এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ
মিশরীয় নাগরিকরা উন্নত এক ভবিষ্যৎ-এর স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে কারো কারো স্বপ্ন পুরণ হতে শুরু করেছে। এই পোস্টে আমরা সেই সব মিশরীয় ব্লগারদের কথা শুনবো, যাদের মনে হচ্ছে তারা দেখতে পাচ্ছে নতুন একটি দেশের জন্ম হচ্ছে, যে দেশের জন্যে তারা এতদিন অপেক্ষা করছিল।
মোনা সেইফ (@মোনাসোশ)থেকে তাহরির স্কোয়ার হতে প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর জানাচ্ছেন, এমনকি এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারির রাতের সংবাদ রয়েছে। “সাহসের“ সাথে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন:
আমাকে এটা খুলে বলতে হবে: আমি সাহসী ছিলাম না, আমি ছিলাম সুরক্ষিত।
রাত পর্যন্ত যুদ্ধ চলেছে। পাথর আর কাঁচের টুকরো দিয়ে শুরু হয়ে মলোটভ ককটেল পর্যন্ত ছোঁড়া হয়, তারপরে শুরু হয় গোলাগুলি। সেনাবাহিনী সেখানে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিল, এবং এক পর্যায়ে তারা সবাই সেখান থেকে চলে গিয়ে তাদের ট্রাকে লুকিয়েছিল।
সে রাতে যে সাহসিকতা আমি দেখেছিলাম, তার বর্ণনা দেয়ার ভাষা আমার নেই। […] সে রাত আমাকে পরিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, আমি তাহরির স্কোয়ারের মতই মিশর চাই। মিশর যা, সেখানকার জনগণও তাই। আমাদের ভাগ্যে যাই থাকুক, আমি তাদের সাথে ছিলাম।
এক বন্ধুর সাথে তাহরির স্কোয়ার দেখে এবং কিছু বিক্ষোভকারীর মুখোমুখি হওয়ার পর মেরী বর্ণনা করেছে:
তাদের একজন মুখমণ্ডলে হাসির ঝলক নিয়ে আমাকে আর আমার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিল “তোমরা কেন এসেছ?“ … আমার বন্ধু বলেছিল “কারণ এটা আমার দেশ …“, আমি তার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম, আর অনেক কষ্টে তাকে আলিঙ্গন করা থেকে নিজেকে সংযত করে আমি উত্তর দিয়েছিলাম “কারণ তুমি আমার দেশ“ … আর তারা তাই। হায় ঈশ্বর, তারাই আমাদের দেশ। আমি সারাজীবন খুঁজছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি তা খুঁজে পেয়েছি …
নাদিয়া এল-ওয়াদি তার টুইটারে একই অনুভূতির প্রতিধ্বনি করেছেন:
মিশরীয় নাগরিক যারা নিজের ঘরে বসে আছেন: সরকারি টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে, তাহরিরে চলে আসুন। #মিশর দেখুক, আমরা সবাই #জান২৫-এরই অপেক্ষা করেছি।
নিজেকে স্বপ্নের পৃথিবীর পলাতকা নামে পরিচয় দেওয়া ব্লগার লিখেছেন: