ভেনেজুয়েলা: ওয়েব ২.০-এর মাধ্যমে কুয়াট্রো বাজাতে শেখা

ফ্লিকার ব্যবহারকারী এলকোরানেলআইপির তোলা কুয়াট্রোর ছবি (সিসি নাই-এনসি-এনডি ২.০)

ভেনেজুয়েলার ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের প্রধান প্রতীক হচ্ছে কুয়াট্রো নামের বাদ্যযন্ত্রটি। প্রায়শই এটি অল্প বয়স থেকে বাজাতে শেখা শুরু করা হয় এবং দেশটির লোক সঙ্গীতের বেশীর ভাগ গানের সাথে এই বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়ে থাকে। প্রায় সকল প্রকার সঙ্গীতের সাথে এই বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়, উপকূলীয় ড্রাম থেকে শুরু করে ক্যালিপ্সো সঙ্গীতের সাথে কুয়াট্রো বাজানোর রেওয়াজ রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কয়ার (এক সাথে গাওয়া বিশেষ গান) গানেও প্রায়শই কুয়াট্রো বাজানো হয় এবং ক্যান্টর (প্রধান গায়ক) এই বাদ্যযন্ত্রের সাথে তার গানের গলা মেলায়। কুয়াট্রোর প্রতি ভালোবাসা নাগরিক প্রচার মাধ্যমেও (সিটিজেন মিডিয়া) এসে পৌঁছেছে: জোরাপো এবং গাইতা ধারার সঙ্গীত এখানে প্রদর্শন করা হল, এবং তাদের ইতিহাস, বাদ্যযন্ত্রী, আর এমনকি কি ভাবে এই বাদ্যযন্ত্রটি বাজানো হয়, সেই বিষয় নিয়ে সব জায়গায় আলোচনা করা হচ্ছে।

ব্লগ রিক্রেয়েটেঅফিসিয়াল [স্প্যানিশ ভাষায়] এর ইতিহাস এখানে যুক্ত করেছে:

Tiene sus orígenes muy remotos. Instrumentos similares aparecen en grabados Iraníes y Cretenses en forma ovoidal y cuadrado (…) El laúd árabe o thimphle, a través de las invasiones moras, llega a España a comienzos del siglo XVI con cuatro órdenes, donde fue adoptando una nueva forma menos ovalada y más parecida a la actual, en forma de «ocho» (…) El laúd llegó a las Islas Canarias, hasta transformarse en el timple . Este se exportaría a America y el Caribe con la Conquista de América, dando lugar, muchos años más tarde, a las versiónes conocidas hoy en día en sudamérica. El cuatro puertoriqueño, sin embargo, guarda más parecido con su antecesor el laúd que con el timple de Canarias.

এর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। ইরান এবং ক্রীট নামক দ্বীপের একই রকমের বাদ্যযন্ত্রের ইতিহাস রয়েছে, যেগুলো ছিল ডিম্বাকার এবং চারকোণা আকারের (…)। চার তারের আরবের বাদ্যযন্ত্র লিউট বা থিমফেল নামের বাদ্যযন্ত্র, ১৬ শতকের শুরুতে মুরদের স্পেন আক্রমণের মধ্যে দিয়ে স্পেনে প্রবেশ করে। এখানে নতুন, খানিকটা কম ডিম্বাকৃতির আকারে এই বাদ্যযন্ত্রকে গ্রহণ করা হয়, বর্তমানে যে আট তারের গিটার ব্যবহার করা হয়, তার সাথে এর অনেক মিল ছিল (…)। লিউট নামক বাদ্যযন্ত্রটি ক্যানারি দ্বীপে তার যাত্রা শুরু করে, যতক্ষণ না সে টিম্পলে পরিণত হয়। টিম্পল নামক বাদ্যযন্ত্রটি আমেরিকায় এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়, মূলত আমেরিকার জয় করার জন্য, পুরো দক্ষিণ আমেরিকায় বাদ্যযন্ত্রটির আজকের এই চেহারায় রূপ নিতে, তার অনেক বছর সময় লেগেছে। পুয়ের্টো রিকান কুর্য়াট্রো অনেকটা তার প্রাচীন পূর্বপুরুষেরা চেহারা বজায় রেখেছে, যা দেখতে প্রথমে অনেকটা লিউট-এর মত ছিল, এবং তারপর তাকে দেখতে ক্যানারি এলাকার টিম্পলের মত লাগত।

ব্লগ মাইকুয়াট্রো.কম [স্প্যানিশ ভাষায়] এবং টুকুয়াট্রো.কম [স্প্যানিশ ভাষায়], স্কোর (সঙ্গীত), অ্যাডাপ্টেশন (নতুন করে গ্রহণ করা, বা অভিযোজন-এর মাধ্যমে) এবং বিভিন্ন উদাহরণ এর মাধ্যমে, এর কর্ড এবং গান তুলে ধরছে।

ইউটিউবে এর সমর্থকদের জন্য একটা পাতা রয়েছে, এর জন্য কুয়াট্রোক্রিয়োলোর [স্প্যানিশ ভাষায়] ভিডিও একাউন্ট-টিকে ধন্যবাদ, তারা সেই সব ক্লাশের ভিডিও পোস্ট করেছে, যা এই বাদ্যযন্ত্র শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়কে সহজ করে দিয়েছে।

অনেকটা এই ব্যবহারকারীর মত, অন্য অনেকে নিজেরা যা শিখেছে সেই সব বিষয় প্রদর্শন করছে। খুব সাধারণভাবে “ভেনেজুয়েলা কুয়াট্রো” নামক শব্দ দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে, এর ফলাফল হবে সীমাহীন সাইটের আগমনের মধ্যে দিয়ে। এখানে বিভিন্ন ধরনের অজস্র এবং প্রচুর পরিমাণ সঙ্গীত আবিষ্কার করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াট্রো, যা ভেনেজুয়েলার ব্লগারদের মধ্যে জনপ্রিয়, এর বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শন রয়েছে, যা কেবল বিনোদনের জন্য নয়, একই সাথে তা শিল্প সম্বন্ধে শিক্ষা লাভের জন্য।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .