আজারবাইজানের বাকুতে গতকালের (১১ই মার্চ) তরুণদের সক্রিয় প্রতিবাদের [1] পর বিরোধীদল মুসাভাত দল আজ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে মিশর, তিউনিসিয়ার মত এত ব্যাপক মাত্রায় এখানে বিক্ষোভ না হলেও মাত্র কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ বিক্ষোভ ছিল তীব্র।
ফেসবুক এবং টুইটার সাইটগুলোতে অনলাইন কাভারেজ কম হলেও যা কিছুই প্রকাশিত হয়েছে তা বর্ণনা করেছে এই তৈলসম্পদপূর্ণ প্রাক্তন সোভিয়েট রিপবলিকের প্রতিবাদের জন্যে জড়ো হওয়া থামাতে ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা।
@পারভানাপারসিয়ানী: সকল রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে, ফাউন্টেন স্কোয়ারের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।#মুসাভত নামক দলটির বিক্ষোভ চলছে#১১ মার্চ#আজারবাইযান#বাকু
বিক্ষোভ চলাকালে যখন বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছিল তখন ক্ষমতাসীন দল ইয়েনি আজারবেকান পার্টিয়াসি (নয়া আজারবাইজানি দল) -এর একজন প্রবীণ নেতা কাছের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ঘটনাগুলো দেখছিলেন মর্মে একজন আজারবাইজানীয় তরুণ সক্রিয়তাবাদী উল্লেখ করেন।
মুবারিজ গুরবানলি আর সিয়াভুস নভরুজভ পিজা ইনে বসে আছে এবং মানুষের সাথে পুলিশের বর্বরতা দেখছে।
কেরিম কেরিমভ নামে আরেক সরকারী কর্মকর্তা গুরবানলি আর নভরুজভ এর সাথে পিজা ইনে বসে আছে এবং মানুষের সাথে পুলিশের বর্বরতা দেখছে।
পুলিশ ফাউন্টেইন স্কোয়ার থেকে বিপ্লবীদের সরাচ্ছে। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজামী সড়কে প্রতিবাদ অব্যাহত।
ফাউন্টেইন স্কোয়ারে নতুন একদল তরুণ মিছিল করে যাচ্ছে।
আজনেফ স্কোয়ারের দিকে একদল তরুণ দৌড়ে যাচ্ছে। পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না।
যাহোক, বিক্ষোভে হাজারো মানুষ না হলেও শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করে, এবং পুলিশের সংগে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হওয়ার দু'ঘণ্টার মধ্যেই বিক্ষোভের পরিসমাপ্তি ঘটে।
@রাশাদবাইরামভ: প্রতিবাদ প্রায় শেষ।
মুঠোফোন থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা স্থান ত্যাগের পরেও সাংবাদিকরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। একজন তরুন সক্রিয়তাবাদী ও ব্লগার @ইলকিন_আলিসয় [5]অপ্রত্যাশিতভাবে থামিয়ে দেয়া হলে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
আলিসয় এবং তাঁর সঙ্গীয়দের আদালতে পৌছানো নিশ্চিত হওয়ার আগেই টুইটারে ঘটনাক্রমে সংবাদটি ছড়িয়ে পরে। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ জনকে অন্তরীণ রাখা হয়েছে। গতকাল আলিসয় সহ বেশকিছু তরুন সক্রিয়তাবাদীকে ৮ দিনের অন্তরীণ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
[2]
বামইউজার এর মাধ্যমে প্রাপ্ত আলিশয়ের করা নিজের ভিডিও থেকে থেকে দেখা যায় তিনি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন নি। তিনি তাঁর সাংবাদিক বন্ধু ও সহকর্মীদের পাশে থেকে প্রতিবেদন করছিলেন।