সৌদি আরব: তিউনিশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সৌদি আরবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে

শুক্রবারে, সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রপতি বেন আলি, তিউনিশিয়া থেকে পালিয়ে যায়। বেন আলির বিমান কোথায় অবতরণ করতে পারে, তা নিয়ে ব্লগার এবং টুইটার ব্যবহারকারীরা বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে। কেউ বের করেছে যে, সে ফ্রান্সে পালিয়ে গেছে, আবার অন্যরা মনে করছে, তার গন্তব্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে জানা গেছে, বেন অলির চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল সৌদি আরব- সেই একই রাষ্ট্র, যে কিনা উগান্ডার স্বৈরশাসক শাসক ইদি আমিনের পতনের পর তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।

@ওলিয়ালেচ-এর, দ্রুত বিষয়টি নজরে পড়ে:

তাহলে তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতি সৌদি আরবে ঠাঁই নিয়েছে, যে ভাবে ইদি আমিন নির্বাসিত হয়েছিল, অনেকটাই সেই ধাঁচে… কৌতুহলজনক ঘটনা।

@ওয়েডড্যাডি, টুইটারে একটা বিষয় খেয়াল করেছেন, বেন আলিকে সৌদি আরবে স্বাগত জানানোর ব্যাপারে টুইটারে সৌদি নাগরিকরা যে প্রতিক্রিয়া প্রদান করেছে. সেই বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন:

কৌতুহলজনক বিষয়: টুইটারে বেন আলির সৌদি আরবে আশ্রয় নেবার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর#সৌদি টুইপ সংগঠকরা তাদের সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে, যেন তারা বেন আলিকে আশ্রয় না দেয়।#সিদিবোউজিদ

ঘটনা হল, সৌদি টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের চিন্তার কথা প্রকাশ করেছে: @রাডিকালআহমাদ বলছে:

প্রিয় #তিউনিশিয়ার নাগরিকরা: আমি#সৌদি এক নাগরিক এবং আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি যে #জেদ্দায় #বেনআলির আগমন, আমাদের চাওয়াকে প্রতিনিধিত্ব করে না#নটইনমাইনেম

@দিমা_থাতিব নামক ভদ্রমহিলা তার অনুসারীদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, বেন আলিকে সৌদি আরবে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত সৌদি জনগণের নয়:

সবাই দয়া করে শুনুন, আমি আবার উচ্চারণ করছি। বেন আলিকে আশ্রয় দানের জন্য সৌদি আরবের নাগরিকদের আক্রমণ করার কোন প্রয়োজন নেই। সৌদি বাদশাহর পরিবারিক সিদ্ধান্তের সাথ তাদের কোন সম্পর্ক নেই। #সৌদি

এবং সবশেষে ব্লগার সৌদি জিনস এই ঘটনা, তিউনিশীয় নাগরিকদের সাথে উদযাপন করছে, তার সাথে সে বেন আলিকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে তার স্বদেশের সিদ্ধান্তের প্রতি অসোন্তষ প্রকাশ করছে:

আজকের দিনটা তিউনিশিয়ার জন্য এক আলাদা, এক অন্য রকম দিন। চার সপ্তাহ ধরে রাস্তায় চলা এক বিক্ষোভের পর, বেন আলি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সম্ভবত এই প্রথম আমরা দেখলাম যে, কোন আরব নেতার পতন তার জনগণের দ্বারাই হল। আমি বিশেষ করে ‘আমার বন্ধু সামি বিন ঘারবিয়া এবং সালিম আমায়ুর জন্য উত্তেজনা বোধ করছি, যারা এই দিনটি দেখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছে। যে একটি বিষয় আমাকে উদ্বিগ্ন করছে, তা হচ্ছে সৌদি আরব এই বিতাড়িত স্বৈরশাসককে আমাদের দেশে আশ্রয় নেবার জন্য স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু এখন, আসুন আমরা কেবল এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে স্মরণ করি। এই ঘটনা, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরশাসকদের পতনের কারন হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .