চীনঃ দূর্লভ মৌল রপ্তানী বিতর্ক

উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্র যেমন সেলফোন, ব্যাটারী, টি. ভি এবং কম্পিউটার মনিটর ইত্যাদি প্রস্তুত করতে দূর্লভ মৌল উপাদান প্রয়োজন হয়। ২০০৯ সালের এক তথ্য অনুসারে , চীনে পুরো বিশ্বের সঞ্চয়ের ৩৬% (৩৬০ লক্ষ টন) উপাদান সঞ্চিত রয়েছে, কিন্তু চীন প্রস্তুত করে বিশ্বের ৯৭% দূর্লভ মৌল উপাদান ।

সেপ্টেম্বর থেকে, যখন চীন দিয়াজু দ্বীপ নিয়ে দখলদারী বিরোধের কারনে সাময়িকভাবে জাপানে দূর্লভ মৌল ধাতু রপ্তানী বন্ধ করে দিল, এই দূর্লভ মৌল সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলো এবং অন্যান্য দেশও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল। জার্মান শিল্প কারখানার ফেডারেশন দাবী করল দূর্লভ মৌল উপাদান একটি ‘ভূ-রাজনৈতিক বিষয়” এ পরিণত হচ্ছে, যদিও চীনা সরকার দাবী তুলেছে যে দূর্লভ মৌল ধাতু কোন ‘দরকষাকষির মাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে নাসর্বশেষে উন্নতি হলো এই রকম যে আমেরিকান সেক্রেটারী অব স্টেট হিলারী ক্লিনটন গতকাল (২৮শে অক্টোবর) একটি সংবাদ সম্মেলনে এটা রহিতকরনের কথা বলেছেন।

আন্তর্জাতিক ভাবে এর অনেক কিছু ঘটছে। অভ্যন্তরীণভাবে, জাতীয়তাবাদী অনুভূতির উত্থানের ফলে চীনা মূল ভূখণ্ডের একটা বড় অংশ সরকারের এই দূর্লভ মৌল ধাতু রপ্তানী না করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে।

দূর্লভ মৌল রপ্তানীর ইতিহাস:

দূর্লভ মৌল উপাদান নিয়ে এই বিতর্ক প্রকৃতপক্ষে গত বছর থেকে শুরু হয়েছিল। এমনকি সেই তখন ব্লগার এসএমপিবি জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনা করে বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। ব্লগাররা চীনের দূর্লভ মৌল উপাদান রপ্তানীর ইতিহাস পুন:বিবৃত করেছে এইভাবে:

在2002年的一份有关中国“入世后稀土产业的六大趋势”的官方报告里,中国对稀土资源的认知还普遍停留在对一般矿产资源的认知里,在那种全面拥抱WTO的开放心态作祟下,如何让国有的稀土资源赚更多的钱、如何掌握定价权,以及如何拓宽销售渠道及使其开放模式现代化是那时中国稀土贸易的主导话语权。

২০০২ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যুক্ত হবার পরে, দূর্লভ মৌল সম্পর্কে সামান্যই জ্ঞান ছিল এবং দূর্লভ মৌল বাণিজ্যও প্রধান ৬টি ধারা সম্পর্কে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনটি বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার চুক্তিতে আগলে নিয়েছিল এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানির পথ তৈরী করা সংকল্প নিয়েছিল যা চীনকে দূর্লভ মৌল রপ্তানিতে প্রভাব বিস্তার করা দিকে নিয়ে গিয়েছে।

但2009年4月,中国国土资源部发布新的《稀土矿开采总量控制指标》,并进一步降低了国内的产能,并继续冻结新的开采许可证,与此同时,中国更针对包括稀土在内的工业原材料… 实行限制出口和加收出口赋税及费用,这 一决定在欧盟、美国和日韩都引起强烈反弹,6月22日欧盟与美国将在正式要求与中国针对此事进行协商,若协商破裂,下一步将是要求世界贸易组织(WTO) 小组受理申诉。欧盟消息人士还称:“中国已经对这些原材料施加了不公平的出口配额和关税,这样做扭曲了全球市场并损害了欧洲和美国企业。”

সে যাহোক, ২০০৯ সালের এপ্রিলে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এর ভূমি ও সম্পদ মন্ত্রণালয়, দূর্লভ মৌল খনি হতে আহরণের ক্ষেত্রে একটি কোটা পদ্ধতি ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্ত দূর্লভ মৌল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল এবং এবং নতুন খনি আবিষ্কারের প্রকল্প স্থবির করে দিয়েছিল। তার উপর, চীনা সরকার রপ্তানী শুল্ক এর মাধ্যমে দূর্লভ মৌল ধাতু রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নতুন পদ্ধতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং কোরিয়া কে সজাগ করে দিল। ২০০৯ সালের ২২শে জুন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনা সরকারের সাথে আলোচনা করা জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদি আলোচনা ব্যর্থ হয় তবে তারা বিশ্ব বানিজ্য সংস্থায় একটা অভিযোগ পাঠাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক মাধ্যমে থেকে প্রাপ্ত তথ্য এইরকম “চীনা সরকার কর্তৃক কাঁচামালের উপর শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাজার ধ্বংস করে দেবে এবং ইউরোপ ও আমেরিকার কর্পোরেট এর জন্য ক্ষতি সাধন করবে।

ব্লগাররা বিশ্বাস করে যে রপ্তানী প্রতিবন্ধকতা তৈরী করাটা জাতীয় নিরাপত্তার একটা বিষয়:

这次被欧美拖去WTO仲裁的20余种工业原材料与澳大利亚的铁矿石相比还有另一重更深刻的意义:国家安全―― 尤其是世界储量最巨的稀土资源,更是人类现代高科技武器最重要的原材料之一,而之前中国在此方面的大量出口失控从某种意义上说,已经造成了帮助国外的高科 技武品进步而危害自身战略安全甚至全球战略稳定的坏局,所以,中国限制其出口和欧美反对中国限制出口都有WTO所无法备述的重要战略原因。

ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার টেবিলে রাখা ২০টি শিল্প কারখানার কাঁচামাল এর গভীর গুরুত্ব রয়েছে: জাতীয় নিরাপত্তা। দূর্লভ মৌল উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রপাতি তৈরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিদেশি রাষ্ট্রের উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রপাতিতে সহায়তা দানের কারনে চীনের প্রাথমিক পর্যায়ে রপ্তানী তার নিজের জন্যই ক্ষতির কারন হয়েছে। এই বিশেষ বিষয়টি মূল তর্কে অব্যক্তই রয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক হয়রানি?

তর্কের নতুন মোড়ে , এক্স সোলজার নামে এক ব্লগার চীনের জন্য আন্তর্জাতিক হয়রানি হিসেবে এই বিষয়টাকে নিয়ে ভাবছে। তার ব্লগ শিরোনাম হলো “বৈদেশিক শক্তি চীনকে দূর্লভ মৌল রপ্তানির জন্য চাপ দিচ্ছে”। এই ব্লগার শক্তি নীতি বিশ্লেষক মার্ক হাম্ফিরিস এর একটি উক্তি তুলে ধরেছেন দূর্লভ মৌল উপাদান: বিশ্ব সরবরাহ শিকল ( পিডিএফ) শিরোনামের লেখা থেকে:

按人均储量算,美国和俄罗斯都要高于中国。而因为处于产业下端,中国以全世界三分之一的储量生产出占世界97%的稀土,储量和产量之间的关系出现了严重不 对等。而美国坐拥全球稀土资源的13%,却分文不动,百分之百地“依赖”进口。所谓中国限制稀土出口引起了一些国家稀土供应短缺的说法并不真实,应该说, 它们短缺的不是稀土,而只是中国生产的廉价稀土。

যদি আমরা প্রতি জনে এর সঞ্চয় হিসাব করি, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াতে দূর্লভ মৌলের সঞ্চয় চীনের চেয়ে বেশি। যাই হোক, যেহেতু চীন হলো উৎপাদন শিকলের সবচেয়ে স্বল্প খরচের একটি দেশ সেহেতু চীন বিশ্বের ৯৭% দূর্লভ মৌল উপাদান প্রস্তুত করে। সঞ্চয় এর সাথে উৎপাদনের অনুপাত সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের ১৩% দূর্লভ মৌল সঞ্চিত আছে কিন্তু এ দেশ কোন উৎপাদনই করে না এবং আমদানীর উপর ১০০% নির্ভর করে। সে কারনে, এটা সত্য নয় যে দূর্লভ মৌল রপ্তানীতে চীনের নিষেধাজ্ঞা সরবরাহে কোন ঘাটতি ফেলবে। দূর্লভ মৌল সরবরাহ কখনই কমবে না, বরং চীনের সস্তা দূর্লভ মৌলটাই কেবল সরবরাহে ঘাটতি হবে।

জাতীয়তাবাদী উচ্চারণ এর কিছু অনুনাদ ইন্টারনেট ফোরামে দেখা যায়। বাইদু তায়েবাতে অনেকে দূর্লভ মৌল পাচারকারীকে ষড়যন্ত্রকারী বলে দোষারোপ করেছে। সাম্প্রতি ঘটে যাওয়া দূর্লভ মৌল পাচারের ঘটনায় সাড়া দিয়ে ডেনডেলিয়ন (成长的蒲公英) বলেছে:

为了自己利益,你们就可以出卖国家利益?中国现在是个发展中国家,距离发达国家还有很遥远的距离,这最关键的问题,自然是经济!那些发达国家说中 国人爱占小便宜,不尊重中国人可他们呢,净占大便宜!不想让自己的资源流失,不想破坏自己国家环境,就来买中国的稀土!别看那一点稀土卖1亿多,在国际市 场上,稀土远远超出这个价,黄金当作白菜卖!就算你现在富可敌国,那又怎样呢,在外国谁会晒你?只有让我们的综合国力增强,经济迅速发展,我们在可以真正 地在外国人面前抬起头,可以骄傲地说:我是中国人!那就让我们从现在做起吧,不要再为了一点私利而破坏了国家整个政策,我们13亿人一起努力,团结的力量 才有凝聚力和战斗力,相信中国的明天会更加辉煌!(另外,鄙视美国人.日本人….鄙视为私利贩卖稀土的,你买的不仅是稀土,还有中国人的尊严,中国的 发展!青岛那人你真有病,忘记南京大屠杀了,还买给日本人,你不怕它发展原子弹第一个炸的就是你?)

ব্যাক্তিগত সুবিধার কারনে কি তুমি দেশ বেঁচে দিতে পার? চীন একটা উন্নয়নশীল দেশ এবং এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এর জন্য মূল চাবিকাঠি অবশ্যই অর্থনীতি। যখন ধনী দেশগুলো বলে চীনা অধিবাসীরা সুবিধাটা গ্রহণ করছে, তারা প্রকারন্তরে চীনা লোকজনকে অসম্মানই করছে। তারা আমাদের থেকে একটা বড় আকারের সুবিধা নিয়ে এসেছে! তারা নিজেরা তাদের নিজস্ব মৌলিক উপাদানের ভান্ডার হারাতে চায়না, তারা তাদের দেশের আবহাওয়া ধ্বংস করতে চায়না, এই কারনে তারা চীনের দূর্লভ মৌল কিনতে এসেছে। দূর্লভ মৌল দামী এবং লাভজনক হলেও এর গুরুত্ব এর মূল্যকে ছাড়িয়ে যায়। আমরা প্রকৃতপক্ষে সব্জির মূল্যে স্বর্ণ বিক্রি করে দিচ্ছি। যদিও এখন তুমি ধনী, তাদের কাছে তবুও এটা কিছুই নয়। কেবলমাত্র যখন আমাদের শক্তিশালী হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ঘটতে থাকবে, তখন কি আমরা মাথা অবনত না করে গর্বের সাথে বলতে পারব: আমরা চীনা! ব্যাক্তিগত লাভের জন্য দেশের নীতিকে কাঁদিও না। চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ১৩০ কোটি লোককে সংঘবদ্ধ থাকতে হবে। (এর পাশাপাশি, আমেরিকান, জাপানী …যারা দূর্লভ মৌল ব্যাক্তিগত লাভে চোরাচালানি করে তাদের সবাই বাদ দেই। যা তুমি বিক্রি কর তা আসলে দূর্লভ মৌলই নয়, বরং এটা চীনাদের মর্যাদা এবং চীনের ভবিষ্যত। তিসিংতাও এর চোরাকারবারী অসুস্থ। সে নানজিংয়ের ধ্বংসলীলা ভুলে গেছে। এমনকি সে জাপানীদের কাছে এটি বিক্রি করতেও ভয় পায়। তুমি কি উদ্বিগ্ন নয় যে পরবর্তী আনবিক বোমা তোমার দিকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হবে?)

যাই হোক, প্রথমে দূর্লভ মৌল বিক্রির সিদ্ধান্ত কে দিয়েছিল? ইয়েরিইয়েরিওয়েই বাইদু তেইবাতে নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন তুলেছে এবং জাতীয়তাবাদী অনুভূতি দ্রুত দূর্নীতি পরায়ণ সরকারী কর্মকর্তাদের দিকে নির্দেশিত হয়েছেঃ

唉呀咿呀喂: 中国的当权者,你们不会知道稀土有多重要

124.231.90.*: 他们只知道花天酒地,大贪特贪!

思念szy: 毕竟官员不是直选的,所以民意没太大作用

欧古利斯: 他们卖完之后都移民都国外去了,哪管我们的死活,所以不止要封锁稀土,官员也必须封锁,不准他们移民

ইয়েরিইয়েরিওয়েইঃ চীনা কর্তৃপক্ষ, তুমি কখনই বুঝবে না দূর্লভ মৌলগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

১২৪.২৩১.৯০.*: তারা কেবল জানে কোথায় খেতে হয় এবং জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে হয়, এবং যখনই পারে দূর্নীতি করতে নেমে যায়।

ডমসিং এসজেডওয়াই: সরকারী কর্মকর্তারা নির্বাচিত নয়। জনগনের মতামত হিসেবের মধ্যে আনা হয় না।

ওকুলিশি: আমাদের সকল দূর্লভ মৌল বিক্রি করা হয়ে গেলে তারা দেশান্তরি হবে। আমরা বাঁচলাম না মরলাম তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। দূর্লভ মৌলগুলো আটকানোর আগে, সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশী পাড়ি জমানো ঠেকাতে হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .