মায়ানমার: “নির্বাচন বয়কট কর” অভিযান

যদিও আগামী ৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত মায়ানমারের নির্বাচনকে বিশ্বব্যাপী অনেক দেশই লোক দেখানো বলছে, সে দেশের সরকার এটি চালিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দেশে ও প্রবাসে অবস্থিত বার্মীজ লোকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বিরোধী দল ন্যাশনাল লীগ অফ ডেমোক্র্যাসী এই নির্বাচন বয়কট করেছেন দেখিয়ে যে এটি “ন্যায়ের পরিপন্থী” এবং “অগণতান্ত্রিক” এবং তারা নাগরিকদের অনুরোধ করেছেন নির্বাচনে অংশ না নেবার জন্যে। গ্রেফতারকৃত গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু কি আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনিও ভোট দেবেন না যদিও ভোটার তালিকায় তার নাম আছে।

জাপানের টোকিওতে ইবিতসু পার্কে ২০১০ নির্বাচন বয়কট কমিটি একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।

রাখাইন প্রদেশে বেশ কয়েকটি শহরতলীতে “নির্বাচনকে না বলুন” প্রচারণার পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই পোস্টারে লেখা হয়েছে “২০০৮ সালের সংবিধান আর ২০১০ সালের নির্বাচন বয়কট করুন: ২০১০ সালের নির্বাচনকে না বলুন”। আরাকান রিভিউতে সাক্ষাৎকার দেবার সময় এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন:

“নির্বাচন বয়কট কর” অভিযানের জন্যে ৭ই নভেম্বর নির্বাচনের এক মাস আগে আমরা তাওং কোটে এবং মা এই অঞ্চলের ১২টি গ্রামে প্রায় ১০০০ পোস্টার লাগিয়েছি। আমরা এইসব গ্রামে জনসংযোগ চালিয়েছি যাতে সবাই সরকারের এই লোক দেখানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে পারে। আমাদের এই দুই অঞ্চলেই অভিযান চালিয়ে নেয়া উচিৎ কারণ এই দুই শহর মিলে একটি নির্বাচনী এলাকা হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে শুধুমাত্র ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি এই দুই দল ওই এলাকায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কাজেই আমাদের অন্যান্য দলের ব্যাপারে আক্ষেপ করার কারণ নেই। ২০০৮ সালের সংবিধানকে পুরোপুরি বর্জন করেছি তাই ২০১০ সালের নির্বাচনকে আমরা স্বীকৃতি দিতে পারি না যা এই বিতর্কিত সংবিধানকে বৈধতা দেবে।

৭ই নভেম্বরের নির্বাচনে সংসদের নীচের অংশে ৪৯৮টি আসন এবং উপরের অংশে ২২৪টি আসনের জন্যে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। এই সমস্ত আসনের ২৫% সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্যে সংরক্ষিত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .