কিশোর পুরুষ সমকামীদের আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে রক্ষা করার এক উপায় হিসেবে ড্যান স্যাভেজ, ইট গেটস বেটার প্রজেক্ট [1] নামের একটি প্রকল্প চালু করছেন, যেখানে ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে পুরুষ সমকামীর জীবন কেমন হতে পারে: তা অনেক উন্নত হতে পারে। এবং বিশ্বের অনেক প্রান্ত থেকে অন্য ব্যক্তিরা তাদের জীবনের ঘটনা জানাচ্ছে।
ডেভ [2] বলছে কি ভাবে ইজরায়েলের ধর্মীয় এক মিশনারী পরিবারে সে বেড়ে উঠেছে, এমনকি কি ভাবে সে তার সমস্যা সমাধানের জন্য শয়তান তাড়ানোর মত বিষয়ের কথা ভেবেছিল এবং যৌনতার শুরুর সময়, সে বিষয়ে তার প্রচেষ্টা ও ধর্মীয় জ্ঞানের সাথে তা মেলানোর বিষয় সম্বন্ধে সে বলছে।
ফিনল্যান্ড থেকে একদল ব্যক্তি সমকামী হিসেবে তাদের বেড়ে ওঠার কাহিনী জানাচ্ছে। টেডএক্সহেলসিঙ্কি সম্মেলনে এই ভিডিও [3] প্রদর্শিত হয়েছিল। সুইডিশ ও ইংরেজী ভাষায় এর মুদ্রিত সংলাপ বা সাবটাইটেল প্রদান করা হয়েছে।
বাসহার মাকহায় বলছে [4], একজন মধ্য পুর্বদেশীয় পুরুষ সমকামী হিসেবে তার পরিচয়কে গ্রহণ করার প্রক্রিয়ার কথা, অথবা সে নিজেকে এক পুরুষ সমকামী চালডিয়ান (ইরাকী খ্রীষ্টান সম্প্রদায়) ইরাকী-আমেরিকান আধুনিক খ্রীষ্টান মানব বলে অভিহিত করে। এই ভিডিওর যদি সিসি চাবিটি টিপেন তাহলে আপনি ইংরেজী সাবটাইটেল দেখতে পাবেন:
এক তরুণ মুসলিম পুরুষ সমকামী, পাকিস্তানের এক শিয়া মুসলিম পরিবারে অত্যন্ত ধর্মীয় পরিবেশে বেড়ে ওঠার বিষয় সম্বন্ধে বলছে; কি ভাবে সেখানে সে হয়রানির মত বিষয় মোকাবেলা করেছে, তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং তার যৌনতার বিষয়টিকে পরিবার কি ভাবে দেখেছিল সে বিষয় সম্বন্ধে জানাচ্ছে:
স্প্যানিশভাষী সম্প্রদায় থেকে “টোডো ভা আ মেখোরার” শিরোনামে বেশ কয়েকটি ভিডিও পাওয়া গেছে। এ রকম একটি ভিডিও উঠিয়ে দিয়েছে গুয়াতেমালার কনস্টানটিনো [5], যে এখন নিউ ইয়র্ক শহরে বাস করছে। একটি অন্ধ স্বদেশভক্ত এক সমাজে বেড় ওঠা, তার দ্বিধা এবং কি ভাবে সে সমাজে আটকে যাওয়া এবং স্বপ্নের অনুসরণ করার জন্য যে অনেক দুর যেতে হয়, এ সব বিষয়ে সে কথা বলছে। বর্তমানে সে তার স্বপ্নের জগতে বাস করছেন।
গ্রীসের প্রথম প্রজন্মের এক অভিবাসী হিসেবে গ্রীককাব বলছে [6] নিজের কাছে সৎ থাকার গুরুত্বের কথা। যদিও ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির ধারা, সুখী হবার ক্ষেত্রে সঙ্গতিপূর্ণ মনে নাও হতে পারে এবং সব শেষে, তিনি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া যে কোন গ্রীক সমকামী কিশোরের জন্য এক বিশেষ বার্তা ধারণ করেছেন:
এবং সবশেষে এএসএল-এ কেলি কিম ব্যাখ্যা করছে, বধির হবার কারণে তার বেড়ে ওঠার মত বিষয়টিকে বেছে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে পীড়ন করা হয়েছে। যতক্ষণ না সে চূড়ান্তভাবে তার গোপন আচরণ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়, ততক্ষণ সে তার যৌন আচরণের প্রতি তার কোরিয় পরিবার প্রতিক্রিয়া কি সেটি নিয়ে সে শঙ্কিত ছিল। এই ভিডিওটি ইংরেজীতে করা হয়েছে।
ইট গেটস বেটার প্রজেক্ট ও একই সাথে ইউটিউবে এ রকম আরো অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে। আশা করা যায়, আলাদা হবার কারণে কোন কিশোর যদি পীড়নের শিকার হয়, তাহলে এই সমস্ত ভিডিও দেখে এবং গল্পগুলো শুনে সে সমর্থন এবং উৎসাহ লাভ করবে।