- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আর্জেন্টিনা: ২৯ বছর পর, আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ড যুদ্ধের বীরদের স্মরণ করছে

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, নাগরিক মাধ্যম

২ এপ্রিলকে আর্জেন্টিনায় আরো একবার স্মরণ করা হচ্ছে, আজ থেকে ২৯ বছর আগে এই দিন আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনীর ফকল্যান্ড দ্বীপে [1] অবতরণ করেছিল, যে দিবসটিকে ফকল্যান্ড যুদ্ধের শুরু [2] হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই যুদ্ধ আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার স্থায়িত্ব ছিল ৭৪ দিন।

রিও গালেগোস শহরে এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিনা ফার্নানদেজ [3]- [স্প্যানিশ ভাষায়]। সেই বিষয়ে একটি ব্লগ, যার শিরোনাম লা ভেরদাদেরা ইনটেনশিওন [4] [স্প্যানিশ ভাষায়] ( প্রকৃত উদ্দেশ্য) রাষ্ট্রপতির ভাষণটি তুলে ধরেছে, যার মধ্য নীচের অনুচ্ছেদটি উল্লেখ যোগ্য:

Siempre, las Malvinas son argentinas y no cejaremos en nuestro reclamo y convocar a todos los argentinos a la buena memoria, a la memoria de los que dieron sus vidas, a la memoria de los que luego no pudieron superar los traumas de la posguerra y perdieron también la vida. Esta vez, tal vez, de manera más terrible y más trágica: de mano propia, no de manos del enemigo en combate.

ফকল্যান্ড নামে পরিচিত দ্বীপসমূহ সবসময় আর্জেন্টিনার অংশ হয়ে থাকবে এবং এই দ্বীপের প্রতি আমরা আমাদের দাবি কখনোই পরিত্যাগ করব না। আর্জেন্টিনার সকল নাগরিকদের প্রতি, ভালো স্মৃতির প্রতি, সেই সমস্ত মানুষদের স্মৃতির প্রতি, যারা তাদের জীবন প্রদান করেছে; সেই সমস্ত মানুষদের স্মৃতির প্রতি, যারা যুদ্ধ পরবর্তী আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি এবং যারা তাদের জীবন ত্যাগ করেছে, তাদের জন্য আমাদের এই আহ্বান বজায় থাকবে। এই বার সম্ভবত সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বেদনাদায়ক ভাবে: যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি লড়াইয়ে শত্রুর হাতে নয়, নিজের হাতে তারা তাদের জীবন ত্যাগ করেছে।
Las Malvinas son argentinas [5]

ছবি ডগ লেটারম্যানের (সিসি বাই-এনসি-এসএ ২.০)

২৯ বছর পরেও, জখম এখনো তাজা রয়েছে, বিশেষ করে সেই যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া সেনা এবং যুদ্ধে নিহত সেনাদের পরিবারের মধ্যে, যাদের প্রতি এই দিনগুলোতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হচ্ছে, যেমনটা কার্লোস তার ব্লগ, মারিদা মাজিকায় [6] মন্তব্য করেছে [স্প্যানিশ ভাষায়]:

No basta con poner un día de feriado nacional y festejarlo, llenarse la boca en discursos alusivos y todas esas tonterías inútiles que no sirven más que para figurar.

Lo que estos veteranos de guerra necesitan son respuestas tangibles a sus problemas y necesidades. Aunque cueste creerlo esos mismos que arriesgaron sus vidas en una lucha inútil y desigual no paran de mendigar una respuesta a sus justos reclamos y derechos.

এই দিনটিকে কেবল জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করা এবং তা উদযাপন করা, এর জন্য যথেষ্ট নয়। কয়েকটি বাক্যে এক ভাষণ প্রদান করা এবং এই সকল কিছু অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন, যা কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন কাজে আসে না।

এই সকল যোদ্ধাদের প্রয়োজন হচ্ছে তাদের সমস্যা এবং প্রয়োজনের সূক্ষ্ম উত্তর । যদিও তা আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে, একটা যুক্তিহীন এবং অসম লড়াইয়ের জন্য এই সমস্ত লোকের তাদের জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করেছিল। তাদের দাবী এবং অধিকার উত্তরের আশা ছাড়েনি

লরা, ব্লগ আর্টে ইযা বুরজেরিয়ায় [7] [স্প্যানিশ ভাষায়], ফকল্যান্ডের ইতিহাস লেখা ছাড়াও, এই যুদ্ধের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিশ্লেষণ করছে:

¿Por qué reclamar en aquél momento soberanía sobre unas islas que pertenecieron a nuestro territorio por 13 años solamente? Porque el modelo neoliberal implementado desde el golpe de Estado de 1976 (modelo que continuó hasta el 2001) había desgastado económica y políticamente al gobierno de la junta. Fue un “manotazo de ahogado” para salvarse y continuar en la presidencia.

কেন আমরা কয়েকটি দ্বীপের প্রতি আমাদের সার্বভৌমত্ব দাবী করব, যেখানে সেগুলো কেবল মাত্র ১৩ বছরের জন্য আমাদের অংশ ছিল? আমরা তা করেছি, নব্য-উদারনৈতিকতাবাদী মডেলের কারণে, যা ১৯৭৬ সালে সংঘটিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছিল (এটি এমন এক মডেল, যা ২০০১ সাল পর্যন্ত চালু ছিল)। এটি ছিল এমন এক বিষয় যা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে জান্তা সরকারকে মুছে ফেলে। এটি নিজেকে বাঁচানো এবং রাষ্ট্রপতি পদে ক্রমাগত কাজ চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ছিল “চূড়ান্ত আঘাত”।

তার ব্লগ, জিয়ান্নায় [8] [es] সে যুদ্ধের ত্রুটি এবং আর্জেন্টিনার বীরদের স্মরণ করেছেন নীচের শব্দগুলোর মাধ্যমে :

La Guerra de Malvinas es una historia plagada de desventuras personales, errores políticos, ignorancia diplomática e improvisación militar.

Sin embargo, la sumatoria de errores y horrores no logran empañar la entrega, abnegación y valor de quienes entregaron con sacrificio sus vidas defendiendo la soberanía territorial argentina. Un reconocimiento al honor, que perdura por sobre las circunstancias y la temporalidad del hecho histórico.

ফকল্যান্ড যুদ্ধ হচ্ছে এমন এক ইতিহাস, যার সাথে ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্য, রাজনৈতিক ত্রুটি, কূটনৈতিক উপেক্ষা এবং সামরিক উদ্‌ভাবনা মিশে ছিল।

তবে, ভুলের সংখ্যা এবং আতঙ্কের যোগফল কখনোই এর ফলাফল, আত্মত্যাগ এবং এবং যারা আর্জেন্টিনার ভূখণ্ডের স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের মেধাকে নিষ্প্রভ করবে না। তাদের সম্মানের স্বীকৃতি প্রদান করা সকল ঘটনাকে সহনীয় করে তুলবে এবং এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে ক্ষণস্থায়ী করে ফেলবে।

[9]

১৯৮২ সালের সংবাদপত্রের অংশ- ছবি লরা স্কিনেইডার


এই দ্বীপ পুনরায় অধিকার করা অথবা না করা, এমন একটি বিষয় যা সব সময় আর্জেন্টিনার নাগরিকদের চিন্তার মধ্যে থাকে। কয়েকজনের কাছে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুক [10] এই দ্বীপসমূহ দাবি করার একটি উপাদানে পরিণত হয়েছে, কিন্তু অন্যদের জন্য নয়। যেমনটা মারিয়নো সোসা, in the group called, “ইংল্যাণ্ড, আমাদের ফকল্যান্ড ফিরিয়ে দাও, এটি আর্জেন্টিনার” [11] নামক গ্রুপের পাতায় [স্প্যানিশ ভাষায়], বলছে:

no sean ilusos! se piensan q nos van a devolver las malvinas por un grupo q se hace en el face.. no sean ilusos, por favor..

এতটা সরল হবেন না! আপনারা কি মনে করেন কেবল এক ফেসবুক গ্রুপের কারণে তারা ফকল্যান্ডের সকল দ্বীপ আমাদের দিয়ে দেবে… দয়া করে এতটা বোকা হবেন না।