লিবিয়া: যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না

এই পোস্ট আমাদের লিবিয়া বিদ্রোহ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কভারেজ এর অংশ 

কর্নেল গাদ্দাফির রাজত্ব অস্বীকার করে এক সপ্তাহের বেশী সময় ধরে লিবিয়ায় অশান্তির পরে কর্তৃপক্ষ কঠোর ভাবে বিদ্রোহীদের দমন করে চলছে।

@লারাএবিসিনিউজ এর একটা টুইট সব জানাচ্ছে:

লিবিয়ার কোথায় আপনি আছেন তার উপরে নির্ভর করে হয় সেখানে শান্তি না হয় গন্ডগোল – বেন গাজির মানুষ বলছে তারা কাজে ফিরে গেছেন, ব্যাঙ্ক আর সুপারমার্কেট খুলে গেছে।

সিএনএন দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেন গাজিতে বড় র‍্যালির খবর জানিয়েছে, আর শহরের সংবাদপত্রের প্রথম সংস্করণ সংবাদপত্রের স্ট্যান্ডে এসেছে।

রাজধানী ত্রিপোলির চিত্র একেবারে আলাদা, যেটাকে বলা হচ্ছে মুহাম্মার আল গাদ্দাফির চার দশকের শাসনের শেষ শক্তিশালী স্থান।

@লারাএবিসিনিউজ: ত্রিপোলি থেকে আরো – এখানে গণহত্যা চলছে…আমরা চাচ্ছি পৃথিবীর মানুষ আমাদের সাথে চিৎকার করুক। ইশ্বর আমাদের সাহায্য করুন, আমার সন্তানরা ভয়ে মৃতপ্রায়।

@বেনসিএনএন: লিবিয়ার এয়ার ফোর্স পাইলট যে ত্রিপোলির কাছে একজন কর্মী বলেছেন যে পাইলটদের হত্যা করা হয়েছে শাসকদের আদেশ না মানার জন্য। # সিএনেন # লিবিয়া৩ ফেব ১৭

@আলিটুইল: ত্রিপোলিতে ৩ দিনে আমি ২ জন বন্ধু হারিয়েছি, দয়া করে তাদের জন্য প্রার্থনা করুন। ফেব ১৭

@লারাএবিসিনিউজ: ত্রিপোলিতে একজন মহিলার সাথে আমরা কথা বলেছি: জাতিসংঘ কোথায়? আমাদের নিষেধাজ্ঞা দরকার নেই…আমাদের মানুষ দরকার এই হত্যা বন্ধের।

ত্রিপোলিতে যখন বাহিনী নামা শুরু করছিল, গাদ্দাফি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেন আর কথা দেন যে সকল বিদ্রোহীকে হত্যা করে লিবিয়াকে ‘প্রতিটি বাড়ি ধরে ধরে’ পরিষ্কার করবে। যদি এটা সত্যি গাদ্দাফির শাসনের শেষ কয়েক মুহূর্ত হয়, তাহলে এটা উত্তেজনাকর মুহূর্ত। বিশেষ করে যাদের শিকড় লিবিয়াতে।

@সাইরেনাইকান: আমি এমন মানুষের পাশে বড় হয়েছি যারা তাদের বাবা মাকে নিহত হতে দেখেছেন। আমার বাবা লিবিয়াতে বন্দী ছিলেন। প্রত্যেক পরিবারকে এটা ছুঁইয়ে গেছে, কেউ রেহাই পায়নি।

@সাইরেনাইকান: এমন হওয়ার ৪২ বছর হয়েছে। সব থেকে ঘৃণ্য, জঘন্য হত্যাকান্ড। ৪২ বছরের নিষ্ঠুরতা, অত্যাচার আর আলাদা করা।

@এজেইলাইভ: লিবিয়ার আল জাজিরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন: এখানের মানুষ বিশ্বাস করেন তারা ফিরে না আসার প্রান্তে আছেন http://aje.me/hVJqZr #aljazeera #libya #feb17

বৃহষ্পতিবার ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১১ তারিখে দেশের বড় বড় অঞ্চল কথিত আছে যে বিরোধীদের হাতে পড়েছে আর সেনাদের দলকে পরাজিত করছে। মানুষ গাদ্দাফির অনুগত দলের করা মানবতা লঙ্ঘনের বিষয় নথিভুক্ত করছেন।

আপনারা সামাজিক মিডিয়ার কার্যকারিতা নিয়েই যাই ভাবুন না কেন মধ্য প্রাচ্য ব্যাপী বিক্ষোভ সংঘটিত আর জীবন্ত রাখতে, এইসকল উপাদান, কিছু অ্যানালগ ডিভাইসসহ, উপযোগী প্রমান করেছেন কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘন নথিভুক্ত করতে।

একটা টুইট বার্তা যেমন বাইরের দেশকে বোঝাচ্ছে:

@চেঞ্জইনলিবিয়া: মিডিয়ার প্রতি – যদিও কিছু ভীতিকর তথ্য আপনি পেতে পারেন যা ভুয়া, মনে রাখবেন, এটা সত্যি হতে পারে। কখনো যা এমনি পাওয়া যায় তা হেলাফেলা করা উচিত না।

এখানে টুইটার থেকে কিছু রিপোর্ট:

@মারোয়ামে: রিটুইট মোহামেদ মেস্রাতি – গাদ্দাফির সমর্থকরা জাউইতে মসজিদে আক্রমন করেছেন এন্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল দিয়ে http://j.mp/fdzHmI #libya #feb17

@মোনা এলতাহুই: জাওয়ায়িতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে আরটি এফ@ফেব্লিব ১৪ জন নিশ্চিত, এটাই সর্বশেষ পেয়েছি, আমার শহর লিবিয়াতে।

@লিবিয়ানএক্সপ্যাট: @লেবান্দ্রেজ তারা এয়ারক্রাফট মিসাইল ব্যবহার করেছে মসজিদে আর তার পরে ভূমি আর আকাশ থেকে আক্রমণ সামলিয়েছে।

@বিবিসিকিমঘাতাস: ব্রিটিশ নারী চলে গেছে # লিবিয়া বিমানবন্দর দিয়ে, যেসব নারী পালিয়ে যাচ্ছেন তারা বলেছেন যে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ৩০ জন পড়শিকে কবর দিয়েছে।

@সুলতান আলকাসেমি: টিফিনা টুয়ারেগ সোসাইটি প্রধান ব্রিটেন আক্লি চাক্কা আল আরাবিয়াকে: খামিস আর সাইফ (গাদ্দাফি) ব্যাটেলিয়ন হত্যা করেছে ১৮৫ জন লিবীয় সেনাকে।

এই নথি করা ভিডিওর রুপও নিয়েছে:

ইবন্তারাবুলুস দ্বারা আপলোড করা আর ওয়ান ডে অন আর্থ দল দ্বারা তৈরি এই ভিডিও, ত্রিপোলিতে একটা গণকবর দেখিয়েছে।

‘দেরনা লিবিয়া সেনা নিহত নিজেদের সেনাদের না মারার কারনে’ শিরোনামে এই ভিডিওটি (গ্রাফিক) বুধবার ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১১ তারিখে মেড্ডিটিভি ইউটিউবে আপলোড করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অন্তত ৩০ জন সেনা মাটির দিকে মুখ নীচে করে, যাদের বেশীরভাগের হাত বাঁধা। তাদের বেশীরভাগকে গুলি করা, অনেককে একাধিকবার।

“হত্যা করা সেনা – সিরত লিবিয়া ( নিজেদের মানুষকে হত্যা করতে রাজি না হওয়া) শিরোনামের এই ভিডিওতে (গ্রাফিক) একই ছবি দেখিয়েছে।

এই পোস্ট আমাদের লিবিয়া বিদ্রোহ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কভারেজ এর অংশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .