- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জর্ডান: তাহের নাসারকে মুক্ত কর!

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., জর্ডান, নাগরিক মাধ্যম, নির্বাচন, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সরকার

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামক সংস্থাটি সংবাদ প্রদান করছে [1] যে, জর্ডানে ২০১০-এর ডিসেম্বরের শুরুতে তাহের নাসার নামের একজন আইনজীবী এবং প্রাক্তন সংসদীয় নির্বাচনে পদপ্রার্থী ছিলেন, তাকে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বকে উসকে দেবার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছ এবং জর্ডানের এক জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। নাসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নির্বাচনী প্রচারপত্রটি নিয়ে, যে প্রচারপত্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত জর্ডানিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। ৯ই নভেম্বর জারকা জেলা থেকে নাসার নির্বাচনে অংশ নেন। রুসাইফা এলাকার নাসার নির্বাচনে পরাজিত হন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ -এর সূত্রানুযায়ী, আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল জর্ডান ত্যাগ করার পর, ২৭ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নাসিম তারওয়ানা [2] এর উত্তরে বলছে:

কাজেই, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে এখানে একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে যে: যদি কেউ নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যের অবসান ঘটনার আহ্বান জানায় এবং দাবী করে, সকল নাগরিক সমান অধিকারের দাবিদার, এমন এক দাবী, যা দেশটির সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে, তাহলে কি ভাবে তার মাধ্যমে এই ব্যক্তি গোষ্ঠীগত দাঙ্গা উসকে দেবার চেষ্টা করছে? কেবল বৈষম্যের কথা বলা এবং জাতিগত পরিচয় নিয়ে আলোচনা করা কি জাতিগত দাঙ্গাকে উসকে দেওয়ার নামান্তর? এই বিষয়ে নিয়ে সামান্য আলোচনা কি এক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে?

কেন এই বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টাকে, রাষ্ট্র অপরাধের দৃষ্টিতে দেখে? কেন, এমনকি এখানে এক নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারপত্র এক গণ আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়। আমরা কি যে কোন মতামতকে দমন করতে যাচ্ছি, যে মন্তব্য দাবী করে যে, জাতীয় পরিচয় নিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে? এ রকম কাজের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র কি স্বাভাবিকভাবে প্রদর্শন করছে না যে, আমাদের এই বিষয়টির ক্ষেত্রে পরিষ্কার এক সমস্যা রয়ে গেছে?

নাসিমের প্রবন্ধের [3] উত্তরে নাদিম মন্তব্য করেছে:

এই লেখাটি আরবী ভাষায় লেখে পোস্ট করুন এবং আপনি নিজেকে তার সাথে কারাগারের একই কক্ষে ঘুমানো অবস্থায় আবিষ্কার করবেন।

তুলনামূলকভাবে টুইটারে অল্প কয়েকজন জর্ডানি এইচআরডাব্লিউ-এর পোস্টের সাড়া প্রদান করেছে এবং এই ব্যাপারে পুনরায় টুইট করেছে [4], যারা করেছে, তাদের মধ্যে ইয়ানাল ঘটনাক্রমে এই কথাগুলো টুইট করেছে [5]:

@এইচআরটিএস-এর #জো -এর বিষয়ে জর্ডানি নাগরিকরা খুব কমই পুনরায় টুইট করছে। কেউ করেনি! কেউ যদি সমতার কথা বলে, তাহলে তাকে জেলে পোরা হয়, এই ঘটনা অনেকের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে!

তাহের নাসারের সমর্থনে ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে [6], যে গ্রুপটি দাবী করছে, ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে তারা ৪৯ জনের সমর্থন লাভ করেছে। এই গ্রুপের তথ্য প্রদান করার পাতা বলছে:

هذه الصفحة مخصصة للمطالبة بالافراج عن
المرشح السابق لعضوية مجلس النواب السادس عشر
. :: المحامي طاهر نصار :: .

জাতীয় সংসদের ১৬ তম নিম্ন কক্ষের নির্বাচনের প্রাক্তন প্রার্থী এটর্নি তাহের নাসারের মুক্তির দরখাস্তের জন্য এই পাতাটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে।