আফ্রিকা: নারী ব্লগাররা একটি অন্য ধরণের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করছে

বেশ অনেকদিন হল। আমি সময় নিয়েছিলাম কিছু ব্যক্তিগত লড়াইয়ের জন্যে। বেশ আগে সেটি শেষ হল। আমি ফিরে এসেছি আফ্রিকার নারী ব্লগারদের এই সংকলন নিয়ে যেখানে “ভিন্ন ধরনের যুদ্ধের” কথা বলা আছে।

তেহিলাহ পুরো মাস বাইরে ছিল – কিন্তু আমাদের কিছু চমকপ্রদ যুদ্ধের গোপনীয় বিষয় ঠিকই জানিয়েছে। অবশ্য আমিই বা কি করে তার সমালোচনা করি! আমি তার চেয়েও বেশিদিন ধরে দুরে ছিলাম। তেহিলা বুক অফ এক্সডুস (ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ) পড়ছিল এবং তার থেকে কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে

“আত্মার জগৎে চিরন্তন লড়াই চলছে”, সে কঠিনভাবেই বলল। আপনার সাথে যেসব যোদ্ধা যুদ্ধ করবে তাদের নির্বাচন করা যে কারও জন্যেই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। “যুদ্ধ হেলাফেলার বিষয় নয়!” আপনাকে আবেগ দুরে রাখতে হবে।

আহ এটি যদি সত্যিই এত সহজ হত! আমরা মেয়ে- আবেগের ব্যাপারগুলো আমাদের কাছে এমনিতেই আসে।

ওয়ানজিকুর কথাই ধরুন। সে পুরোনো দিনের সহজ প্রেমের জন্যে কাতর। এই নতুন প্রজন্মের কালে সে নতুনভাবে ভালবাসার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সেই ঝামেলামুক্ত সরল দিনগুলি কই গেল? আমরা সেইসব দিনে যাদের ভালবাসতাম তারা কোথায় আছে কেমন আছে? আজকের কালে কোনটি চলে বা কোনটি চলে না সেটি জানা যাবে কিভাবে?

কে বলল আমাদের সর্বদাই হাসিখুশি থাকতে হবে? কোথায় লেখা আছে যে আমাদের সবার সাথে তাল মিলাতে হবে? আমার যা ভাল লাগে তাই অন্যের ভাল লাগতে হবে, আমি যা করব সেই তা করব – এর মধ্যে মজাটা কোথায়? ভালবাসা একটি রহস্য, বিয়েটাও তেমনই রহস্যময়.. কিভাবে ভিন্ন স্থানে জন্ম নেয়া ও ভিন্নভাবে বড় হওয়া দু্জন মিলে একসাথে হয়.. এটি দুজন অর্ধাঙ্গী-অর্ধাঙ্গিনী নয়.. দুটি সম্পূর্ণ মানুষ একসাথে হয়..বিয়ে আর সম্পর্কের কারিগরের এই অপার লীলা।

. . .

যদি ভালবাসার সম্পর্কের পূর্বে শুধু স্বামীরাই বাইবেল পড়ে, যদি হাতুরে ডাক্তারের কাছে যাবার পূর্বে স্ত্রী শুধু বাইবেল পড়ে.. যদি আমরা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্মের পরপরই বাইবেল শেখাতে পারতাম!!
সম্ভাবনাগুলো চিন্তা করুন, একটি নতুন প্রজন্ম, নতুন চিন্তাধারা.. একটি নতুন শুরু..
আমি পূর্বেকার সহজ ভালোবাসাকে খুঁজে ফিরি….

রকহেড দ্বৈত কথা পছন্দ করে না, মনে হচ্ছে। কেউ কি এই যুবতী নারীর কথা শুনছে? সে কমলার রস কিনতে গেল, তার দিকে চেয়ে রইল দোকানি, এবং হঠাৎ তার নাম হয়ে গেল “চিত্তবিক্ষেপ”। একজন যুবতী কি শান্তিতে কমলার রস কিনতে পারবে না?

কি? আমি আমাকে কষ্ট করে থামিয়েছি সেখানে গিয়ে সেই লোককে বকা দেয়া থেকে। সে একজন দোকানি, যার কাজ ক্রেতার কাছে ফুল বিক্রি করা..আমার কিছু কিনতে আসা তার বাধার কারণ কেন হবে তা বুঝতে পারছি না। এর কারন কি আমি তাদের থামিয়ে পানীয়ের স্বাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিলাম বলে? অথবা সেটিই কারণ ছিল কি যে আমি সেখানে গিয়েছিলাম যখন তারা সেই লোকটির সাথে কথা বলছিল? এর মানে কি যে মানুষ তাদের কার্য করবে না ঈশ্বরের বার্তা শোনায় বাধা আসবে তাই?

আসলে এই কথাটি কি পরিমানে দুর্বল যে যে কেউ পাশ দিয়ে হেটে গেলেই তা ব্যহত হয়?

তিনি আরো বলেছেন:

আমি খুব বিব্রত হয়েছি আমার মনে হয়েছে যে বাইবেলে এমন বলা আছে সেই ফারিজির মত তারা। সবচেয়ে বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে যে আমি মুক্ত। আমি হারিয়ে যাইনি এবং ঈশ্বরবিহীন নয়। এর কারন কি আমি খ্রিস্টানদের মত পোষাক পরে কেন যাই নি? খ্রিস্টানদের পোষাক বলতে আসলে কাকে বলে?

তাদের সাথে কথা বললেও কোন কাজ হত না। আমি হয়ত সামনে আসতাম এই বলে যে আমার কিছু প্রমান করার আছে (এবং কাজে দেরি করেছি বা পানি খেতে ভুলে গেছি ইত্যাদি)।

আমরা তার ব্লগ পড়ার সময় বুঝতে পারি যে সবচেয়ে বড় দ্বিমুখী সত্তা হচ্ছে আয়নার সামনে সেই যুবতিটিই।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .