওয়াসমি) এই খবরের সমালোচনা করে লিখেছেন:
الترحيب يإنضمام الأردن و المغرب لمنظمة مجلس التعاون يستوجب تغيير نظامها القانوني من منظمة دولية إلى نقابة للأسر المالكة لأنه هو الهدف الفعلي
সৌদি টুইটার ব্যবহারকারী তরুণী আলিয়া-আল-ফায়িঘ (@আলিয়া-এফ) এ ব্যাপারে আরেকটি দিক উল্লেখ করে বলছেন :
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এ ব্যাপারে নাগরিকদের কাছ থেকে কোন কিছু জানতে চাওয়া হয়না এবং তাদের কোন মতামত নেই”।