গত দুই সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের হাজার হাজার ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা নতুন কর নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে [1][ইংরেজী ভাষায়]। সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সভাটি কিয়েভে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে প্রতিবাদকারীরা একটি তাবুর শহর তৈরি করে।
শুক্রবার ভোরে ২৫০ জনের মত পুলিশ, যার মধ্যে দাঙ্গা পুলিশের দলও ছিল, তারা মাইদান নেজালেঝাহনস্তি (স্বাধীনতা চত্বর) এসে হাজির হয়, যেখানে তারা রক্ষণাবেক্ষণকারী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য উপস্থিত হয়েছিল। এইসব শ্রমিকেরা সেখানে অবস্থিত এক প্রতিবাদ শিবির ভেঙ্গে দেবার জন্য [2][ইংরেজী ভাষায়] হাজির হয়েছিল (এখানে [3] তার ছবি রয়েছে)। সরকারি সূত্রমতে, এই কাজটি কিয়েভের জেলা আদলতের নির্দেশ করা হয়, কারণ আদালত প্রতিবাদ সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে [4]এবং কিয়েভ পৌরসভার প্রশাসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা এই ময়দানে একটি ক্রিসমাস ট্রি বা বড়দিনের জন্য বিশেষ ভাবে সাজানো গাছ বসাবে [5] (ইউক্রেনীয় ভাষায়)।
তাবুর এই শিবিরটি ভেঙ্গে দেবার ঘটনা (এখানে তার ভিডিও রয়েছে [6]) দ্রুত ইউক্রেনের ব্লগ জগৎের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
অনেক ব্লগার প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ এবং তারা তাদের এই কাজটিকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করছেন।
@আলিবোবেভিচ লিখেছে [7](#কাট_ইউআ [8]):
Влада втомилась гратись в демократію! Міліція знесла містечко мітингувальників на Майдані.
সাভায়েতস্লোভা ভাকারচুক @এস_ভাকারচুক লিখেছে [9] (ইউক্রেনের ভাষায়):
На Майданi встановлють новорiчну ялинку на рештках демократii, i цементують людською байдужiстю ……
তাবুর শিবির অপসারণ করা এবং ট্রাফিক পুলিশের কিয়েভের কেন্দ্রীয় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করা [10] নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে ওলেহ সায়ানকারেঙ্কো (লাইভজার্নাল ব্যবহারকারী সিঙ্গিং- ফুট) লিখেছে [11] (ইউক্রেনীয় ভাষায়):
ইউক্রেনে এক পুলিশী একনায়কতন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
В Україні встановлено поліцейську диктатуру.
এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী সাংবাদিক মুস্তাফা নাইম তার নিজের ব্লগে লিখেছে [12](রুশ ভাষায়):
Палаточный городок сносили тихо и мирно. Правда с привлечением совершенно неадекватного количества милиции, Беркута и “работников ШЕД”. Кому-то в МВД в эту ночь явно хотелось поиграться в “войнушки”. Последний раз такое количество людей в форме и “мирно гулящих в гражданском” видел в центре Тбилиси во время грузинской войны 2008 года.
এল জে ব্যবহারকারী জিভানটোক্রেয়াল এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে পরিহাসের সাথে মন্তব্য করেছে [13](রুশ, ইউক্রেনীয় ভাষায়):
Наші доблєстниє міліціонєри не побоялісь-такі і дємонтіровалі наметове містечко на Майдані Незалежності..
কিয়েভ ভিত্তিক এলজে ব্যবহারকারী ভিনটোভিকনও কর্তৃপক্ষের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে [14] (ইউক্রেনীয় ভাষায়):
Останні Майдани весь час розганяють годині о 5-тій. […] Невже менти бояться вдень? Їх же й так разів в 10 було, ніж тих мітингувальників.
তারপরে কিছু ব্লগার বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবে দেখার চেষ্টা করছে। তাদের মধ্যে কুইকস্টেপ০০৭ একজন। ভদ্রমহিলা কিয়েভ অঞ্চলের একজন এলজে ব্যবহারকারী। তিনি লিখেছেন [15] [রুশ ভাষায়]:
Майдан – победа ли это?
Считаю, что – таки да, победа. Люди показали, что они не будут бессловесным электоратом, который кушает все, что подсунут. Нужно помнить уроки истории. И делать выводы.
হ্যাঁ, আমি এ রকমটাই বিশ্বাস করি। জনতা প্রদর্শন করেছে যে তারা কেবল নিশ্চুপ এক নির্বাচক নয়, তাদের যাই দেওয়া হোক না কেন, তাই খেয়ে ফেলব। ইতিহাসের শিক্ষাকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে। এবং উপসংহার [অবশই ] টানা হবে।
এলজে ব্যবহারকরী ইয়োঝিকভ আরেকজন কিয়েভ ভিত্তিক ব্লগার. তিনি বিশ্বাস করেন [16] (ইউক্রেনীয় ভাষায়) যে জোর পূর্বক তাবুর শিবির অপসারণের ফলে তা প্রতিবাদকারীদের জন্য এক নৈতিক বিজয় এনে দিয়েছে:
[…] масовий протест невідомо чи буде тривати (скоріше ні, бо мають підключитися нові групи суспільства, а вони не підключаються). Що робити організаторам, щоб не втратити лице? І тут цей розгін містечка якраз вчасний. Він морально каталізує протест, який уже почав затухати.
মাইদানে দ্রুত এক ক্রিসমাস ট্রি বসানোর কতৃপক্ষের যে পরিকল্পনা, তার জবাবে কয়েকজন ব্লগার এটির অনুমোদন প্রদান না করার জন্য কি ধরনের বিক্ষোভ করা যায় তার পরামর্শ প্রদান করছে। সিঙ্গিং_ফুট লিখেছে [17] (ইউক্রেনীয় ভাষায়):
Починаємо акцію “Я не йду на ялинку від Януковича!”
ইয়ারোস্লাভ ভেদমিদ (@ভেদমিদ) রসিকতার সাথে পরামর্শ প্রদান করছে [18](ইউক্রেনীয় ভাষায়)
кажуть, таки треба ставити йолку протесту…
এই ঘটনার প্রতিবাদে কয়েকটি এনজিও কর্তৃপক্ষের এই কাজটির নিন্দা করেছে [19] (ইউক্রেনীয় ভাষায়) এবং মাইদানে তাৎক্ষনিক এক প্রতীক বসানোর [20](ইউক্রেনীয় ভাষায়) বিষয়টির নিন্দা করেছে যার ভাষ্য “এখানে গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করা হয়েছে”। এরপর সবাইকে সেখানে ফুল দেবার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সেদিন সন্ধ্যায়, ইউক্রেনের টুইটারে (#কাট_ইউএক [8])এক জনপ্রিয় বার্তা ছড়িয়ে পড়ে, যার ভাষ্য [21]:
На Майдан несуть квіти.