কুয়েতের এক প্রধান চলচ্চিত্র প্রদর্শক ঘোষণা করেছেন যে তারা তাদের দৈনিক কার্যক্রমে ১০ মিনিটের একটি বিরতি রাখবে যাতে দর্শকরা তাদের মাগরিবের [1] নামজ পড়তে পারেন। টু্ইটারে প্রকাশিত এই ঘোষণাটি অনেক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
এই ঘোষণায়, সিনেস্কেপকিউএইট [2] বলেছে:
মাগরিবের নামাজের জন্যে ১০ মিনিটের একটি বিরতি চালু হচ্ছে ৩৬০ তে।
৩৬০ হচ্ছে কুয়েতের নতুন শপিং মলগুলোর একটি।
এই ঘোষণাটি অনলাইনে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ইলসুল সানা [3] এই ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছেন:
সিনেস্কেপ ৩৬০ এখন থেকে সিনেমা চলাকালীন সময়ে মাগরিবের নামাজের জন্যে ১০ মিনিটের একটি বিরতি রাখবে। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে সব নামাজের জন্যেই এমন ব্যবস্থা থাকবে।
অন্যদিকে অ্যাভেনিউএসকিউএইট [4] এই বিরতির বিপক্ষে বলেছেন:
ধর্মের প্রতি এই ভক্তি কিভাবে আসল? আপনারা তো ধর্মের কথা চিন্তা করেন নি যখন আপনারা সিনেমার টিকেটের উচ্চ দাম এবং মানুষকে ঠকানোর ব্যাপারগুলো করেছেন। এখন আপনারা সাধূ সাজতে চাচ্ছেন মাগরিবের নামাজের সময় ছবি দেখানো বাদ দিয়ে। আসরের নামাজের সময়ও তাহলে বিরতি নয় কেন?
একই ধরণের মনোভাব ব্যক্ত করে দান্দার্মা [5] জিজ্ঞেস করছেন:
হ্যা এটি বলার মত। ধারণা করেন এটি কোন পর্যায়ে দাঁড়াচ্ছে।
তাহলে ৩৬০ সিনেমা হলে মানুষ একটি সিনেমার মধ্যিখানে। সবাই গভীর মনোযোগে গল্পের ভেতরে ঢুকেছে। হঠাৎ করেই স্ক্রীন কালো হয়ে গেল এবং আলো জ্বালিয়ে দেয়া হল। এবং তখন কি দর্শকদের নামাজে যেতে ইচ্ছে করবে?
সত্যি বলেন তো? কতজন দর্শক তখন নামাজ পড়তে যাবেন?
এবং হিলালিয়া টুইটারে [6] আলোচনা চালিয়ে গেছেন এবং মন্তব্য করেছেন:
মৌলবাদীদের তুষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। তাদের যদি এমন ইচ্ছা থাকত তাহলে আপনার হয়ত (নামাজের সময়) জীবিত থাকা হত না।