- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরান: ব্লগাররা উইকিলিকসের নথিপত্র নিয়ে আলোচনা করছে

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নতুন চিন্তা, নাগরিক মাধ্যম, বাক স্বাধীনতা, রাজনীতি, সরকার

উইকিলিকস-এর কেবেলগেট [1] নামক নথি ফাঁস হবার ঘটনা উন্মোচন করছে যে, ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে এক সন্দেহজনক সম্পর্ক রয়েছে [2]; ইরানের শাসকগোষ্ঠী এবং বিরোধীদের ব্যাপারে এই নথি তথ্য প্রদান করছে; আরব রাষ্ট্রগুলোর মাঝে ইরানের পরমাণু নীতি [3] নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা। ইরানের ব্লগাররা এই সব তথ্যের উন্মোচনে কখনো পরিহাসের সাথে, কখনো মাথায় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মাথায় নিয়ে, আবার কখনো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

নাটুয়ার শাহার বলেছেন এখানে যে সব নথি পাওয়া গেছে, তাতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনির [4] অসুস্থতা এবং তাকে অপসারণের ব্যাপারে প্রাক্তণ রাষ্ট্রপতি আলি আকবার রাফসানজানির [5] উদ্দেশ্যের কথা জানা যাচ্ছে, এটি দেখাচ্ছে যে, যতটা মনে হয়, ইরানের শাসন ততটা দৃঢ় নয় [6]। ব্লগারের সূত্রমতে [ফরাসী ভাষায়]:

উইকিলিকসের নথিপত্র দেখাচ্ছে যে, ইরানের ৮০ শতাংশের বেশি লোক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারোবি [7] এবং মৌসাভির [8] জন্য ভোট [9] প্রদান করেছে। এটা প্রমাণ করে যে ইরান সরকারের নিজেকে বৈধ প্রমাণ করার চেষ্টা অর্থহীন….এই তথ্য একই সাথে প্রদর্শন করছে যে, আরব রাষ্ট্রগুলোর হাসির পেছনে এক ধারালো দাঁত লুকিয়ে আছে। আর সেই সব রাষ্ট্রের সাথে ইরানের সম্পর্ক একেবারে ভঙ্গুর। .

ইরান ওয়াতানাম উল্লেখ করছে [10] [ফরাসী ভাষায়] যে, তেহরানে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদুত, দেশটির মহিলা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে “আত্মবিশ্বাসহীন পুতুল” বলে অভিহিত করেছিলেন।

গামেরন লিখেছে [11]যে [ফরাসী ভাষায়] এখানে পরিহাসের বিষয় এই যে উইকিলিকসের এক নথি জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র “লুকিয়ে থাকা ইমামের” [শিয়া মতে বারো ইমামের সর্বশেষ ইমামের নাম ইমাম মাহদি] তিন বার ফিরে আসার প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করেছে।

সাইদ সামান লিখেছে যে জুলিয়ান আসাঞ্জে [12] এবং তার স্বাধীন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠান এক কাঠের তরবারি হাতে প্লাস্টিকের ড্রাগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেছে। আসাঞ্জের উদ্দেশ্য এবং লেখার ক্ষেত্রে নিষ্ঠার ব্যাপারে ব্লগারের সন্দেহ রয়েছে এবং সে লিখেছে [13] [ফরাসী ভাষায়]:

অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করার কারণে অনেক সময় গুপ্ত সংস্থা ওয়াশিংটন, লন্ডন, বার্লিন এবং বিশ্বের অনেক জায়গায় এসব তথ্য ফাঁসকারীকে খুন করেছে বা তার মাথা কেটে নিয়েছে। কে এই আসাঞ্জে যার ক্ষেত্রে এতটা নিরাপত্তা বজায় রয়েছে? হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন জোরালো প্রতিবাদ করছে, কিন্তু এই ভাবে তথ্য ফাঁস হয়ে যাবার সূত্রকে, এমনকি ধরতে পারছে না…