মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ: হ্যারিকেন আর্ল-এর প্রভাব
অনুবাদগুলো
গতকাল (৩০শে আগস্ট) মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে হ্যারিকেন আর্লআ> বয়ে যায় এবং ব্লগাররা এই সম্পর্কে তাদের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা জানিয়ে চলেছেন। জামাইকার প্রবাসী ব্লগার লাব্রিশ, “যাঁর ওই দ্বীপপুঞ্জে কয়েকবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে”, সেখানে তাঁর পরিচিতদের জন্য উদ্বিগ্ন:
আমি দ্বীপপুঞ্জের সমস্ত বসবাসকারীর জন্য প্রার্থনা করি যে, আর্ল তোমাদের প্রচুর ক্ষতি হওয়া থেকে অব্যাহতি দেয় এবং দ্রুতগতিতে আর্ল-এর পথ অনুসরণকারী ঐ ফিওনা যেন তোমাদের পাশ কাটিয়ে যায়।
উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ তাঁর আছে: মাই বার্বাডোজ ব্লগ, আর্ল-এর ইতিমধ্যেই ক্যাটেগরি ৪ শক্তিতে পরিণত হওয়ার কথা উল্লেখ করে নাসার নভচারী ডগলাস এইচ হুইলক-এর তোলা একটি টুইটপিক ছবিকে যোগ করে সরলভাবে মন্তব্য করেছে:
এটি একটি বিশালাকার জন্তু!
নিউজ অফ সেন্ট জন-এর সবিরাম সংবাদ প্রদান কিছুটা কাজে দিয়েছে (যদিও এই ব্লগার মনে করেন যে দ্বীপপুঞ্জের ফেডেরাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি নিজেই কিছুটা বেশী সাহায্য করতে পারত), এবং স্টর্মক্যারিব.কম “প্রচুর মানুষ তাদের নিজেদের বাসস্থান থেকেই সংবাদ পাঠাচ্ছেন” প্রকাশ করে আরো কিছু তথ্য প্রদান করে। গতকাল বিকেল ৩:৩০ নাগাদ সাইটে প্রকাশিত:
সেন্ট জন, ইউএসভিআই-এর অনেক বাসিন্দার কাছ থেকে সর্বশেষ পাওয়া খবর হল- কিছু শাখা প্রশাখা ভেঙে পড়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত হ্যারিকেন আর্ল যাওয়ার সময় খুবই কম ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ৪০ মাইল বেগে দমকা হাওয়া চলার খবর পাওয়া গেছে এবং তা এখনও চলছে, কিন্তু বৃষ্টি খুবই কম। বিদ্যুৎ কখনো আছে কখনো নেই, প্রধানত নেই এখন। ইন্টারনেটও অনিয়মিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে।
এই ঝড়ের শক্তি এবং পূর্বাভাস অনুসারে পরবর্তী কিছু ঘন্টায় কী হয় তা আগ্রহোদ্দীপক হবে।
ঐ পরবর্তী কিছু ঘন্টা প্রত্যাশার তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভাল খবর নিয়ে আসে; একটি উড়ে যাওয়া ট্রান্সফর্মার এবং আনুমানিক ১১০ মাইলের কাছাকাছি বেগে প্রবল হাওয়া ছাড়া কোন বড় ক্ষতির কথা জানা যায়নি। পরিবেশ খুব তাড়াতাড়িই শান্ত হতে শুরু করে:
আমি যাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি তাদের সবারই এখনো হার্ড-লাইন টেলিফোন পরিসেবা রয়েছে-এবং এটা খুবই সুখবর। উল্লেখযোগ্য কোন খবর পেলে আমি জানিয়ে দেব। আমরা আনন্দিত যে আমাদের বন্ধুরা ঝড় সামলে নিয়েছে।
দুর্ভাগ্যক্রমে, ব্লগটি পরবর্তীকালে কিছু ক্ষতির খবর পায়:
আমার বোন ও ভগ্নীপতি সেন্ট জন-এ বসবাস করে, (কন্ট্যান্ট অঞ্চল)… এইমাত্র বোনের সাথে ফোনে কথা হল। সে বলেছে যে ঝড়ের মাত্রা বেড়ে যায় রাত ৯টার পর। একটি ঘরের চাল উড়ে যায়, প্রচন্ড বৃষ্টি। মাঝরাতের পর বিদ্যুত চলে যায়। একটি গাছ তাদের বাড়ির তার ছিঁড়ে দেয়, ডব্লুএপিএ বলেছে তারা সকালেই পৌঁছে যাবে, কিন্তু ঝড়ের বেগ এখনো প্রচন্ড বেশী।
লিভ দা লাইফ-ও ঝড় কেমন ছিল তার চিত্তাকর্ষক বিবরণ দেয়:
আমরা এখনো টিকে আছি, উড়ে যাইনি… আইওয়ালটি দুপুর ৩টে নাগাদ চলে যায় এবং বাতাস আর বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। জে ছুটে গিয়ে আমাদের একজন নৌকারোহী বন্ধুকে তুলে নেয় যাতে সে এসে আমাদের সাথে থাকতে পারে। সে জানায় যে সে কিছু গাছ ভাঙা শাখাপ্রশাখা সহ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখেছে এবং কিছু যায়গায় জল বয়ে গেছে কিন্তু সার্বিকভাবে তেমন খারাপ কিছু নয়।
বিকেল ৬টা নাগাদ হাওয়া এবং বৃষ্টি সারা দিনের তুলনায় তীব্রতর ভাবে শুরু হয়। এবং পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে তা আসছিল, যা ছিল আমাদের সুরক্ষা বলয়। ব্যাপারটা অত্যন্ত খারাপ ছিল। কিন্তু এখন ৯টার সময় পরিস্থিতি অতটাও খারাপ নয়। বৃষ্টি এখনো হচ্ছে এবং বায়ুপ্রবাহের শব্দ শোনা যাচ্ছে যদিও তীব্রতা বিশেষ কিছু নয়।
ব্লগটির সর্বশেষ পোষ্ট-এ (আজ সকালের), দেব এবং জে লিখেছেন:
আমরা আর্ল-কে কাটিয়ে এসেছি ভালভাবেই.. সমুদ্র শান্ত হয়েছে কিন্তু জল এখন এক অদ্ভুত জলজ রঙ। আমার মনে হয় প্রবল মন্থনের জন্য। এখনো সামান্য বাতাস বইছে কিন্তু শেষ এক ঘন্টায় পরিবেশ নাটকীয়ভাবে শান্ত হয়ে গেছে। সর্বতোভাবে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক 🙂
এখনো দেখা বাকী পুয়ের্তো রিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেমনভাবে প্রভাবিত হয়।