গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে ২৫ জন ইরানী নাগরিক ১৪ অক্টোবর থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে। রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের জন্য করা দরখাস্তগুলো গ্রীক সরকার যাতে এক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসে তাই এই তাদের এই অনশন। অনশনরত ব্যক্তির মধ্যে অনেকে তাদের মুখ সেলাই করে বন্ধ করে দিয়েছে।
এই আন্দোলনকারী দল এক বিবৃতিতে বলছে যে, এথেন্সের প্রেপেলাইয়া নামক এলাকায় তারা ৪৪ দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিল। কিন্তু তাতে কোন সাড়া মেলেনি। তখন তারা অনশন ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা বলছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের হুমকি দিচ্ছিল, যারা চাইছিল, তারা তাদের গণ প্রতিবাদ বন্ধ করে দিক।
এন্টিরেসিজমফ্যাসিজম.অর্গ, এর এক প্রবন্ধ এবং একই সাথে পুঁজিবাদী বিরোধী মেয়র প্রার্থী প্রেট্রোস কনস্টানটিনিউ-এর প্রদান করা সংবাদ অনুসারে ইরানী দূতাবাসের কর্মচারীদের, প্রতিবাদকারীদের হয়রানি করার চেষ্টা করতে ও ছবি তুলতে দেখা গেছে [গ্রীক ভাষায়]:
শরণার্থী এবং তাদের সমর্থকরা তাদের বক্তব্য প্রচার করার জন্য ইউ টিউব ব্যবহার করছে। বলা যায় এই অনশন ধর্মঘটের সংবাদ গ্রীসের মূলধারার প্রচার মাধ্যমের প্রায় কোনখানে প্রচার করা হয়নি, কিন্তু স্থানীয় একটিভিস্ট গ্রুপ এবং অনলাইন প্রচার মাধ্যম তাদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে (উপরের পোস্টারটি এক সংহতি সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল)।
অনশনরত ধর্মঘটীদের উপর গ্রীসের পৌরসভার পুলিশের হামলা হামলা
অক্টোবরের ১৭ তারিখে তোলা এই ভিডিওটি ইরানী প্রতিবাদকারীদের উপর গ্রীসের পৌরসভা পুলিশের আক্রমণাত্মক আচরণের বিষয়টি প্রদর্শন করছে।
একজন শরণার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
শরীর খারাপ হয়ে যাবার কারণে মাসোদ ফারামারজি নামের এক শরণার্থীকে অনশন ধর্মঘট শুরু করার পরের দিন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। শরণার্থী শিবিরে আমরা ইরান সরকার বিরোধী স্লোগান শুনতে পেয়েছি, যেমন “খামেনি নিপাত যাক” (ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা)। ভিডিওটি ১৬ অক্টোবরে তোলা।
অনশনরত ধর্মঘটীদের উপর তোলা এই ভিডিওটি ১৮ অক্টোবরে উঠানো হয়েছে।
জুলাইতে ইরানের ছয় জন শরণার্থী আরেক দল এথেন্সের জাতি সংঘ শরণার্থী বিষয়ক অফিসের (ইউএনএইচসিআর) সামনে অনশন ধর্মঘট পালন করেছিলেন। সে সময় তাদের মধ্যে একজন তার মুখ সেলাই করে বন্ধ করে দিয়েছিল।