আজারবাইজান: বাকু বিশ্বের সব থেকে উঁচু পতাকা…আর শক্তিশালী একটা বাতাসকে স্বাগতম জানিয়েছে

source: http://raufray.wordpress.com/

উৎস: http://raufray.wordpress.com/

ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের বিশাল খরচ বহনের পরে আর বাৎসরিক পুষ্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের পরে, তেল সমৃদ্ধ আজারবাইজান বিশ্বকে অবাক করেই যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গত সপ্তাহে রাজধানী বাকুতে বিশ্বের সব থেকে উঁচু পতাকা উত্তোলন করা হয়

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আর গিনিস বুক অফ রেকর্ড নিশ্চিত করছে – এই পতাকা ১৬২ মিটার উঁচু পোলে উড়ছে যার ব্যাস ৭০ আর ৩৫ মিটার। পুরো জিনিসটির ওজন ২২০ টন, যেখানে পতাকার ওজন বিশাল ৩৫০ কিলো।

এই প্রকল্পটির পৃষ্ঠপোষক ট্রাইডেন্ট সাপোর্ট নামে একটি আমেরিকান ফার্ম, আর আজারবাইজানের আজেনকো কোম্পানি এটাকে কাজে পরিণত করেছে।

তবে, মূল আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থা যেমন বিবিসি আর ইউরোনিউজ এই মাল্টিমিলিয়ন ডলার প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখায়, তবে পরবর্তীতে এই পতাকার কি হয়েছে তা আর দেখানো হয়নি। এটি পূর্বের উত্তর কোরিয়ার বিশ্বের সব থেকে উঁচু পতাকার রেকর্ড ভঙ্গ করলেও বাকুর প্রচন্ড বাতাসে দাঁড়িয়ে থাকতে অসমর্থ হয়।


Bayraq Endirme
ভিডিও সোগানবাসের সৌজন্যে – ডেইলিমোশন

ইউটিউব, ডেইলিমোশন, ফেসবুক আর বিভিন্ন ব্লগ এই সংবাদের ব্যাপারে মন্তব্য করে। এর মধ্যে একটি ছিল দি ইফেক্টিভ যা পতাকার একটি ভিডিও পোস্ট করে এটা উত্তোলনের দুই দিন পরে ছিঁড়ে যাওয়ার পরে, আর জানিয়েছে যে প্রতিস্থাপন করা পতাকারও একই অবস্থা ছিল।

Gecə güclü küləyin təsirindən şappıldayan bayrağın səsinə bir neçə dəfə oyanıb baxdım bayrağa. Yaxşı görünürdü Bakı küləyində dalğalanan bayraq.

Hələ bayraq rəsmi olaraq ucaldılmazdan əvvəl dəfələrlə məşq prosesinə baxmışdım və fikirləşirdim ki, görəsən bu böyüklükdə bayrağı Bakının küləyində saxlayacaq dirəyin mühəndislik işi hansı səviyyədədir.

[…]

Amma səhər işə tərəf addımlayarkən yarıya endirilmiş bayrağı artıq deşilmiş və ətəyinin cırılmış olduğunu gördüm. Bəlkə də bu normal hal olardı(dır) əgər bayraq 3 ilə, bir xeyli insanın yaşayış və iş yeri bahasına, bu qədər səs-küylü açılış və reklam, bir topa da pul bahasına başa gəlməsəydi. Çünki yanından keçdiyim insanlar bayrağa baxıb pıçıldaşır, başlarını bulayır, ciddi nəzərlə bunu müzkirə edirdilər. İşə gəldim və email zənciri də bundan bəhs edirdi. Müharibənin başlama xəbəri, zəlzələ, ADNA-da terror zamanı da ətrafımdakı insanlar təxminən eyni reaksiyanı vermişdilər. Bilmirəm niyə… Amma təəssüflənənlər az idi. Bilirəm niyə…

[…]

Elə bilməyin ki, bu fövqəladə vəziyyət nəzərə alınmamışdı və yedək bayraq nəzərdə tutulmamışdı. Tutulmuşdu, amma bir “balaca” hesablama səhvi ilə. İkinci bayraq da elə qaldırmamışdan cırıldı. Özü də birincidən daha faciəvi vəziyyətdə.

আমি মাঝে মাঝে পতাকার শব্দের ঘুম থেকে উঠে যেতাম যা বাতাসে পতাকা ওড়ার কারনে হয়। আপনি পরিষ্কারভাবে এটা উড়তে দেখতে পাবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগের মহড়া আমি দেখেছি আর ভেবেছি যে পতাকার পোলের শক্তি আর স্থায়ীত্ব কত হতে পারে এই বিশাল পতাকাকে বাকুর বাতাসে তুলে ধরার জন্য।

[…]

তবে আমি যখন কাজে যাচ্ছিলাম আমি পতাকাটা দেখেছি অর্ধনমিত, ফুঁটো আর ছেঁড়া অবস্থায়। হয়তো এটাই স্বাভাবিক যদি এই পতাকা তৈরি হতে তিন বছর সময় না লাগতো মানুষের করের অর্থে, আর আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর প্রচারণায় প্রচুর অর্থ ব্যয় না হতো। আমার পাশ দিয়ে যাওয়া মানুষও পতাকা দেখে ফিসফিস করছিলেন, হতাশায় তাদের মাথা নাড়ছিলেন আর এটাকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করছিলেন। মানুষের এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ছিল যুদ্ধের কথা শুনলে, ভূমিকম্প বা তৈল একাডেমিতে সন্ত্রাসের কথা শুনলে যেমন প্রতিক্রিয়া হয় তেমন। আমি জানি না কেন, খুব মানুষ এর জন্য আফসোস করছিলেন। আসলে আমি জানি কেন…

[…]

আপনার কি মনে হয়না এই দুর্ঘটনা আর পতাকাকে প্রতিস্থাপন করা আগে থেকে ভাবা হয়নি? এটা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু একটা ‘ছোট’ জিনিষ বাদ দিয়ে। দ্বিতীয় পতাকাটাও ছেঁড়া ছিল, আর প্রথমটার থেকে আরো খারাপভাবে।


Yedek bayragi qaldirma cehdi
ভিডিওসোগানবাসের সৌজন্যে – ডেইলিমোশন।

আজারবাইজানে অবস্থিত আরেকটি রাজনৈতিক – ব্যাঙ্গাত্মক ব্লগ এক্রেব ব্লগ এই পতাকার ছবি পোস্ট করেছে আর তা নিয়ে লিখেছেন বেশ কয়েকটা পোস্টে এই বলে যে এর বিশাল মূল্য যথাযথ ছিলনা এটা দেখতে যে এটা ছিঁড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুই দিনে নামানো হবে।

Dünən 2 şəhidin dəfn günü Bakıda “Bayraq meydanı”nda uzundraz və 30 milyon nuş edən bayrağın açılışı oldu. Bu gün isə Bakı küləyi bu haqsızlıqlara dözməyib Bayrağımızı nuş etdi.

গতকাল দুই শহীদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে, ‘পতাকা স্কোয়ার’ এ বিশাল পতাকার উদ্বোধনী হয় যার জন্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। আজকে বাকুর বাতাস এমন অন্যায় সহ্য করতে পারেনি আর আমাদের পতাকা এর বদলে খেয়ে নিয়েছে।.

ক্ষতিগ্রস্ত পতাকার ভিডিও আবার ফেসবুকে পোস্ট করা হয় আর অনেক তরুণ আজারবাইজানির প্রতিক্রিয়া ঋণাত্মক ছিল। অবশ্যই, ক্ষতির তিন দিন পরে, অনেকের ফেসবুকে এই ব্যাপারে স্ট্যাটাস দেয়া ছিল।

অনেকে ধারণা করেছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভের বাকুতে ভ্রমণের আগে এই পতাকা উত্তোলন করা হয় রাশিয়ার আর প্রতিবেশী দেশের সামনে আজারবাইজানের অর্থনৈতিক শক্তি দেখানোর জন্য।

অন্যরা তর্ক করেছেন যে নভেম্বরের শুরুতে হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনের আগে এই অনুষ্ঠান করা ভুল হয়েছে।

যদিও অনেকে আছেন এমন যারা গর্ব অনুভব করেছেন, আবার অনেকে বিরক্ত হয়েছেন অযাচিত খরচের কারনে যা এই পতাকার জন্য করা হয়েছে, বিশেষ করে যখন তারা বলেছেন যে কয়েক দিন আগে ন্যুনতম মাসিক বেতন খুব কম পরিমানে বাড়ানো হয়েছে। এখন সেটা ৮৫ এজেডেন (প্রায় ৮২ ইউরো)।

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .