যেহেতু কাজাখস্তানের কোন সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় নীতি নেই, কাজেই সেখানে এটাই প্রথা যে, সকলে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম পালন করতে পারে। এখন থেকে কুড়ি বছর আগে হিসেবটা অনেকটা এই রকম ছিল, এই বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কেউ মাথা ঘামাত না, যার প্রমাণ হচ্ছে ধর্ম এবং ঐতিহ্য নিয়ে বিতর্ক, সম্প্রতি যা ব্লগোস্ফিয়ারে ছড়িয়ে পড়েছে।
কারা ঝোরগা নাচ এই আলোচনায় এক বিতর্ককে উসকে দিয়েছে, যে নাচ দেশটিতে বিগত কয়েক বছরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
উরিমাতাল লিখেছে [কাজাখ ভাষায়]: “আমি মনে করি যে কারা ঝোরগা কেবল একটা নাচ নয়, বরঞ্চ এক সামগ্রিক বাস্তবতা যা জাতিকে এক করে। এমনকি যে সমস্ত কাজাখ বিদেশে বাস করে তারাও এই নাচে অংশ নেয়। যখন আমাদের সরকার প্রবাসীদের কথা ততটা সুন্দর ভাবে বর্ণনা করে না, তখন কারা ঝোরগা নাচ সরকারের এই সমালোচনার একটা জবাব প্রদান”।
এই বিষয়ে অরকেন একটি পোস্ট লিখেছে [কাজাখ ভাষায়]:
বলতে পারেন যে এই নাচের উৎস হচ্ছে মঙ্গোলিয়া অথবা কালমাইকিয়ান সংস্কৃতি, কিন্তু আমরাই এটিকে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে পরিণত করেছি। মোঙ্গল, চীনা, কিংবা কালমাইয়াকরা এতে কোন আপত্তি প্রকাশ করেনি। এ কারণেই আমি মনে করি যে এটা উপেক্ষার এক চিহ্ন, যার দ্বারা আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয় যে তাদের স্মরণশক্তি খুব অল্প, যখন এটা ঐতিহ্যের অংশ কিনা সেই বিষয়ে কথা বলা হয়, অথবা ইসলামকে এর বিরোধী একটা শক্তি হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
২০১১ সালের বিশ্ব ইসলামী সম্মেলনে কাজাখস্তান সভাপতিত্ব করবে। তারপরেও এ দেশে কিছুদিন আগে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় [কাজাখ ভাষায়], “সম্ভাব্য এক আইনের বিষয়ে যা মাথায় কাপড় পড়া নিষিদ্ধ করবে” মালিমেটার.অর্গ এই সংবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং এর কারণ নির্দেশ করেছে অথবা অন্যভাবে বলা সেই কথা গুলো বলেছে, যায় উপ শিক্ষা এবং বিজ্ঞান মন্ত্রী মাহমেদকালি সারবাইয়েভ বলেছেন [কাজাখ ভাষায়]:
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “কাজাখস্তান একটি বহুবিধ-ধর্মীয় চিন্তা ভাবনার দেশ। যদি আমরা আজ জনগণকে হেজাব পরার অনুমতি প্রদান করি, তাহলে আগামীতে একটি ক্লাশে ৩০ জন ছাত্রছাত্রী ভিন্ন কোন পোশাক পরে উপস্থিত হবে- তা ভালো কোন কিছু বয়ে আনবে না।“
তিমুর লিখেছে, যেহেতু সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করে, তাই এই আইনটি সাংবিধানিক আইন হবে না [কাজাখ ভাষায়]:
এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তাতে সব কিছু প্রদান করা হয়েছে, আমি মনে করি না আমাদের কর্তাব্যক্তি এবং মন্ত্রীরা এতটা অসচেতন নয় যে, তারা বুঝতে পারছে না, তারা আইনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা যদি এমনটা হয়, তাহলে তারা তা করছে কেন?
মূল লেখাটি নিউইউরাশিয়া.নেটে প্রকাশিত হয়েছে