ইয়েমেন: ‘সানায় শুক্রবারের হত্যাযজ্ঞ’

এ পোস্টটি ইয়েমেন প্রতিবাদ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ

গত ১৮ই মার্চ শুক্রবার সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অহিংস বিক্ষোভকারীদের উপর ইয়েমেনী সেনাবাহিনী আবারো আক্রমণ করেছে। স্নাইপার এবং ভূমিতে থাকা সেনাদের অস্ত্র জনতার উপর ব্যবহৃত হয় এবং এতে আনুমানিক ৪০ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়।

রাষ্ট্রপতি আলি আব্দুল্লাহ সালেহকে অপসারনের জন্য দু’মাস ধরে চলা আন্দোলনে গত কালই ছিল সবচেয়ে খারাপ দিন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে গতবারের ২৯ জনের মৃত্যুর প্রায় দ্বিগুণ লোক গতকাল নিহত হয় এবং ব্যাপক পরিসরে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তরুণ প্রতিবাদকারীগণ ও পুরোনো বিরোধী দলের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি সালেহ-এর পদত্যাগ চান। কারন তাঁরা মনে করেন, সালেহর শাসনামল দুর্ণীতিগ্রস্ত ও তাঁর অর্থনীতি শ্বাসরুদ্ধকর এবং তিনি জাতীয় নিরাপত্তার নামে ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।

শুক্রবারে সবসময়ই সালেহ বিরোধী জমায়েত বড় হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের বলেন গুলি যারা ছুড়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই দালানের ছাদে এবং বাড়িগুলোর কাছে অবস্থান নিয়েছিল। নামাজ শেষ হওয়ার পরই তাঁরা জনতার উপর গুলি চালায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসংবাদ সংস্থাগুলো এ আক্রমণকে উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছন। আল জাজিরা ইংরেজি টেলিভিশন চ্যানেল তার প্রদায়কের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, নিহতদের অনেকেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।

এ টুইটার একাউন্টটিতে অন্ততঃ একজন ব্লগার “শুক্রবার সানায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে” জানান।

ওম্যানফ্রমইয়েমেন জাপান ও লিবিয়ায় যা ঘটছে সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি থাকায় #সালেহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের হত্যা করার সুযোগ নিচ্ছেন। #ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@সেফারডম: #ইয়েমেনে লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয় ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলে নিকটবর্তী দালানের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়। #সানা।# ওয়াইএফ

@জেনোভাক_ইয়েমেন: #সানা, #ইয়েমেনে শুক্রবারের হত্যাযজ্ঞ: মুক্তিবাহিনীতে আপডেট এবং লিঙ্ক: http://bit.ly/dUcltK #YF

@নুনআরাবিয়া: এ পর্যন্ত #সানাতে প্রায় ৫০ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত #ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@ইমোথানা: ইয়েমেন পোস্টের সম্পাদক আজাই(আল জাজিরা ইংরেজি) কে বলেন কয়েক দশকের মধ্যে #সানায় এ ধরণের হত্যাযজ্ঞ আর দেখা যায়নি। #ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@ইমোথানা: আল জাজিরা প্রতিবেদক: “পূর্ব পরিকল্পিত এ হত্যাযজ্ঞ কে বর্ণনার ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি”। ৩০ জনেরও বেশি নিহত এবং ২০০ জনের মত আহত #ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@এন্টিকারিওজেনিক: তরুণ ইয়েমেনী সাংবাদিক গামাল শার্বি সংঘর্ষ কভার করতে যেয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন: (#ওয়াইএফ #ইয়েমেন #ফেব্রু৩

@আইওনাক্রেগ: বিক্ষোভ এলাকার দিকে দালান থেকে ছোড়া অব্যাহত গুলির ধারা আমি প্রত্যক্ষ করলাম #ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@আবি_আলানসি, জরুরি: নিরাপত্তা বাহিনী রাবাত স্ট্রিটে ঢোকার চেষ্টা করছে এবং চারদিকে গুলির শব্দ পাচ্ছি।#ইয়েমেন #সানা #ওয়াইএফ

@আরবসইউনাইট:আজ #সানার একজন শহীদের ছবি। ইয়া রাব এরসমু # এয়াইএফ # ইয়েমেন http://twitpic.com/4anjk3

@নেফারমাত: ট্যাঙ্ক ও সেনাসদস্যগণ# তায়েজ #ইয়েমেন-এর বিক্ষোভ চত্বরের অভিমুখী…নতুন করে আক্রমণ?? #ওয়াইএফ আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন!!

@আরবসইউনাইট: অশ্রুসজল চোখে #ইয়েমেনে মায়ের ফোন কেবল রাখলাম। তিনি বললেন মানুষকে এভাবে বর্বরভাবে হত্যা করতে তিনি এর আগে কখনো দেখেননি। তিনি কেবল টিভিতে দেখেছেন # ওয়াইএফ

@এন্টিকারিওজেনিক:# তায়েজ শহরের বিপ্লবীদের আর সেখানে থাকা ঠিক হবেনা, তাঁরা রিপাবলিকান প্যালেসের দিকে যাত্রা করবে #তায়েজ #ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@আলিনটাক২৫০: #তায়েজ বাস্তবিকপক্ষে সালেহ বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ। শহরের মাথায় হেলিকপ্টার।#ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@ইয়েমেন: একটা দালান থেকে একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চত্বরে পরিবর্তন।#ইয়েমেন #ওয়াইএফ #সানা

@ইয়েমেনফ্রিভয়েস: #সালেহ মাফিয়ার হাত থেকে সকল বেসামরিক লোকদের রক্ষার জন্য #জাতিসংঘকে সকল প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।#ইয়েমেন #ওয়াইএফ

@ইয়েমেনফরচেঞ্জ: বেশি দেরী হওয়ার আগেই # ইয়েমেন পরিস্থিতিতে অনতিবিলম্বে কার্যকর ভূমিকা রাখার জোরালো সুপারিশ করছি! #ওয়াইএফ

@আরবসইউনাইট:কি ঘটছে তা দয়া করে ছড়িয়ে দিন। প্রয়োজনে আমরা .. তিউনিসীয়, মিশরীয়, লিবীয়, বাহরাইনী ছিলাম.. আজ আসুন আমরা ইয়েমেনী হই #ওয়াইএফ

@আল৩ইনি:#আলি সালেহ তাঁর প্রস্থানকে ত্বরান্বিত করছেন এবং তাঁকে অবিলম্বে যেতে হবে #ইয়েমেন #ওয়াইএফ # মিশর # লিবিয়া

সতর্কতা:ভয়াবহ দৃশ্য সম্বলিত ভিডিও (এক্সট্রিমলি গ্রাফিক) । এ ভিডিওটি উথেমুন৪ কর্তৃক আপলোডকৃত । এখানে সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী অস্থায়ী হাসপাতালে আহত ও নিহতদের চিত্র ধারণ করা হয়েছে।

জরুরি অবস্থা

হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পর সালেহ ভাষন দেন। তিনি গোলাগুলির ঘটনায় সরকারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি নিহতদের “অস্ত্র বিষয়ে” দোষী সাব্যস্ত করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। তিনি দেশব্যাপি জরুরি অবস্থা, কারফিউ জারী করেন এবং অস্ত্র বহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

সালেহর সবচাইতে বড় সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার নিন্দা করেছে এবং রাষ্ট্রপতি সালেহকে জনগণের আকাঙ্খার প্রতি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

এ ঘটনা তীব্র নিন্দার জন্ম দিয়েছে।

@হারুনআলআমরিকি: তিনি এটাকে শুধু পুঁজি করলেন। আরটি @ব্ল্যাকএসাউনশেল: এই মাত্র ওবামা বিবৃতি দিলেন: “আমি তীব্র ভাবে আজকে ইয়েমেনে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দা জানাই”

@জেরেমিসকাচিল: আজ আপনারা #ইয়েমেনে জবাই দেখলেন, মনে রাখবেন ওবামা প্রশাসন উল্লেখযোগ্যহারে এ সরকারের সামরিক সহায়তা বৃদ্ধি করেছে।

@হারুনমিতহার: আমেরিকার মিত্র #ইয়েমেনে রাষ্ট্রপতি ওবামাকে নাক না গলানোর জন্য নিন্দাবাদ। # ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সালেহ সম্পূর্ণভাবে তাঁর বৈধতা হারিয়েছেন।

@সিবি১২: হতবাক কিন্তু #বাহরাইন ও # ইয়েমেনের স্বৈরাচারের পক্ষে ওবামার ভণ্ডামী আগে থেকেই অনুমেয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .