- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরান: একটি হ্রদকে শুকিয়ে ফেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ, প্রতিবাদ, রাজনীতি, সরকার

ইরানের আজারবাইযান এলাকার [1] তাবরিজ এবং উরমিয়া (ইরানের উত্তর-পশ্চিমাংশের) শহর থেকে ২ এপ্রিল, ২০১১-এ, ডজন খানেক প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করা হয় [2] । এই বার প্রতিবাদকারীরা গণতন্ত্র বা স্বাধীনতার দাবীতে বিক্ষোভ করছিল না, তা বদলে তারা সরকারের কাছে লেক উরমিয়া [3] নামক হ্রদটি রক্ষার দাবি জানাচ্ছিল। উরমিয়া বিশ্বের অন্যতম এক বৃহৎ লোনা পানির হ্রদ।

হ্রদের একটি অংশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সাম্প্রতি খরার মৌসুম চলছে, যার ফলে উরমিয়া জলাধারে বছরে যে পরিমাণ পানি থাকে, এবার তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। ফলে সেখানে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে, এবং অনেক পাখি সেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

বিক্ষোভকারীরা আওয়াজ তোলে: “লেক উরমিয়া তৃষ্ণার্ত” এবং “ বাঁধ ভেঙ্গে দাও, আর পানির স্রোতকে লেক উরমিয়াতে বইতে দাও”।

তাবরিজসেই নামক ওয়েবসাইটে, আজকের বিক্ষোভের বেশ কিছু ছবি রয়েছে- যেমন উপরে ছবিটি [4]

এজ ইনভার ও ওওনভার বলছে [5][ফরাসী ভাষায়]

আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ইরানের আজারবাইযানি নাগরিকরা জেগে উঠেছে এবং লেক উরমিয়া রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করছে। তেহরান এবং সিরাজের মত ইরানের অন্য শহরের নাগরিকদের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এই আন্দোলনকে সমর্থন করা উচিত।

উরমিসিলেরি ব্লগ লিখেছে [6] [ফরাসী ভাষায়] যে প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ্য অনুসারে, উরমিয়ায় প্রায় ৩০০ লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করার চেষ্টা করে, কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের দমন করে এবং বেশ কিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়।

লেক উরমিয়াতে ১২০ টি দ্বীপ রয়েছে [7], এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপটির নাম কাবোডি। এই দ্বীপে হালাকু খানের কবর রয়েছে। হালাকু খান বিখ্যাত মোঙ্গল সম্রাট চেঙ্গিস খানের [8] নাতি। খ্রিস্টপূর্ব ৯ শতকে অ্যাসিরিয় ইতিহাসে লেক উরমিয়ার নাম জানা পাওয়া যায়। এই লেক সম্বন্ধে ইতিহাসের প্রথম দিককার যে সব তথ্য পাওয়া যায় এটি তার মধ্যে অন্যতম। এবডোলিয়ান.কমে [7] প্রকাশিত ছবিতে এই হ্রদের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।