মেক্সিকো: মাদকসন্ত্রাসবিরোধী সহিংসতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের প্রথম দিন

মেক্সিকো সিটি থেকে ৮০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০ মাইল) দূরের শহর মোরেলোর কুয়েরনাভাকাতে ৫ই মে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী এক প্রতিবাদের (টুইটারে #marchanaciona) সূচনা হয়। মাদক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানীর অভিমুখী শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ৮ই মে রবিবার বিশাল শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে গ্রহণ করে নেয়া হবে।

বুধবার রাতে পদযাত্রা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে প্রেসিডেন্ট ফেলিপ কালদেরোন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়ে মাদক পাচাররোধে নেয়া তার নতুন কৌশলের প্রতি মেক্সিকান জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রার্থনা করেন

“আপনাদের সহযোগিতা, সকলের সহমর্মিতা ও আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। কারণ কিছু মানুষ, ভাল বা মন্দ বিশ্বাসে, সরকারের এই পদক্ষেপ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে,”

“যুদ্ধবিরতির কোন সুযোগ নেই। বরং আমাদের দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ করতে হবে, কারণ আমরা থেমে গেলে তারা দেশব্যাপী অপহরণ, ডাকাতি, হত্যা চালাবে,”

রাষ্ট্রিয় চিংকো ডি মায়ো অবকাশের সময় প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন:

“Ante este enemigo hay quienes, de buena o mala fe, quisieran ver a nuestras tropas retroceder, a las instituciones bajar la guardia y darle simple y llanamente el paso a gavillas de criminales. Yo les digo que eso no puede y no va a ocurrir, porque tenemos la razón, porque tenemos la ley, y porque tenemos la fuerza vamos a ganar.”

“এই শত্রুদের বিরুদ্ধে কিছু লোক, সৎ বা অসৎ উদ্দেশ্যে হোক, চায় আমাদের যোদ্ধারা ব্যারাকে ফিরে আসুক, তারা তাদের প্রতিরক্ষা কমিয়ে ফেলুক এবং সন্ত্রাসীদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেয়া হোক। আমি তাদের সবাইকে বলছি এটা ঘটতে দেয়া হবে না, কারণ আমরা সঠিক, আমরা আইনের পথে আছি এবং আমাদের জয়লাভের সামর্থ আছে।”

মোনেরো হার্নান্দেজ (@monerohernandez), একজন রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট যিনি #nomassangre (#রক্ত পাত নয়) আন্দোলনকে সংগঠিত করেন, প্রতিবাদকারীদের দাবিতে কর্ণপাত না করার জন্য প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে নিচের কার্টুনটি প্রকাশ করেন।

তারা অস্বাভাবিক রকমভাবে জেদি, @monerohernandez-এর অনুমতিতে ছবিটি ছাপানো হল

শত শত লোক মেক্সিকো সিটির পথে যাত্রা শুরু করেছে। অত্যুৎসাহী, অকুতোভয় ও নীরবে চলমান এ মানুষগুলোর দাবি সরকারের কাছ থেকে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন কৌশল যা এতো সহিংসতা ও মৃত্যু ঘটাবে না।

কুয়েরনাভাকা-মেক্সিকো ডিএফ রাজপথে #marchanacional এর ছবি @alconsumidor এর সৌজন্যে

@Mxhastalamadre নামের টুইটার ব্যবহারকারী #marchanacional সংক্রান্ত সকল সর্বশেষ তথ্য টুইট করে জানাচ্ছেন। তার মতো আরো সক্রিয় আছেন যেসু রোবলস (@roblesmaloof) ও ড্যানিয়েল গারশেনসন (@alconsumidor), যারা নিয়মিত ছবি প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বহুসংখ্যক মানুষ টুইটারে তাদের সহযোগিতা ও সংহতি প্রকাশ করছেন।

জাভিয়ের সিসিলিয়া। ছবি @alconsumidor এর সৌজন্যে

সামুয়েল এস্পিনো (@Sarcle), প্রতিবাদের শুরু থেকেই যিনি এর সংগঠন ও অগ্রগতির জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাকে আজ আল-জাজিরার “দ্য স্ট্রীম” to এ হাজির করা হয় #marchanacional নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

দৈনিক মিলেনিও #marchanacional সংক্রান্ত পথ ও ঘটনাবলির একটি ইন্টারঅ্যাক্টিভ মানচিত্রের প্রস্তাব করেছে । কুয়েরনাভাকা থেকে ৫ই মে সকালে যে দলটি যাত্রা শুরু করেছিল তারা ইতোমধ্যে ২০ কিলোমিটার (প্রায় ১২ মাইল) পথ অতিক্রম করে ফেলেছে। তাদের প্রথম যাত্রাবিরতি কোয়াহুমুলকোতে আগমনের ভিডিও নিচে দেয়া হল:

@patyaspe টুইট করেছেন:

La marcha retoma su camino. Son más de mil personas, entre víctimas, familiares, inconformes y reporteros… Ah, y policías #marchanacional

আমাদের অগ্রযাত্রা সঠিক পথেই আছে। এক হাজারেরও বেশি মানুষ যার মধ্যে আছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, তাদের পরিবার, প্রতিবাদকারী, সাংবাদিক….এবং পুলিশ #marchanacional

এছাড়া শিয়াপা-এর ইয়থ ইন মুভমেন্ট ইউনাইটেড ফর পিস নামের একটি মিউজিক ভিডিও #marchanaciona এর সমর্থনে ইন্টারনেটে ছড়াচ্ছে এবং দাবি করছে: “আর রক্তপাত নয়, আর মৃত্যু নয়, প্রেসিডেন্ট!”

যেসু রোবলস মালুফ তার ব্লগে প্রতিবাদের প্রথম দিন সম্পর্কে আরো লেখেন:

Nunca pensé que caminaría de Cuernavaca al DF, como nunca pensé que mi país se sumiera en una ola de violencia y que nuestros políticos solo acertarán a decir. “Si no estas conmigo, estás contra mi”. Sigue el debate de las propuestas de las ideas. ¿se debe cambiar la estrategia? ¿cuál es la opción? ¿marchar resuelve algo?

কখনও ভাবিনি হেঁটে কুয়েরনাভাকা থেকে মেক্সিকো সিটি যাবো, যেমন কখনও ভাবিনি আমার দেশ সহিংসতায় নিমজ্জিত হবে এবং আমাদের রাজনীতিবিদরা বলতে সমর্থ হবেন, “যদি তুমি আমার সাথে না থাক তাহলে আমার বিপক্ষে আছো”। প্রস্তাবনা ও চিন্তাভাবনার বিতর্ক চলছেই। কৌশল পরিবর্তনের কী আদৌ কোন প্রয়োজন আছে? বিকল্প কি কি আছে? পদযাত্রা কী কোন সুফল বয়ে আনবে?

আজ, ৬ই মে, পদযাত্রাটি মেক্সিকো সিটির অদূরবর্তী টোপিলেও-এর দিকে যাত্রা শুরু করবে এবং আশা করা হচ্ছে আরো বেশি মানুষ ৮ই মে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এল যোকালো প্রধান স্কোয়ারে সমাবেশের উদ্দেশ্যে যোগ দিবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .