মেক্সিকোর জনগণ সে দেশে চলতে থাকা দিনের পর দিন মাদক দ্রব্য নিয়ে হানাহানির ঘটনা দেখতে দেখতে এবং শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। মেক্সিকোর প্রতিদিনের হানাহানি নিয়ে আলোচনার জন্য টুইটারে #মেক্সিকোরোজা (“লাল মেক্সিকো”) নামক হ্যাশট্যাগ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এই সপ্তাহে কয়েকজন টুইটারকারী ১৫ টি ধড়বিহীন লাশের [1] ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছে। এই সব লাশগুলোকে গুয়েরেরো [2] অঞ্চলে পাওয়া যায়, যেখানে বিখ্যাত আকাপুলকো [3] সমুদ্রতট অবস্থিত।
এই বিষয়ের উপর কয়েকটি টুইট এখানে প্রদর্শন করা হল:
সবসময় ভাবা যে একসাথে মিলে খাওয়া “দারুণ ব্যাপার” [4] এবং কোন কিছুই ঘটেনা… এটার#রেডমেক্সিকো সকল ভোক্তার কারণে ঘটেছে।
মনে হচ্ছে আকাপুলকো গুয়েরেরো একটি ভয়ঙ্কর ছবির লোকেশন [5], তারা গাছপালায় ঢাকা এক স্থানে, মাথা আলাদা করে দেওয়া ১৫ টি লাশ পাওয়া গেছে#রেডমেক্সিকো// ওহ ঈশ্বর!!!
#প্রিয়তিনজনরাজা, আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই যে [6], আমরা মেক্সিকানরা এইসব দেখে অভ্যস্ত হতে চাই না।#রেডমেক্সিকো।
আমি আমার দেশে এই রকম হানাহানি চাই না! [7] আমি চাই না, লোকজন এ রকম ভয়ের মধ্যে বাস করুক#আকাপুলকো#রেডমেক্সিকো
আকাপুলকোয় কয়েকজন ব্যক্তি মাথা কেটে ফেলার সংবাদ দুঃখজনক [8]। হানাহানি চলছেই#রেডমেক্সিকো।
খুব তিক্ত বিষয় হচ্ছে, এটা এই ধরণের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সর্ববৃহৎ গণহত্যা [9](মাথা আলাদা করে ফেলা)। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে ইয়ুকাতান এলাকায় এ রকম ১২টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ফিলিপে কালডেরন নিশ্চিত করেছে যে ২০১০ সাল ছিল তার শাসনামলের সবচেয়ে হানাহানিপূর্ণ বছর [10]। ২০০৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন। মেক্সিকোর নাগরিকরা আশা করছে যে ২০১১ সাল ভিন্ন কিছু বয়ে আনবে।