বড় বড় শহরের রাস্তাগুলোতে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা কর্মীর উপস্থিতি সত্ত্বেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে যে রোববার, ২০ ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে দুপুরের আগে থেকে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হয় এবং তেহরান, ইস্পাহান, শিরাজ, মারিভান এবং ইরানের অন্যান্য অনেক শহরে ক্রমশ সংখ্যায় ভারি হতে থাকে। বিরোধী ওয়েবসাইট সংবাদ প্রদান করেছে যে তেহরানের হাপ্তেফ তির স্কোয়ারের নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রতিবাদকারীদের উপর গুলি চালিয়েছে, যার ফলে একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সাফারি-আলি বারাতালো একজন নিরাপত্তা কর্মী, তিনি বিরোধীদের এই ওয়েবসাইটের প্রতি মিথ্যা সংবাদ প্রদানের অভিযোগ করেছেন এবং প্রতিবাদকারীদের সাথে কোন ধরনের সংঘর্ষ বা মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছেন, আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার নিউজ এসব তথ্য প্রদান করেছে:
বিক্ষোভে যোগদান করার কয়েক মিনিট পূর্বে দিভানসেরা লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:
আমরা বছরের পর বছর ধরে স্কুলে এই স্লোগান শুনে বড় হয়েছি যে “রক্ত একদিন তলোয়ারকে পরাজিত করবে”। এখন আমাদের সময় এসেছে এই পরীক্ষায় পাস করার…জনতার মাঝে যে খানিকটা দ্বিধা রয়েছে…, তারা জানে না এই বিক্ষোভের শুরু কোন এলাকা থেকে…। সম্ভবত ১৪ ফ্রেব্রুয়ারির চেয়েও রাস্তায় বেশি লোকের সমাগম হবে।
সাবজ২১ লিখেছে [ফার্সী ভাষায়] যে সেদিন তেহরান এক সামরিক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল এবং সেখানে সব জায়গায় নিরাপত্তা রক্ষীর উপস্থিত ছিল।
পারসিয়ারয়াল লিখেছে [ফার্সী ভাষায়] যে গ্রীন মুভমেন্ট নামক আন্দোলনের নেতাদের উচিত প্রতিবাদকারীদের প্রতি প্রতিদিন বিক্ষোভের প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে শাসকগোষ্ঠীর প্রতিটি দিন রাতের দুঃস্বপ্নে পরিণত করা।
ইত্তেহাদসাবজ লিখেছে [ফার্সী ভাষায়] মিশর এবং তিউনিশিয়ার প্রমাণ করেছে যে সাফল্যের রহস্য হচ্ছে রাস্তায় জনতার উপস্থিতি।
এখানে কিছু ভিডিও রয়েছে যা প্রদর্শন করছে ইরান এবং তার বাইরে আরেকটি দিনের বিক্ষোভের দৃশ্য।
তেহরানের প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিয়েছে “বেন আল আর মুবারকের এর এবার সাইয়েদ আলির পালা”, তারা এখানে সাইয়েদ আলি বলতে ইরানের নেতা সাইয়েদ আলি খামেনির কথা উল্লেখ করছে এবং সম্প্রতি তিউনিশিয়া দেশ থেকে রাষ্ট্রপতি জিনে এল আবেদিন বেন আলিকে বিতাড়িত করে।
এবং এখানে আরেকটি ভিডিও রয়েছে যা সিরাজ শহরের উপর তোলা, যেখানে সবাই স্লোগান দিচ্ছে “স্বৈরাচার নিপাত যাক”।