সৌদি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাকে উদ্দেশ্য করে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে যাতে তাকে অনুরোধ করা হয়েছে সৌদি কারাবন্দী হুমাইদান আল তুর্কীকে মুক্তি দেবার জন্যে। কলোরাডোর এক পিএইচডি ছাত্র আল তুর্কিকে ২৮ বছরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে তার কাজের মেয়ের উপর নির্যাতন করার জন্যে।
তার মুক্তি চেয়ে এই অভিযান শুরু হয় যখন তরুণ উকিল নাজিব আলজামিল এক বছর আগে একটি আর্টিকেল লিখেন “ফেসবুক ব্যবহারকারীরা.. ওবামার কাছে একটি বার্তা: হুমাইদানকে মুক্ত করে দিন,” এই শিরোনামে। এই ফেইসবুক ক্যাম্পেইনে ১৮০০০ জনেরও বেশী যোগ দেয়। আম্মুহাননাদ আলকাদামের তোলা একটি স্বল্পদৈর্ঘের ভিডিও দেখা দর্শকের সংখ্যা মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ২ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এই স্বল্পদৈর্ঘের ক্লিপে নামকরা সৌদি ব্যক্তিত্বদের দেখা যায়, ধার্মিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয় ক্ষেত্রেরই। এটি আলতুর্কির মেয়েরও বক্তব্য তুলে ধরে, যিনি তার বাবার সাথে বেড়ে ওঠার ইতিহাস বলেন। এই বার্তাটি আরব সমাজে দ্রুত ছড়িয়েছে এবং এই ভিডিওটি ফেসবুক, টুইটার আর টাম্বলার, সব ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পাতায়ই সৌদিরা পোস্ট করে যাচ্ছে। ক্যাম্পেইনটির ফেসবুক পাতায় নুন মোহাম্মেদ লিখেছেন:
আসির আলমাহবা এই ক্যাম্পেইনের প্রশংসা করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে এটি আমেরিকার রাষ্ট্রপতির কানে পৌঁছাবে।
এছাড়াও এই ক্লিপ এবং ক্যাম্পেইনের খবর স্থানীয় সংবাদপত্রে ঠাঁই পেয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রও এটি তুলে ধরেছে, যেমন সিএনএন আইরিপোর্ট।
ফেসবুকে এই ক্যাম্পেইনের সমর্থকরা বেশী পরিমাণ আমেরিকান নাগরিকদের কাছে এটি তুলে ধরছে এবং তাদেরকে এই খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে দেবার জন্যে অনুরোধ করছে।
সোয়াইয়ার নোয়াইয়ার এর মতে ওকলাহোমা স্টেট তার ফেসবুক ভক্তদের এই ক্লিপটি পাঠিয়েছে।
তবে অনেক সৌদি নাহরিকই এই ভিডিও এবং এতে যাদের তুলে ধরা হয়েছে তাদের নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। ফেসবুকের ক্যাম্পেইন পাতায় আব্দুলারাহনা আলজাসের ভিডিওতে আলসাফার নামে একজন শিয়া ব্যক্তিত্বের উপস্থিতির ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন:
আর টুইটার থেকে সৌদিলইয়ার এই স্বল্পদৈর্ঘের ভিডিও সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছেন: