আপনি কি এমন কাউকে চেনেন যে এনচিলাডাস কি তা জানে না? অথবা যে কখনো টাকোস বা অন্য ধরনের মেক্সিকোর খাবার চেখে দেখেনি? মেক্সিকোর রান্না তার নানাবিধ সুগন্ধ ও রং এবং বিভিন্ন মসলার সমন্বয় ও নিজস্ব আলাদা উপাদানের জন্য পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী মেক্সিকোর খাবার ভুট্টা, সিম, এবং বিভিন্ন ধরনের মরিচের গুঁড়া সহকারে তৈরি করা হয়।
জাতীয় সম্পৃক্ততা
মেক্সিকো থেকে প্রকাশিত এলসমানারিও.কম.এমএক্স এর সাংবাদিক তাতিয়ানা গুতিয়ারেজ বর্ণনা করেছেন কি ভাবে মেক্সিকোর দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করেছে:
Vamos a cerrar con broche de oro este periodo de sugerencias a realizar durante las celebridades bicentenarias, ¿cómo?, con lo más preciado que tiene México: su gastronomía.
মেক্সিকোর খাবার বৈচিত্র্যময়। আপনি এখানে প্রদেশ থেকে অঞ্চল, উত্তর থেকে দক্ষিণ, উষ্ণ থেকে উপকূলীয় এলাকা, পাহাড় থেকে সমতল ভূমি, ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন খাবার পাবেন। দেশটিতে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায় রয়েছে। এ কারণে এখানকার বিভিন্ন খাবারের চেহারা, স্বাদ ও গন্ধ এবং বিভিন্ন রকম।
ডেভিড এমরি তার “বিশ্বের সেরা ১০ সুস্বাদু রান্না” নামক প্রবন্ধে মেক্সিকোর নিজস্ব বৈচিত্র্যের কথা লিখেছে, যা কিনা আজকের দিনে মেক্সিকোর যে রান্না, তাকে তৈরি করেছে:
নানাবিধ সুগন্ধযুক্ত স্বাদ এবং মশলার কারণে পরিচিত মেক্সিকোর রান্না বিজয়ী স্প্যানিশদের অভিযানের সাথে অ্যাজটেক সংস্কৃতির মিশ্রণের ফলে সৃষ্ট। আজকের দিনে আমরা যে সমস্ত মেক্সিকান খাবার খাই, সেগুলো আসলে প্রাচীন অ্যাজটেক, মায়া, এবং স্প্যানিশ ঐতিহ্যের এক উপাদেয় মিশ্রণ। এখানকার খাবারে ফরাসীদের অবদান রয়েছে। যারা মেক্সিকোর খাবারে তাপে ঝলসানো রুটি জাতীয় খাদ্য সামগ্রী যোগ করেছে, যেমন মিষ্টি রুটি এবং বলিল্লো (এক ধরনের সুগন্ধযুক্ত রুটি)।
টুইটার ব্যবহারকারীরা প্রায়শই তাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা মেক্সিকোর খাবার বিষয়ে টুইট করে থাকেন। মনটেরের একজন মেক্সিকাবাসী টুইটারকারী মায়েলা গনজালেজ (@মায়েলাগনজালেজ) কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে টুইট করেছে:
comí mole =) que delicia!!! #MexicanFood
এছাড়াও মেক্সিকোতে অবস্থানকারী টুইটার ব্যবহারকারী ইসাকো @ইসাকলোকো লিখেছে:
y para ke se les antoje.. comeré unas ricas #enchiladas verdes!!!! hayy ke sabrosas!! =)
আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা
মেক্সিকোর খাবার যে কেবল মেক্সিকোর মধ্যে রয়ে গেছে, তা নয়; অন্যদেশের টুইটার ব্যবহারকারী মেক্সিকোর খাবার সম্বন্ধে কথা বলছে:
যুক্তরাষ্ট্রের আলবুকারেক থেকে ক্রিস গনজালেজ (@ক্রিস১৩৫৬জে)বলছে:
#টাকোস, সবচেয়ে সেরা খাবার
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা জেসিকা ক্লেমন্স (@জেসিকাক্লেমন্স) বিবৃতি প্রদান করছে:
দু:খিত#অরিজোনা..তোমাদের #মেক্সিকোরখাবার আমাদের #টেক্সাসের তুলনায় কিছুই না! যদিও তা সুন্দর এক প্রচেষ্টা।
আমেরিকায় জন্ম নেওয়া ক্রিস্টিনা পটার মেক্সিকোর ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ২৮টি প্রদেশ এবং রাজধানী মেক্সিকো সিটির খাবার খেয়েছেন। ভদ্রমহিলা তার ব্লগ মেক্সিকো কুকস!-এ এখানকার চারপাশের সংস্কৃতির সাধারণ খবার থেকে স্থানীয় খাবারের সবকিছু লিখেছেন। তিনি সেদেশে যে সমস্ত রেস্তোরা রয়েছে সেগুলোর ক্রম তৈরি করেছেন এবং এমনকি কিছু খাদ্যের উপাদান সম্বন্ধে লিখেছেন। তার জীবনের ৩০ বছর পটার মেক্সিকোতে কাটিয়েছেন। এবং তিনি-এর উদ্দেশ্য, তার ব্লগে বর্ণনা করেছেন:
সম্প্রতি ইউনেস্কো মেক্সিকোর খাবারসমূহকে মুখ এবং মানবতার সুক্ষ এক ঐতিহ্যের শিল্প (মাস্টারপিস অফ দা ওরাল এন্ড ইনটেনজিবল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি) সন্মানে ভূষিত করেছে। ম্যাকক্লাচি নিউজপেপারস-এর মেক্সিকোর বার্তা প্রধান তার ব্লগে লিখেছে মেক্সিকো আনমাস্ক :
প্রায় ১ মাসের চেয়ে সামান্য কিছুদিন আগে মেক্সিকোর কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন যে জাতির খাবার অবশেষে ইউনেস্কোর মানবতার সুক্ষ ঐতিহ্যের সন্মান লাভ করেছে। গত বছরের নভেম্বর শুরুতে কেনিয়ার নাইরোবিতে এই অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করা হয়। তবে সংক্ষেপে বলা যায় মেক্সিকোর অবিশ্বাস্য বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার অবশেষে তার প্রাপ্য সম্মান অর্জন করল। আর কোন জাতির খাবারকে এই সম্মান প্রদান করা হয়নি।
এখন এই বিষয়টি মাথায় রাখুন: এর আগে ফ্রান্সকে এই সম্মান প্রদান করতে দুইবার অস্বীকার করা হয়। ফ্রান্স ২০০৮ সালে শেষবার এই সম্মানের জন্য আবেদন করেছিল। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নিকোলাস সারকোজি এই বলে ঘোষণা দিয়েছেন যে “বিশ্বের সেরা রন্ধন শিল্প আমাদের রন্ধন শিল্প, অন্তত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে। এই শিল্পকে আমরা বিশ্বের এক ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই।
এখন ফ্রান্স, মেক্সিকোকে ধরার চেষ্টা করবে।শুভেচ্ছা বন্ধুগণ।
বৈচিত্র্যময় বৈপরীত্য, বহুবিধ সুগন্ধে ভরপুর এবং তার উত্তেজনায় ভরপুর এই রন্ধন শিল্প অবশ্যই প্রয়োজনীয়, এমনকি বিশ্বের অন্যতম রুচিকর স্বাদের জন্য।