এই পোস্টটি সিরিয়া প্রতিবাদ ২০১১ এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
সারা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যে গণজাগরণের উত্থান, সিরিয়া তাতে সম্প্রতি যোগদান করেছে। যখন এর আগে ৫ ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে ডাকা বিক্ষোভ ব্যর্থ হয়েছিল, তখন ১৫ মার্চে আবার নতুন করে রাস্তায় বিক্ষোভে প্রদর্শন করার আহ্বান জানানো হয়, যা দেশটির বিভিন্ন শহরে শত শত লোককে হাজির করতে সমর্থ হয়, এই সব শহরের মধ্যে দামেস্ক এবং আলেপ্পোর মত শহর রয়েছে। যদিও বিক্ষোভে হাজির হওয়া নাগরিকদের সংখ্যা হয়ত সামান্যই, কিন্তু তা সিরিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ স্থাপন করেছে, যেখানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কথা শোনা যায় না, এবং এখানে যে কোন ভিন্নমতের লক্ষণকে কঠোর হস্তে দমন করা হয়।
১৬ মার্চে, প্রায় ১৫০ জন নাগরিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার কারণে বন্দী নাগরিকদের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ করছিল, উক্ত বিক্ষোভে এইসব বন্দীদের পরিবারও অংশগ্রহণ করে। প্রচণ্ড হামলার মাধ্যমে এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় এবং প্রায় ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ, সারা দেশ জুড়ে বিশাল এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয় দারা’আ নামক এলাকায়। এটি রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দুরে অবস্থিত একটি শহর। সেখানে বিক্ষোভকারীদের উপর ভয়াবহ হামলা চালানো হয় এবং সংবাদে জানা গেছে যে ৬ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে এবং ৫০ জন আহত হয়েছে।
সিরিয়ার ব্লগার @ওকাবাহ টুইটারে সংবাদ প্রকাশ করেছে যে:
নীচের ভিডিওটি দারা’আ-এর বিক্ষোভের দৃশ্য তুলে ধরছে, যেখানে লোকজন স্লোগান দিচ্ছে “ যারা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত, তারাই চোর”।
@ওকাবাহ এর সাথে যোগ করেছেন:
সিরিয়ার একজন একটিভিস্ট, যে মারাথ আউমরান নামে পরিচিত, সে নিশ্চিত করেছে, ইতোমধ্যে হামলা চালানো শুরু হয়ে গেছে:
আমার এক বন্ধু জানাচ্ছে: দারা’আ-এর প্রধান রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের দপ্তর যা আতেফ নাজিবে অবস্থিত, সেখানে হামলা চালানো হয়েছে #সিরিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিরিয়ার একটিভিস্ট আম্মার আবদুলহামিদ বলছে:
#সিরিয়া, আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা যায়, এটা একটা বিপ্লব। সংঘর্ষ চলছে#দেরা,#হোমস,#দামাস্কাস,#বানইয়াস,#হাসাকে,#দিয়ার আজোর, #হামা, ইত্যাদি,# মার্চ১৫إنها الثورة
নীচের ভিডিওটি দেখাচ্ছে যে বিক্ষোভকারীদের উপর পানি ছিটানোর জন্য ফায়ার বিগ্রেডের গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে:
ফেসবুকে সিরিয়ার বিপ্লব নিয়ে তৈরি করা এক পাতায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারকে দারা’আর আকাশে উড়তে দেখা গেছে এবং তাদের মতে শহরটি নিরাপত্তা ঘেরে বন্দী হয়ে রয়েছে, এবং সেখানে হাজার হাজার সেনা সদস্যেকে রাস্তায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এছাড়াও সেই ফেসবুকের পাতার সূত্রানুযায়ী, নিরাপত্তা রক্ষা কাজে ব্যবহৃত ছয়টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সেই সব ব্যক্তির দেহ লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে, যারা এই হামলায় নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেনা সদস্যদের এটা একটা সাধারণ অভ্যাস, তারা হাসপাতালে প্রবেশ করে এবং ডাক্তারদের নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর সনদপত্রে মৃত্যুর কারণ পাল্টাতে বাধ্য করে, তারা বলে যে সনদপত্রে যেন লেখা হয়, যারা গুলিতে নিহত হয়েছে, তাদের মৃত্যুর কারণ আসলে সড়ক দুর্ঘটনা।
যখনই কোন তাজা সংবাদ পাব তখনই আমরা সেই সংবাদ প্রচার করতে থাকব।
এই পোস্টটি সিরিয়া প্রতিবাদ ২০১১ এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
1 টি মন্তব্য