চীন: ধর্মঘটের অধিকার

২০১০ সালের শুরুতে চীনে শ্রমিক আন্দোলনের যে ঢেউ উঠেছিল তারই ধারাবাহিকতায় ফাইনান্সিয়াল টাইমস এর মত মূলধারার পশ্চিমের প্রচারমাধ্যম এক নতুন শ্রমিক আলোড়ন উপলব্ধি করেছে। সম্প্রতি চীনের শ্রমিকরা রাশিয়াতেও তাদের শ্রম অধিকার চর্চা করেছে।

রিয়া নোভোস্তি এর মতে, ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০১২ অ্যাপেক সম্মেলন এর অবকাঠামো নির্মাণ কাজে অপরিশোধিত বেতন এর দাবীতে ১৫০ এর ও বেশী চীনা শ্রমিক ধর্মঘট এর ডাক দেয়।

মিল ফোরাম এর ফেঙ্গ সানজি খবরটি লক্ষ্য করেছে এবং ধর্মঘট নিরসনে মিলিটারি পুলিশ মোতায়নের কারনে রাশিয়ার সরকারের সমালোচনা করে। যদিও বহু মন্তব্য তার বক্তব্যের বিরোধিতাও করেছে:

sunnyrain: 你在国内罢共产党的工试试?普京够仁慈的了。

翅膀:资本主义国家的外交政策都不是国际主义,都只讲利益.就跟我们现在现实中人与人之间的关系是一样的.

所以在资本主义世界里,只有共同的利益,没有坚固的朋友.这点是必然.

他们是不能体会国际主义的.也不知道国际主义的伟大.所以时常咒骂毛主席援助非洲等国家.却不知道到今天我们还因彼受着许多益处.

而且资产阶级对工人罢工这样的事,只会越来越强硬,而且手段也越来越高.威逼利诱,忽悠分化.无论在哪个资本主义国家都是这样.

说到底,全世界的资产阶级联合起来了。可是无产阶级还没觉醒.

সানিরেইন: চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির বিরুদ্ধে ধর্মঘট করে দেখতে পার, ভ্লাদিমির পুতিন তুলনামূলকভাবে অনেক দয়াবান।

翅膀: পুঁজিবাদী দেশের কূটনৈতিক পন্থা আন্তর্জাতিকতা সম্পন্ন নয়। তারা কেবল মাত্র লাভটাই দেখে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সম্পর্কের মত। সে কারনে একটি পুঁজিবাদী সমাজে , দেশগুলোর কেবল লাভের চিন্তা, কিন্ত কোন দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব নয়। এটা এড়ানো সম্ভব নয়।

আন্তর্জাতিকতা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই, এমনকি তারা তাদের ধারনার মাহাত্ম্য সম্পর্কেও অজ্ঞ। আফ্রিকার গরীব দেশগুলোকে সাহায্য করে আজ আমারা কতটা লাভবান হয়েছি তা তারা না জেনেই চেয়ারম্যান মাও কে সাহায্য করার জন্য দোষারোপ করে।

তার উপর, পুঁজিবাদীরা ক্রমাগত ধর্মঘটের প্রতি ঝুঁকছে এবং তারা জানে কিভাবে ষড়যন্ত্র এবং ফন্দী করতে হয়। পুঁজিবাদী সমাজ একতাবদ্ধ রয়েছে কিন্তু প্রলেতারিয়ানদের (শ্রমজীবি শ্রেনীদের) এখনও জাগ্রত হওয়াই বাকী রয়ে গেছে।

যদিও উপরের উদ্ধৃতি আদর্শগত কথা তথাপি শ্রম অধিকারে বিশ্বাসী অনেকেই মনে করে চীনের দরিদ্র শ্রম ব্যবস্থা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপ্তিরই একটি ফসল। উদাহরণস্বরূপ, একজন স্বনামখ্যত আলোচক জিয়ানহোঙ শ্রমিক ধর্মঘটের উপর গোল্ডম্যান সাক্সের চীনের প্রতিনিধিত্বকারীর মন্তব্যের সমালোচনাকরে বলেছে:

这些资本代言人担忧什么呢?不就是跨国资本在中国劳动力产品低成本、低价优势的丧失,而以投资重点投向印度、越南、印度尼西亚、巴西等地相要挟,阻遏中国劳动生产率、产品价值和整个社会产出消费价值提升吗?!

পুঁজির প্রতিনিধিত্বকারীরা কি নিয়ে শংকিত? তার সবটাই হলো স্বল্প শ্রম মজুরির উপর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ। তারা শ্রম উৎপাদন হার এবং উৎপাদনের মূল্য বৃদ্ধির চাপের দরুণ ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিলের মত দেশে বিনিয়োগে হুমকির সম্মুখীন।

明眼人谁都知道,“提高工资,可能会使得一些纯粹成本导向盈利的企业转移生产基地”,但是,也会使得一大部分底层劳动者的消费能力增加,进而增加国内消费市场的容量…

স্বচ্ছ ধারনা সম্পন্ন মানুষ মাত্রই জানে যে মজুরী বৃদ্ধি করলেই তা উৎপাদন প্রক্রিয়াকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যেখানে উৎপাদন খরচ এর থেকে লাভ তুলে আনে। যাই হোক এই পন্থা কর্মজীবী শ্রেনীর ক্রয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে এবং অভ্যন্তরীন ক্রয় বাজার শক্তিশালী করে তোলে…

আরও অনেক শ্রম অধিকার আন্দোলনকারী ও বিজ্ঞজনের মত জিয়ান হোঙ ও ধর্মঘট এর অধিকার কে রক্ষার জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী করার কথা বলেন:

如果中国工人的维权举措,必须在“跳楼”或“罢工”之间作非此即彼的选择,那么,滾滾诸公,行行好,还是让他们享有“罢工维权”的自由和尊严吧!

与时俱进的口号,在中国已经喊快二十年了,从1982年到未来2012年正好三十年了,中国共产党18大也将在这一年召开。中国工人的罢工自由这一条,再也不能在中华人民共和国宪法中堂皇缺位了,中国该修宪了!

যদি চীনা শ্রমিকদের নিজ অধিকার রক্ষার জন্য ‘আত্মহত্যা’ এবং ‘ধর্মঘট’ এর মধ্যে যে কোন একটিকেই বাছাই করতে হয়, তাহলে দয়া করে নৈতিক মানুষ হয়ে উঠুন এবং তাদেরকে ধর্মঘট কার অধিকার পালন করতে দিন, দয়া করে তাদের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে দিন!

“সময়ের সাথে উন্নতি” এই শ্লোগান চীনে ২০ বছর ধরে টিকে ছিল। মুক্ত দরজা পন্থা (১৯৮২-২০১২) তার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন করছে এবং সিসিপি এর ১৮তম জাতীয় সম্মেলন ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হবে। পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) এর সংবিধানে ধর্মঘটের অধিকার রহিত করা উচিৎ হবে না। চীনের সংবিধান সংশোধনীর এটাই সময়।

সম্প্রতি জুনে হোন্ডা কোম্পানির শ্রমিকদের ধর্মঘট পালনের পর, অনেকেই ইতিবাচক ভাবে আশা করেন যে শ্রমিক ধর্মঘট অচিরেই চীনের শ্রমিকদের জন্য একটা সুন্দর পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে হবে যা তাদের কাজের পরিবেশ আরও সুন্দর করে তুলবে। লিন দা মিন মূল ধারার প্রচারমাধ্যম “ধর্মঘট” (罢工) বিষয়টি তাদের রিপোর্টে ব্যবহার করা শুরু করেছেঃ

由于种种因素,一直以来,“罢工”只是个历史名词和法律名词。现实中,对于工人这一争取权益的方式,别说少有发生,就是有,类似出租车司机罢工,也往往以“集 体喝下午茶”这样的奇怪方式表达,至多是一个听起来温柔一些的“罢运”。事实上,媒体在关注本田中国工人罢工一事上,也有微妙之处。比如,本田中国员工 “走向操场”、“停工”……在些许犹豫之后,“罢工”一词终于出现在新闻报道和标题里。这是一个进步的信号。

অনেক কারনে “ধর্মঘট” শব্দটি সর্বদা ঐতিহাসিক ও আইনী উপাত্ত হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। বাস্তবে, যদিও কর্মীরা তাদের দাবী দাওয়া পূরনে কঠোর আন্দোলনে নামেও তবে তাও ভিন্নধারায় উপস্থাপন করা হয়, যেমন যদি কোন ক্যাব চালকেরা ধর্মঘট ডাকে তবে তা দেখানো হতো “তারা একটা বৈকালিক চা পর্বের ব্যবস্থা করেছে” কিংবা “চারাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।” বাস্তবতা এই যে, প্রচারমাধ্যমই প্রথমে হোন্ডা কর্মীদের ধর্মঘটকে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহার করেছিল “খেলার মাঝে পদব্রজ”, “কারখানা উৎপাদন বন্ধ করেছে” শিরোনামগুলো। নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্বিধা ও সতকর্তা অবলম্বন শেষে তারা “ধর্মঘট” শব্দটি পত্রিকার শিরোনামে ব্যবহার শুরু করেছে। এটাও উন্নয়নের একটি ধাপ।

যাই হোক, এই ইতিবাচকতা শীঘ্রই চলে আসবে। “ ধর্মঘট” (罢工) শব্দটি একটি রাজনৈতিক নাজুক শব্দ হয়েই টিকে আছে। প্রধান সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে এটাকে সেন্সর আর ফিল্টার করে রাখা হয়েছে। নিচে বাইদু তাইয়েবা (একটি স্ব উদ্ভুত ফোরাম) তে সার্চ দিলে স্ক্রীনে যা দেখা যায় তা দেখানো হয়েছে “ধর্মঘট:। নোটে লেখা থাকে: “ আমি দুঃখিত, প্রচলিত আইনকানুন অনুসারে, এই ফোরাম, খোলা যাবে না।” সকল প্রধান ওয়েব পোর্টালেই এই ধরনের ফলাফল দেখা যায়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .