মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: “আমরা আল জাজিরা চাই!”

এ পোস্ট   মিশর প্রতিবাদ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ

I want Al Jazeeraছবি মাইক লিচ, নেশনস ক্যাপিটাল.কম

সম্প্রতি তিউনিসিয়া এবং মিশরের গণজাগরণের উত্থানের সংবাদ প্রচারের কারনে কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা বিশেষতঃ আল জাজিরার ইংরেজি ভাষার চ্যানেল বিশ্বজুড়ে প্রশংসা অর্জন করেছে । নিউইয়র্ক টাইমস http://english.aljazeera.net/ (ইংরেজি.আলজাজিরা.নেট) লাইভ স্টেশনের এবং এর ফেসবুক পাতার প্রশংসা করেছে। মার্কিন জনগণের একটি অংশ তাঁদের কেবল প্যাকেজের অংশ হিসেবে চ্যানেলটি পাওয়ার জন্য লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউইয়র্কের সাংবাদিকতার একজন অধ্যাপক জেফ জার্ভিস এক ব্লগ পোস্টে ব্যখ্যা করেন:

কেবল কোম্পানি: আল জাজিরা ইংরেজি এখনই সংযোগ দাও!

এখন পর্যন্ত বিষয়টিকে অস্বীকার করা পুরোদস্তুর অ-মার্কিনি মনোভাবের পরিচায়ক। গুরুত্বপূর্ণ পৃথিবী পরিবর্তনকারী খবর মধ্যপ্রাচ্যে ঘটছে অথচ অকারণে ভীত, বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতি মোহগ্রস্ত অথবা মেরুদণ্ডহীন মার্কিন প্রচার মাধ্যম পরিপ্রেক্ষিত, ভিতরের সংবাদ এবং ঘটনাস্থল থেকে সংবাদ প্রচারে আল জাজিরা ইংরেজি চ্যানেলের কাছে ব্যর্থ হয়েছে ।

হ্যা আমরা ইন্টারনেটে আজাই (আল জাজিরা ইংরেজি) দেখতে পারি। কিন্তু আমার মত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছাড়া অন্যান্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উপর একইরকম প্রভাব পড়বে না বিশেষ করে  আজাই কেবল রাজনৈতিক ও শিক্ষার ক্ষেত্রে যে  প্রভাব রাখছে। এখন আমি যেখানে আছি সেই জুরিখের হোটেল কক্ষে আমি আজাই দেখতে পারি কিন্তু আমি চাই আমি যেনো আমার বাড়ীর সোফায় বসে তা দেখতে পারি।

জার্ভিস আরো টুইট করেন:

গালফ যুদ্ধের জন্য যেমন সিএনএন  মিশরের বিপ্লবের জন্য তেমন আল জাজিরা ইংরেজি.. শুধু আমরা মার্কিনিরা তা দেখতে পেলাম না।

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জে রোজেন একইভাবে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে টুইট করেছেন:

যখন বিএস তাঁদের আমন্ত্রিতদের বের করে দিয়েছিল সে ঘটনার প্রতিবাদকারীদের প্রতিনিধি হয়ে আল জাজিরা দেখিয়েছে মার্কিন ইলেক্ট্রনিক সংবাদ মাধ্যম কতটা দেউলিয়া।

এ বিষয়ে দানিয়েল স্ট্রিচার হাফিংটন পোস্ট-এর নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে আজ সকালে টুইট করেন:

আমেরিকায় টিভিতে আমরা কেন আল জাজিরা ইংরেজি দেখতে পারবনা? বিবার প্রতিবেদন কি যথেষ্ট নয়? http://pulsene.ws/Vr5J

রাজ্যে কেন চ্যানেলটি দেখানো হয়না সে সর্ম্পকে রব হাইন্ডম্যান একটা বিকল্প ব্যখ্যা দিয়েছেন:

উইকিলিকসের মত আমেরিকা আল-জাজিরার স্বাধীনতাকে ভয় পায়।

মার্কিন জনগণ যাতে  আল জাজিরা ইংরেজি প্রচারের জন্য  কেবল পরিচালনাকারীদের প্রতি দাবী উত্থাপন করে সে বিষয়ে চ্যানেলটি নিজেই  প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।এ প্রচারণাটি বিভিন্ন উপকথা ও বাস্তবতার মোকাবেলা করছে এবং ব্যবহারকারীদের তাঁদের জিপকোড এবং তাঁদের পছন্দের কেবল পরিচালনাকারীর নিকট চিঠি পাঠানো অনুমোদন করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আল জাজিরা কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার কারন অস্পষ্ট, যদিও সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর প্রচারের দাবিকে আটকানো যাবেনা। এ সাইটের অনলাইন প্রধান মোহামেদ নানাভাই টুইট করেন:

আজ রাতের আল জাজিরা ইংরেজি ((http://english.aljazeera.net) ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যত লোকজন প্রবেশ করেছে তার ৫৫% যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জনগণ।#মিশর


ছবি নোশনস ক্যাপিটাল.কম এর মাইক লিষ্টের, ক্রিয়েটিভ কমনস অ্যাট্রিবিউশন২ জেনেরিক (সিসি বাই ২.০) লাইসন্সের আওতায় ব্যবহৃত

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .