- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মেক্সিকো: “ক্রিস্টালের সিসটিন চ্যাপেল”

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, মেক্সিকো, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ, বিজ্ঞান, ভ্রমণ

মেক্সিকোর উত্তরের প্রদেশ চিহুয়াহা প্রদেশের এই শহরটি নাইকা নামে পরিচিত। ১৭৯৪ সাল থেকে এটি খনির শহর নামে পরিচিত [1]। কিন্তু এখানকার থনি মাত্র কয়েক বছর আগে তার আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করে যখন এখানে তথাকথিত ক্রিস্টালের গুহা আবিস্কার হয়। এই গুহার ভেতর এক অতিকায় ক্রিস্টাল আবিস্কার হয়, যার মুন স্টোন নামে পরিচিত। এটি যেন এই পৃথিবীর বাইরের এক জগতের অনুভূতি প্রদান করে।

[2]

জিপসাম ভি.সেলেনাইট। ছবি ফ্লিকার ব্যবহারকারী বি,টিএসই-এর। সিসি বাই -এনসি-এনডি ২.০ লাইসেন্স।


ব্লগ ডে সুপারহিরোস [3]-এ [স্প্যানিশ ভাষায়] ব্লগার কার্লোস রকে সানচেজ ঘটনাটির ব্যাখ্যা করেছেন

Ocurrió que realizando nuevos túneles de exploración en búsqueda de más mineral, y estando a una profundidad de casi cuatrocientos metros (400 m), por casualidad, se descubrió una cueva repleta de enormes cristales de selenita (yeso), de unos diez metros (10 m) de longitud y alrededor de uno (1 m) de ancho.

Un espectáculo difícil de imaginar.

Ningún hombre había visto hasta entonces algo igual. Una auténtica maravilla de la naturaleza que se mostró a los sorprendidos ojos de los mineros de manera serendípica, de forma accidental.

আরো অনেক খনিজ উপাদানের জন্য যখন নতুন সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছিল, তখনই এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা ক্রমে মাটির প্রায় ৪০০ মিটার নীচে হঠাৎ করেই তারা ঘটনাক্রমে আবিষ্কার করে এক বিশাল গুহা। এই গুহার পুরোটাই সেলেনাইট (জিপসাম)-এর ক্রিস্টালে পরিপূর্ণ, যা দৈর্ঘ্যে ১০ মিটার এবং প্রস্থে ১ মিটার।

এমন এক দৃশ্য যা কল্পনা করা কঠিন।

কোন মানুষ এর আগে এমন দৃশ্য দেখেনি। প্রকৃতির এক চমৎকার, যা খনি শ্রমিকদের চোখে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। যা ছিল এক সৌভাগ্যপূর্ণ দুর্ঘটনা।

কার্লোস তার পোস্টে আরো জানান, এই গুহায় মানুষের প্রবেশ করা কঠিন [3]। তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেন [স্প্যানিশ ভাষায়]:

Por supuesto no está abierta al público. Sus trescientos noventa metros (390 m) de profundidad, más de cincuenta grados Celsius (50 ºC) de temperatura y un aire saturado de humedad casi del cien por cien (100%), la hacen inhabitable para el ser humano.

En esas condiciones sólo se podría sobrevivir unos ocho minutos (8 min), antes de deshidratarse, de “cocerse al vapor”. Un lugar diabólico localizado por lo que llaman las coordenadas del infierno.

এটা জনতার জন্য উন্মুক্ত নয়। এটি মাটির প্রায় ৩৯০ মিটার নীচে অবস্থিত। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। সেখানকার বাতাসে আর্দ্রতার অনুপস্থিতি ১০০ ভাগ। যার ফল এই জায়গায় মানুষ্য প্রবেশের একেবারে অনুপযুক্ত।

এই রকম পরিস্থিতিতে সেখানে কোন মানুষ ৮ মিনিটের বেশি টিকে থাকতে পারবে না। এরই মধ্যে তার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেবে, যদি না তার আগেই সে “সিদ্ধ” হয়ে যায়। সেখানকার পরিবেশ এত বাজে যে এই জায়গাটিকে “নরকের আস্তানা” বলে অভিহিত করা হয়।

ব্লগ দি ফ্লাইশ্চ ডিপোজিট [4] এর সাথে যোগ করেছে:

ভারী এক স্টিলের দরজা এবং মেক্সিকোর আইন খনি সম্পদ আরোহণকারী এবং অন্য সব লোভী মানুষদের এই জায়গায় প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। ক্রিস্টাল নিয়ে যারা গবেষণা করা তরা এই সব উপাদান নিয়ে চিন্তিত। কারণ পানি ছাড়া এগুলো টিকে থাকতে পারবে না। আবার নিজের ওজনের ভারে এগুলো বেঁকে যেতে পারে, কিংবা এগুলোতে ফাটল ধরতে পারে। এখন যেহেতু খনন করার ফলে এই এলাকায় বাতাস প্রবেশ করছে, তার ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্য গ্যাস এগুলোর চেহারাকে মলিন করে ফেলতে পারে। যার ফলে তারা তাদের গৌরব হারিয়ে ফেলবে।

ব্লগ ডে সুপারহিরোস-এ কার্লসো তার পোস্টের সমাপ্তি টেনেছেন সুপারম্যান এবং ক্রিপ্টোনাইটের কথা উল্লেখ করে [3][স্প্যানিশ ভাষায়] এবং তিনি এই গুহার যে বিশেষ জনপ্রিয় নাম তা প্রকাশ করে দিয়েছেন:

Y es que los enormes cristales semejan haces de luz que inundan la cavidad. Una cavidad que nos ofrece unos paisajes que parecieran salidos de otros mundos.

De ahí mi referencia a la kriptoniana fortaleza supermánica.

Una buena prueba de su singular belleza nos la da el sobrenombre que le han puesto: la Capilla Sixtina de la Cristalografía.

এই ক্রিস্টাল থেকে যে প্রচণ্ড আলো বিচ্ছুরণ হয় তা গুহাটিকে আলোকিত করে রাখে। এমন এক এলাকা, যা দেখে মনে হয় এটি অন্য কোন পৃথিবীর দৃশ্য।

এই এলাকাটি দেখে আমার মনে হয়েছে, সুপারম্যানের ক্রিপ্টোনিয়ান শক্তির উৎস এখানে।

এর যে বিশেষ নামকরণ করা হয়েছে, তাতে এর আলাদা সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে। এই এলাকাকে ‘সিসটিন চ্যাপেল অফ ক্রিস্টালগ্রাফি’ বা ক্রিস্টালের সিসটিন চ্যাপেল নামে ডাকা হয়। (সিসটিন চ্যাপেল হচ্ছে রোমের ভ্যাটিকানে অবস্থিত পোপের প্রাসাদ, যেখানে বিখ্যাত কিছু শিল্পীদের নামকরা কিছু তৈলচিত্র আঁকা রয়েছে)

[5]

মেক্সিকোর নাইকা এলাকার সেলেনাইট জিপসাম ক্রিস্টাল। লস এঞ্জেলস ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত। ছবি ফ্লিকার ব্যবহারকারী লেভরক ওরফে জুলিয়ান ফঙ্গ-এর। সিসি বাই-এসএ ২.০ লাইসেন্স অনুসারে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রকৃতির বিস্ময় এবং নাইকার এই এলাকা সম্বন্ধে আরো জানতে চাইলে নাইকা প্রকল্পের নিজস্ব সাইট [6] এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ফটোগ্যালারিতে [7] প্রবেশ করুন এবং এ এলাকার উপর তোলা ভিডিও [8] দেখুন।