- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিশর: নতুন এক মিশরকে স্বাগতম

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., মিশর, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ

এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ [1]

মিশরীয় নাগরিকরা উন্নত এক ভবিষ্যৎ-এর স্বপ্ন [2] দেখা শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে কারো কারো স্বপ্ন পুরণ হতে শুরু করেছে। এই পোস্টে আমরা সেই সব মিশরীয় ব্লগারদের কথা শুনবো, যাদের মনে হচ্ছে তারা দেখতে পাচ্ছে নতুন একটি দেশের জন্ম হচ্ছে, যে দেশের জন্যে তারা এতদিন অপেক্ষা করছিল।

মোনা সেইফ (@মোনাসোশ [3])থেকে তাহরির স্কোয়ার হতে প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর জানাচ্ছেন, এমনকি এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারির [4] রাতের সংবাদ রয়েছে। “সাহসের“ সাথে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন:

আমাকে এটা খুলে বলতে হবে: আমি সাহসী ছিলাম না, আমি ছিলাম সুরক্ষিত।
রাত পর্যন্ত যুদ্ধ চলেছে। পাথর আর কাঁচের টুকরো দিয়ে শুরু হয়ে মলোটভ ককটেল পর্যন্ত ছোঁড়া হয়, তারপরে শুরু হয় গোলাগুলি। সেনাবাহিনী সেখানে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিল, এবং এক পর্যায়ে তারা সবাই সেখান থেকে চলে গিয়ে তাদের ট্রাকে লুকিয়েছিল।
সে রাতে যে সাহসিকতা আমি দেখেছিলাম, তার বর্ণনা দেয়ার ভাষা আমার নেই। […] সে রাত আমাকে পরিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, আমি তাহরির স্কোয়ারের মতই মিশর চাই। মিশর যা, সেখানকার জনগণও তাই। আমাদের ভাগ্যে যাই থাকুক, আমি তাদের সাথে ছিলাম।

[5]

বিপ্লব। ছবি ইমাম মোসাদের সৌজন্যে পাওয়া। ক্রিয়েটিভ কমন্স এট্রিবিউশন-শেয়ার এলাইক ২.০ জেনেরিক লাইসেন্সের অধীনে তা ব্যবহার করা হয়েছে।

এক বন্ধুর সাথে তাহরির স্কোয়ার দেখে এবং কিছু বিক্ষোভকারীর [6] মুখোমুখি হওয়ার পর মেরী বর্ণনা করেছে:

তাদের একজন মুখমণ্ডলে হাসির ঝলক নিয়ে আমাকে আর আমার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিল “তোমরা কেন এসেছ?“ … আমার বন্ধু বলেছিল “কারণ এটা আমার দেশ …“, আমি তার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম, আর অনেক কষ্টে তাকে আলিঙ্গন করা থেকে নিজেকে সংযত করে আমি উত্তর দিয়েছিলাম “কারণ তুমি আমার দেশ“ … আর তারা তাই। হায় ঈশ্বর, তারাই আমাদের দেশ। আমি সারাজীবন খুঁজছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি তা খুঁজে পেয়েছি …

নাদিয়া এল-ওয়াদি তার টুইটারে [7] একই অনুভূতির প্রতিধ্বনি করেছেন:

মিশরীয় নাগরিক যারা নিজের ঘরে বসে আছেন: সরকারি টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে, তাহরিরে চলে আসুন। #মিশর দেখুক, আমরা সবাই #জান২৫-এরই অপেক্ষা করেছি।

নিজেকে স্বপ্নের পৃথিবীর পলাতকা নামে পরিচয় দেওয়া ব্লগার লিখেছেন [8]:

كنت قد اخترت لمدونتي اسم دنيا غير الدنيا علي اعتبار انها دنيا احلام .. لم ولن يتحقق فيها فيها شيء مما نرجو…. دنيا اسبح فيها بخيالي لابعد ما يكون دون الوصول لادني حلم …. لكن بعد الخامس والعشرين من يناير اكتشفت ان انني كنت مخطئة لابعد حد ….فقد علمني شباب مصر بل علم العالم باسره انه لا مستحيل يمكنك ان تحلم وتصل بحلمك لابعد ما يكون يكفيك الارادة وحدها كي تحقق ما تتمناه … انني فخورة باني مصرية وبأني انتمي لهدا الجيل الرائع من شباب مصر …. لقد اصبحت مصر فعلا دنيا غير الدنيا بكل المقاييس
স্বপ্নের জগতের সাথে আমার ব্লগের সংশ্লিষ্টতার কারণে আমি এই নাম পছন্দ করেছিলাম “এ পৃথিবীর বাইরের পৃথিবী“ … আমরা এমন কিছুর আশা করছিলাম না, যা এর মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বা হতে পারে … এমন এক পৃথিবী যেখানে আমি আমার কল্পনার সাগরে ভেসে বেড়াতাম.. তা যত দূরেরই হোক না কেন কোন স্বপ্নকে ছুঁতে না পেরেও তাতে সাঁতার কাটতাম … কিন্তু ২৫ জানুয়ারির পর আমি নিজেকে এক মহা ভুলের মাঝে আবিষ্কার করলাম … মিশরীয় যুবারা আমাকে শেখাল…. বাস্তবে গোটা বিশ্ব আমাকে শেখাল যে, এটা অসম্ভব নয়; আপনি স্বপ্ন দেখতে এবং তা অর্জনও করতে পারেন, তা যত বড়ই হোক না কেন। যা দরকার তা হল, আপনি যা আশা করছেন তা অর্জনের সংকল্প থাকতে হবে … আমি গর্বিত আমি মিশরীয় বলে, আর আমি তরুণ মিশরীয় নাগরিকদের এই চমৎকার প্রজন্মেরা বলে … মিশর সত্যিকারভাবেই এই পৃথিবীর বাইরের এক পৃথিবী, সব ধরনের মাপকাঠিতেই।