এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ
সুদান, সিরিয়া, আলজেরিয়া লিবিয়া এবং মরক্কোতে সম্ভাব্য বিপ্লবের বিষয়টি চিন্তা করে অনলাইনে আরব বিশ্বের বিপ্লবের সময়সূচি ঘোষনা করা হয়েছে। তারিখগুলো হলো, ক্রমান্বয়ে ৩ জানুয়ারি (ইতোমধ্যেই সুদানি ছাত্ররা খার্তুমের রাজপথে মিছিল করেছে), ৫ ফেব্রুয়ারি, ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৩ মার্চ।
বাহরাইনের টুইটারে কানাঘুষা চলছে যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি হবে বাহরাইনের বিপ্লবের সম্ভাব্য দিবস। আর টুইটারের আলোচনা অনুযায়ী, সৌদী আরবসহ অন্যান্য আরব বিশ্বেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিউনিশিয়ার পর অন্যান্য দেশে এভাবে স্বৈরশাসকদের পতন ঘটানো সম্ভব হবে কি না – এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ছিল। দশদিন পর মিশর জেগে উঠে, সেখানে বিক্ষোভকারীদের প্রথমে দাবি ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কার, আর এখন তা হোসনি মুবারকের ত্রিশ বছরের শাসনের অবসানের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
টুইটারে প্রাপ্ত আলোচনায় যেমন পরিবর্তনের বিষয়ে অবিশ্বাস ছিল তেমনি পরিবর্তনের পক্ষে কেউ কেউ একাত্ম ছিল। অনেকে আবার তাঁর দেশে এ রকম গণজাগরণের ঢেউ জাগবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আলোচনাটি ছিল আন্তর্জাতিক, এ ব্যাপারে সারা বিশ্ব থেকে টুইটার ব্যবহারকারীরা তাঁদের মতামত প্রদান করে।
@ইউইলকি টুইট করেছে:
@ইউইলকি: সত্যি, বিপ্লবের উপর একটা সময়সূচি তৈরি করা হয়েছে!? টুইটারে আরব বিশ্বের বিপ্লবের সময়সূচি:সুদান #জান৩০, সিরিয়া#ফেব০৫, আলজেরিয়া#ফেব১২, লিবিয়া#ফেব৩০# মরোক্কো#মার্চ১৩
@মার্টিনচুলোভ এর সাথে যোগ:
@মার্টিনচুলোভ: অ্যাকটিভিস্টরা টুইটার ব্যবহার করে মিশর পরবর্তী ‘আরব বিপ্লবের সময়সূচি’ দাঁড় করিয়েছেন এভাবে – ইয়েমেন ৩ ফেব্রুয়ারি, সিরিয়া ৫ ফেব্রুয়ারি, আলজেরিয়া ১২ ফেব্রুয়ারি,
@কাইওয়া_কেটি ঠাট্টা করে বলেন:
@কাইওয়া কেটি “আরব বিপ্লবের সময়সূচি”? কতই না উদ্দীপনামূলক!
ইভোন রিডলি মন্তব্য করেছেন:
@ইভোনরিডলি: কেবল #মুবারক একমাত্র ব্যক্তি নয়, যে তাহরির স্কোয়ারে টিভি চ্যানেলের উপস্থিতি পছন্দ করে না, অন্য সকল আরব নেতারাও চায় না যে, তাদের জনগণ #মিশরের এই বিপ্লবের উপর চোখ রাখুক। #ইজিপশিয়ান রেভোলিউশন
এবং হামিশ৬পিএম একমত:
@হামিস৬পিএম: আরব বিপ্লবের আর কি কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতীকের প্রয়োজন আছে, যখন স্বাধীনতা চত্তরে হাজারো মানুষের মাথা প্রার্থনায় নত ছিল? # মিশর#জান…
ইতোমধ্যেই বিপ্লবের ঢাকের আওয়াজ এ অঞ্চলে ছাড়িয়ে পড়েছে:
@লোস্ট্রোনাট১: মিশরীয়দের অনুকরণে হাঁটতে শুরু করা——— স্বৈরশাসককে অবশ্যই যেতে হবে।
যদিও বিপ্লবের সময়সূচির ক্ষেত্রে সৌদি আরবে কোন তারিখ নির্ধারিত হয়নি, তবে টুইটার, এই বিষয়ের উপর আলোচনা ভরে আছে।
মেকিংস্কট: রিটুইট@আহমেদ খান০১ সৌদি আরব, আমি মনে করি- একসময় সেখানকার শাসকদেরও পতন হবে, আশা করি। বিপ্লব কখনোই ততটা সুন্দর বা সহজ নয়, শীঘ্রই আমরা এখানেও একটা বিপ্লব দেখতে পাব।;-)
@মেডোরস: আরটি@সাগিব্বাসভেন্টকো। আমি কল্পনা করছি যে যুক্তরাষ্ট্র নামক দেশটি সিরিয়া, ইরান, অথবা অন্য কোথাও এক বিপ্লব কামনা করছে। এখন ইরাক, সৌদি আরব, অথবা অন্য কোন স্থানে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে?
@সালিমাগুল: @গোল্ডেনরক্স৭৭। সৌদি আরবে বিপ্লব!! বিষয়টি ততটা মধুর হবে না! আসুন আমরা পাকিস্তান থেকে সৌদি আরব পর্যন্ত #বিপ্লব কামনা করি। আসুন আমরা নিজেরা মুক্ত হই#ইজিপ্ট
অন্যরা কঠোর বাস্তবতার দিকে নজর দিয়েছে:
@কিডসহ্যাভরাইটস২: আরটি@থারওকলামস: আরব শাসকদের বয়স: সৌদি আরব ৮৭, মিশর ৮৩, কুয়েত ৮২, ইরাক ৭৮, আলজেরিয়া ৭৪, ওমান ৭১, লিবিয়া ৬৯, ইয়েমেন ৬৯, সুদান ৬৭#রেভলিউশন।
বাহরাইন নিজেও বিপ্লবের এই মূল সময়সূচিতে অর্ন্তভুক্ত ছিল না। কিন্তু #ফেব১৪ নামক হ্যাশট্যাগ, টুইটারে নানা আলোচনা এবং মন্তব্য আকর্ষণ করেছে:
@ট্রুথউইটনেস: ১৪ফেব্রুয়ারি ২০১১ #বাহরাইনের জন্য এক বিপজ্জনক দিন। #বিপ্লবকে শুরু হতে দিন http://www.youtube.com/watch?v=1zYw89v7g0U#মিশর#জান২৫
এই সময়সূচি অনুসারে, বিপ্লবের পরবর্তী লক্ষ্য সিরিয়া। কিন্তু সিরিয়ার নাগরিকদের সাথে যখন আমি কথা বলি, তখন তারা এটিকে নাকচ করে দেয়।
এখানে সিরিয়া থেকে আসা কিছু প্রতিক্রিয়ার নির্বাচিত অংশ:
@এসওয়াই০ফ্রি: সিরিয়ার শহরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে নিরাপত্তার রক্ষীর সংখ্যা দ্বিগুণ করে ফেলা হয়েছে। তারা #ফেব০৫ এর জন্য তৈরি হচ্ছে।
@হামাউই: #সিরিয়ার জনতা কি এখনই #ফেব০৫-এর জন্য তৈরি?? আমি তেমনটাই আশা করি :s ==> http://on.fb.me/fRuGkC
ইতোমধ্যে, লিবিয়া,ইয়েমন এবং জর্ডানে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ আসতে শুরু করছ। জর্ডানের বাদশাহ ইতোমধ্যে সে দেশে একজন নতুন প্রধান মন্ত্রী নিয়োগ করেছে।
এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ