মালয়েশিয়া: আত্মহত্যা একটি উদীয়মান সমস্যা

সাম্প্রতিক কালে মালয়েশিয়া একটি আশংকাজনক সামাজিক ইস্যুতে আক্রান্ত: যার নাম আত্মহত্যা। অনেক মালয়েশিয়াবাসীই এ বিষয়ে সচেতন হচ্ছে কারন যুবা শ্রেণীরাই এ ঘটনা বেশী ঘটাচ্ছে। ইংরেজী দৈনিক দি ষ্টার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে যে ২০-২৯ বছর বয়সের যুব শ্রেণীই বেশীর ভাগ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং গড়ে প্রতিদিনই দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা পত্রিকার খবরে আসছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে পরিসংখ্যানটি আরও বেশী হওয়া উচিৎ।

কয়েক সপ্তাহের ফারাকে, দুইজন মালয়েশিবাসী যুবক ফেসবুকে তাদের এই আকাঙ্খা ব্যক্ত করার পর আত্মহত্যা করেছে।

জশুয়া ওঙ এলভিস কঙ নামে ২২ বছর বয়সী একজন মালয়েশিবাসীর সম্পর্কে লিখেছে যে কিনা একটি সম্পর্ক তৈরীতে ব্যর্থ হবার পর আত্মহত্যা করেছে। তাতে সে আরও লিখেছে:

আমি পুনরায় ব্যক্ত করতে চাই যে এটা খুবই দুঃখ জনক বিষয় এবং এই কাজ সেখানে অনেক মানুষের জন্য একটা নিকৃষ্ট উদাহরণ স্বরূপ যেখানে একই ধরনের অভিজ্ঞতা/চিন্তাধারার মানুষ থাকতে পারে যারা কিনা এই আত্মহননকারীর পদানুসরণ করতে চাইতে পারে।

ফেব্রুয়ারীতে ঘটা আলাদা একটি ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী একজন বিদ্যালয় ছাত্রী সে তার জীবন দিতে চায় এধরনের খবর ফেসবুকে পোষ্ট করার কয়েকদিন পরই তার বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলা হতে লাফ দিয়ে পড়ে।

ব্লগার বিজি বিইং বসী লিখেছে যে এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা নিয়ে কিছু করা প্রয়োজন রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আত্মহত্যার পূর্বে যে কেউ সাহায্যের জন্য আকুতি করে। শেলীর ঘটনায়, সেও সাহায্যও জন্য কেঁদেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার সেই কান্না জনিত আকুতি ভুল কর্তৃপক্ষের নিকট গিয়ে পৌঁছায়। দুর্ভাগ্যবশত: আমরা শেলীর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা কি ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হব? মনে হচ্ছে আমরা একই ভুল বারবার করতে যাচ্ছি কারন মালয়েশিয়ান হিসেবে আমাদের গোপন করা অভ্যাস রয়েছে যেহেতু আত্মহত্যা করার ঘটনা আলোচনা করা আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। আমাদের অনুধাবন করতে হবে যে এটাই এ বিষয়ে আলোচনার সর্বোত্তম সময়। যদি তুমি হতাশায় নিমজ্জিত হও দয়া করে সঠিক কর্তৃপক্ষের নিকট সাহায্য কামনা কর। পিতামাতার কাছে, আত্মীয় স্বজনের কাছে, ডাক্তার, বন্ধু, শিক্ষক এবং কাউন্সিলরদের কাছে সাহায্য চাও। দায়িত্ববান হও। জীবনে মূল্য বোঝ।

এই মতামত শারিফা নঙ-জাসিমাও জানাচ্ছে:

খোলাখুলি ভাবে বললে আমি চিন্তা করি যে সকল মানুষ আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দেয়, যারা মনোযোগ আকর্ষণের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে কিন্তু এখন যারা তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে এই খবর তারা পত্রিকায় পড়ার পর তারা বন্ধু হয়ে যায় এবং এতে তারা আরও উৎসাহিত হয়ে পড়ে। “চল, মরা যাই” কিংবা “তোমাকে একটা কফিন কিনে দিতে দাও” ধরনের মন্তব্য পরোক্ষভাবে একজনকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করছে। যারা সমস্যায় পড়েছে তাদের কথা শোনা উচিৎ এবং সাহায্য করা উচিৎ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .