আলজেরিয়া: বিদ্রোহ কি ছোঁয়াচে?

ছবি ফ্লিকার থেকে পেরিভোলারিসের। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এর আওতায় ব্যবহার করা হয়েছে।

গত দুই দিন ধরে আলজেরিয়ার বেশ কিছু গ্রামে শত শত তরুণ জীবন যাত্রার ব্যায় বৃদ্ধিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। আলজেরিয়ার এই ঘটনা, আশেপাশের বেশ কিছু এলাকাকে বিস্মিত করে, যেখানে বিভিন্ন কর্মী শ্রেণী বাস, বিশেষ করে বাব এল ওয়েদ [ফরাসী ভাষায়] নামক এলাকায়। এখানে ১৯৮৮ সালে এক রক্ষক্ষয়ী দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়। এই সব প্রাথমিক বিক্ষোভ দেশটিতে দৃশ্যত এক গণতান্ত্রিক জীবনকে তুলে ধরে, যেমনটা ব্লগ দেজাজেইর আভন্ত তুত [ফরাসী ভাষায়], আলজেরিক পলেটিক [ফরাসী ভাষায়] এবং স্কোটোফেলা [ফরাসী ভাষায়] আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়:

ব্লগ ইটস গুড টু বি ব্যাক-এ লেখা শিরোনাম “লে ফ্রিশন ডে লা রিফন্তে” [ফরাসী ভাষায়]-এ, লেখক বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিকে তিউনিশিয়ার সাথে যুক্ত করেছে:

La révolte est-elle contagieuse ? Si les situations politiques divergent radicalement en Tunisie et en Algérie [fr], les espoirs et les rêves brisés d’une jeunesse se sentant laissée pour compte de la croissance tendent à produire les mêmes effets.

বিদ্রোহ কি ছোঁয়াচে? এমনকি, যদিও তিউনিশিয়া আর আলজেরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন, কিন্তু আশা এবং স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়া এক তরুণের, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি না ঘটার ফলে যে হতাশার জন্ম হয়, তা দুটি দেশের জন্য একই ফল বয়ে এনেছে।

৫ জানুয়ারি বুধবারের রাতে আলজেরিয়ার বাব এল ওয়েদ, ক্লাইমেট ডে ফ্রান্স এবং রিয়াস হামিদুন এলাকার তরুণরা দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায়, এক ধনী দেশে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবং অবর্ণনীয় দুর্দশায় পতিত হওয়ায় কারণে, রাস্তায় নেমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ALGERIE les emeutes 2011

ব্যবহারকারী রিলাক্সেশনডিজেড-এর ইউটিউব ভিডিও:

রেনল্ট নামক গাড়ির প্রতিষ্ঠান এবং এক চীনা গাড়ি কোম্পানীর ডিলারের শোরুম ভাঙ্গচুর করার পর তরুণেরা পুলিশ থানায় হামলা চালায়। দাঙ্গাকারীরা দুটি মোবাইল ফোনের দোকান তছনছ করে। চেরাগ এলাকায় তরুণরা জাতীয় পুলিশ ব্যারাকের খুব কাছেই আগুন ধরিয়ে দেয়। বারাদ এল কিফ্ফান, বেলকোর্ট এবং কোউবার মত এলাকায় একই ধরনের সংঘর্ষের দৃশ্য দেখা যায়।

তরুণেরা, ক্ষমতাশালী ব্যক্তিবর্গ এবং আলজেরীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক স্লোগান দেয়। দেশটির আরো বেশ কিছু শহরে দাঙ্গা দেখা দেয়, বিশেষ করে পশ্চিম আলজেরিয়া অবস্থিত ওরান শহরে, যেখানে তরুণরা বেশ কিছু সরকারি ভবন ভাঙ্গচুর করে। অন্যান্য শহরেও দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে কাবিলা অঞ্চলের আকবো এবং তাজমাল্ট শহর রয়েছে।

চেলফ প্রদেশে, তরুণরা চেতিয়া শহরের মূল রাস্তা বন্ধ করে ফেলে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের ৫০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কারণে এই দাঙ্গার সূত্রপাত। কয়েকজন পর্যবেক্ষণকারী সন্দেহ করছেন যে, বিশেষ ক্ষমতা বলয় এর সুযোগ নিয়েছে।

আজ, ৭ জানুয়ারি। ব্লগ ভোউস্নোসিল জানাচ্ছে আজকে আলজেরিয়া আবার শান্ত হয়ে এসেছে:

Toutefois, la police entou­rait les mos­quées des quar­tiers sen­sibles de la capi­tale, notam­ment en pré­vi­sion de la prière du ven­dredi après laquelle les mani­fes­ta­tions pour­raient reprendre, comme le craignent les habitants.

এখনো, রাজধানীর মসজিদগুলোকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে, বিশেষ করে এখানকার বাসিন্দার শঙ্কিত এই কারণে যে, জুম্মার নামাজের পর আবার হয়ত বিক্ষোভ শুরু হয়ে যেতে পারে।

তিনি জানাচ্ছেন যে:

Ni la presse offi­cielle ni les auto­ri­tés n'ont com­menté jusqu'à pré­sent ces mani­fes­ta­tions, par­fois vio­lentes, contre les hausses allant jusqu'à 30% de cer­tains pro­duits de pre­mière néces­sité depuis le 1er janvier.

এই বিষয়ে, সরকারি সংবাদ মাধ্যম বা কর্মকর্তার কেউ কোন মন্তব্য করেনি। এই সমস্ত ভয়াবহ প্রতিবাদের কিছু ঘটেছে দাম বৃদ্ধির কারণে। এখানে, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে বিশেষ কিছু পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .