- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে একটি কোরিয়ান জাহাজ উদ্ধার, প্রতিশোধের চিন্তা বাড়ছে

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, সাব সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, সোমালিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দুর্যোগ, নাগরিক মাধ্যম, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, রাজনীতি

কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ বাহিনী সফলভাবে তাদের ২১ জন নাবিককে উদ্ধার করেছেন যাদেরকে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুরা আটক করে রেখেছিল। সেনা আক্রমণের সময়ে, আটজন জলদস্যু নিহত আর পাঁচজন আটক হন। এই সংবাদ শোনার পরে, বেশীর ভাগ কোরিয়ান নাগরিক আনন্দ উল্লাসে যোগদান করেছেন। সচেতন নেট ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন জলদস্যুদের কাছ থেকে আক্রমণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আর প্রধান ধারার মিডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যারা সরকারের কাজের বেশী প্রশংসা করতে গিয়ে, গুরুত্বপূর্ন অভ্যন্তরীণ বিষয় ভুলে যাচ্ছে আর সেইসব লোকের প্রচেষ্টাকে ছোট করছে যারা আসলে নাবিকদের এই উদ্ধারে ভূমিকা রেখেছেন।

[1]

ছবি অ্যান্ডিম্যানগোল্ড এর, ফ্লিকার থেকে, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত।

অনেক কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম অপহৃত কোরিয়ার জাহাজ ‘সামহো জুয়েলারির’ উদ্ধার প্রচেষ্টার সরাসরি ভিডিও আর সংশ্লিষ্ট চিত্র দেখিয়েছে, তাদের নিয়মিত ৫০ মিনিটের সংবাদের ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত। প্রথম দিন দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। কিন্তু তার পরের আর পরের দিন জলদস্যুদের এই খবর যখন চলতে থাকে, সকল প্রশংসা মনে হচ্ছিল প্রেসিডেন্টকে দেয়া হচ্ছে যিনি এই মিশনের অনুমতি দিয়েছিলেন, যার ফলে শ্রোতারা ‘যথেষ্ট’ বলতে বাধ্য হয়েছেন।

একটি উন্মুক্ত আলোচনার ফোরাম সাইটে, নেট ব্যবহারকারী ল্যারি ডায়মন্ড কেবিএস (কোরিয়া ব্রডকাস্টিং স্টেশন, কোরিয়ার তিনটি প্রধান টিভির মধ্যে একটি) এর সমালোচনা করছেন [2] বিশেষ করে অভ্যন্তরীন বিষয়কে অবহেলা করার জন্য যেমন ফুট এন্ড মাউথ রোগ। দক্ষিণ কোরিয়া তার সব থেকে খারাপ ফুট এন্ড মাউথ অসুখের মহামারির সম্মুখীন হচ্ছে আর প্রায় বিশ লাখ গরু মেরে ফেলা হয়েছে।

저 역시 청해부대가 기분 좋은 소식을 전해줌에 있어 큰 박수를 보내는 입장입니다. 그러나[…]어제 토요일! KBS 9시뉴스는 20여분동안 온통 이번 사건으로 도배했고, 국내뉴스전달은 없었습니다. […] KBS뉴스는 해외언론의 반응과 이명박정부의 신속한 대응이라는 귀결문구로 결국 나는 관영매체다!라고 전국민을 상대로 선포한것이나 다름없습니다. […]이제 정도껏합시다. 토요일 KBS뉴스에서 사라진 구제역 뉴스! 정말 심각합니다…. 구정을 앞두고 차라리 고향내려가지 않기! 캠페인방송하는게 구제역 막는 지름길인지도 모를 갈림길에 서 있는 상태입니다.

আমাদের এই প্রত্যাশিত সংবাদ দেয়ার জন্য আমি অনেক বড় অভিবাদন জানাচ্ছি চুংঘাই (কোরিয়ার নেভি টাস্ক ফোর্স) এর সদস্যদের। কিন্তু গতকাল (শনিবার), কেবিএস তাদের সংবাদের অংশ বিশেষভাবে ভরে ফেলে এই জলদস্যু উদ্ধারের ঘটনা দিয়ে, আর অভ্যন্তরীণ কোন ব্যাপারে সময় ব্যয় করেনি। কেবিএস সংবাদ শেষ করেছে বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে সরকারের ব্যাপারে (ভালো) মন্তব্যসহ আর লি মুং বাকের প্রশাসনের দ্রুত কর্মতৎপরতার প্রশংসা করে, যেন এরা নিজেদের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণাধীন মিডিয়া হিসাবে কোরিয়ার জনগণের সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছেন। এটাই যথেষ্ট। শনিবার কেবিএস এর সংবাদ থেকে ফুট এন্ড মাউথ রোগের ঘটনা অনুপস্থিত ছিল…নতুন চান্দ্রিক বছরের ছুটি সামনে নিয়ে [এটা কোরিয়াতে ফেব্রুয়ারী ২-৪ ] আমরা জটিল এক সময়ের মুখোমুখি, আর কেবিএস জনগনের কাছে কোন ধরনের প্রচারণা করতে পারতো মানুষকে অনুৎসাহিত করতে তাদের নিজ শহরে যাওয়া থেকে এই রোগের প্রসার রোধের জন্য (পরিস্কার স্থানে)।

ডাউমস আগোরা নামে একই উন্মুক্ত ফোরাম সাইটে নেট আইডি: বায়েক্সুবেয়েক্সু একটি প্রতিবেদন পোস্ট করেছেন [3] যেখানে তিনি প্রধান ধারার মিডিয়ার উপরে দোষারোপ করেছেন বর্তমান প্রশাসনের প্রাপ্তিকে বেশী করে তুলে ধরার জন্য।

무엇보다 이번 피랍사건을 해결한 청해호 일원과 UDT 대원들에게 격려와 박수를 보넵니다. 근데 현재의 언론이나 일부 몇몇 아고라인들의 MB의 업적만들기적 칭송에 정말 고개를 젓지 않을수가 없네요. 일단 이일 자체에 있어서는 MB가 잘못한 것은 아닙니다. 잘한 일이지요.[…]하지만 이것은 한 국가의 통수권자이자 통솔자로서 자국민을 보호하기위한 어떠한 대통령이라도 내릴수 있는 결정입니다.[…] 이번작전의 성공은 MB에 결정에 따라 잘된 것이 아니라,작전 자체를 사상자가 없이 성공적으로 치루어낸 각부 관계기관과 현장의 대원들의 몫이 되어야 마땅한 것입니다.

প্রথমত এবং সবার আগে, অপহৃত জাহাজের ঘটনার সমাধান করার জন্য আমি প্রশংসার বানী পাঠাই চেং-হাই আর ইউডিটির (আন্ডারওয়াটার ডেমোলিশন টিম) সদস্যদের কাছে। কিন্তু প্রধান ধারার মিডিয়া আর কিছু আগোরা ব্যবহারকারী (ডাউম আগোরার নেট ব্যবহারকারী) এটার প্রশংসায় এমন ব্যস্ত যেন এটা একাই এমবির (কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নামের আদ্যাক্ষর) কৃতিত্ব। এই ধরনের চিন্তায় মানুষ মাথা নাড়ে। অবশ্য এটা এমবির দোষ না। এটা এমন কিছু যা তিনি ঠিক করেছেন। কিন্তু এটা এমন সিদ্ধান্ত যেটা যে কোন প্রেসিডেন্টের করতে পারা উচিৎ সুপ্রিম কমান্ডার আর রাষ্ট্র প্রধান হিসাবে তার নাগরিকদের রক্ষার জন্য। সেনা এই অভিযান সফল হয়েছে কেবল এই কারনে না যে এমবি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বরং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে সবাই, আর বিশেষ বাহিনীর সব সদস্য তাদের অংশ সুন্দরভাবে সমাধা করেছেন আমাদের মানুষকে আহত না করে।

সংবাদের রিপোর্ট থেকে যা কোরিয়াবাসীকে বেশী চিন্তিত করছে তা হলো এই বাস্তবতা যে সোমালিয়া জলদস্যুদের কাছে আরো বেশ কিছু কোরিয়ান নাবিক বন্দী আছেন। নেট ব্যবহারকারীরা অনলাইন একটা আবেদন করেছেন [4] সরকারের প্রতি এই দাবী নিয়ে যে গত অক্টোবরে অপহৃত হওয়া কোরিয়ান জাহাজ গুয়েম্মির নাবিকদের উদ্ধার করা হোক অবিলম্বে।

ব্লগার সাইবারবং ৭৫ যদিও তিনি তার পোস্টের নাম দিয়েছেন ‘ভয়ানক অদ্ভুত উদ্ধার’ কিন্তু তিনি সাবধানতার আহ্বান জানিয়েছেন সম্ভাব্য প্রতিশোধের আশংকা করে।

하지만 문제는 이제부터입니다. 90년대 중반 말라카 해협에서 일본의 S사 상선을 공격했던 해적들이 그 배의 선원들에게 진압을 당하여 체포된 이 후 S사의 배가 지나갈 때 마다 해적의 위협에 특히 더 시달려야 했습니다. 해적들에겐 자신들만의 마케팅이라고 할까요. 특유의 리번제 성향이 있기 때문에 당분간은 우리나라 상선에 대한 위협이 더욱 거세일 것입니다. 물론 이런 작전을 몇 번만 더 성공적으로 수행하게 되면 ‘감히 건들어선 안되는 나라의 배'라는 인식을 심어줄 수 있습니다.

আসলে এটা সমস্যার শুরু। স্ট্রেট অফ মালাক্কার কাছে, এস (নাম) কর্পোরেশনের একটা জাপানী জাহাজ ৯০ এর দশকের মধ্যভাগে জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই জলদস্যুদের নাবিকরা আটক করেন আর পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরে, এস কর্পোরেশনের যে কোন জাহাজ জলদস্যুদের হুমকির সম্মুখীন হতো যখনি তারা কাছের জল দিয়ে পার হতো। জলদস্যুদের নিজেদের (বাজারজাতকরণ) এর কৌশল বা প্রতিশোধের ধারা আছে। কোরিয়ার জাহাজ ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে প্রচন্ড হুমকির সম্মুখীন হবে। কিন্তু যদি আমরা বেশ কয়েকবার সেনা অপারেশনে সফল হই, তারা আমাদের জাহাজকে দেখবে ‘এমন দেশের জাহাজ’ হিসেবে যাকে ছোঁয়ার সাহস আমাদের নেই’। [এটা পরিষ্কার না যে এস কিসের জন্য ব্যবহৃত হয় কিন্তু এটা সত্যি যে স্ট্রেট অফ মালাক্কাতে আর একটা জাহাজ ২০০৫ এ আটক হয়।]

এই ধারনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে, আজ সকালে রয়টার জানিয়েছে যে সোমালি জলদস্যুরা হুমকি দিয়েছেন যে তাদের নিহত সাথী জলদস্যুদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য যে কোন দক্ষিণ কোরিয়ার নাবিককে হত্যা করা হবে যাদেরকে তারা ভবিষ্যৎে অপহরণ করবে। সোমালিয়ার দুই তীরের ঘাঁটির জলদস্যুরা জানিয়েছেন যে তারা অপহৃত দের আরো ভিতরে নিয়ে যাচ্ছেন যাতে পরবর্তীতে পালানোর পরিকল্পনা বৃথা হয়, রিপোর্ট জানিয়েছে।

তবে কিছু ব্লগার যেমন নেস্ট অফ নিক্স [5], বলেছেন যে এটা একেবারেই সহ্য করা যায়না যে জলদস্যুরা হত্যা করবে। ব্লগার ব্যাখ্যা করেছেন যে যেহেতু সোমালি জলদস্যুরা খুব নিম্ন স্তরের সাহসিকতা দেখান, তাই জলদস্যুদের মধ্যকার দুর্বল মানসিক বন্ধন তাদেরকে দেশ থেকে অর্থ নেয়া থেকে বিরত রাখবে না, যা তাদের প্রধান লক্ষ্য।