ইরান: ব্লগারের বিরুদ্ধে হয়ত “স্রষ্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার” অভিযোগ আনা হতে পারে

^[1]

অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছে যে জেলে থাকা মানবাধিকার কর্মী, ব্লগার এবং ইরানের কমিটি অফ হিউম্যান রাইটস রিপোর্টার্স ওয়েবসাইটের সম্পাদক শিভা নজর আহারিকে ^[2]সামনে হয়ত মোহারবেহ ^[3](স্রষ্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা/ স্রষ্টার সাথে শত্রুতা) নামক অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারে।

এই অভিযোগে ইরানে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত প্রদান করা হয়।

শিভা নজর অহারির আইনজীবী মোহাম্মদ শরিফ তার মক্কেলের ব্যাপারে চিন্তা প্রকাশ করেছেন ^[4]। তিনি মনে করছেন সামনে আহারির বিরুদ্ধে মোহারেবেহ মত বড় ধরনের অভিযোগ আনা হবে।

১৪ জুন, ২০০৯-এ আহারি তার নিজের দপ্তরে গ্রেফতার হন। তাকে ১০২ দিন আটকে রাখার পর ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে ২০০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তাকে জামানত প্রদান করা হয়। গ্রেফতার হবার পর ৩৩ দিন সে এক নিঃসঙ্গ কক্ষে কাটায়। আহারি, ২০ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে পুনরায় গ্রেফতার হন। এরপর থেকে কোন বিরতি ছাড়াই তাকে জেলে বন্দী করে রাখা হযেছে এবং কেন তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেনি।

তার দ্বিতীয় দফা বিচারের শুনানী আগামী ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

“আমি ইরান ছেড়ে যাব না”

নীচের এই সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র, বন্দী দশা থেকে মুক্ত হবার নজর আহারির অবস্থা তুলে ধরেছে। আহারি বলছে, যে কোন মূল্যে সে ইরানে থাকতে চায়। সে বলছে, সে মনে করি এখানে তার কর্মকাণ্ডের সর্বোচ্চ প্রভাব তৈরি হবে।

এখানে একটি ছবি রয়েছে ^[5] যা রাস্তার টোকাই এবং শিশু শ্রমিকদের সহায়তার জন্য নজর আহারির প্রদান করা স্বেচ্ছাশ্রমের সময় তোলা।

^[6]

ইরানী ব্লগার আরমান সাবজ লিখেছে ^[7] [ফারসী ভাষায়]:

যদি তারা আহারিকে স্রষ্টার শত্রু বলে অভিহিত করে…তাহলে এরপর কার পালা…। একদিন তারা আমাদেরকেও একই ভাবে অভিহিত করবে…যদি তোমরা আশা কর যে একজন অতিমানব বীর আসবে, আর এসে তোমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে, সে ক্ষেত্রে তারা আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের একে একে জেলে ভরবে।

আজাদ বাসহিম নামক আরেক ব্লগার লিখেছে ^[8][ফার্সী ভাষায়] যে যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, তারপরে শিভা এক বিপদের মধ্যে রয়েছে এবং সে তার উপর তৈরি করা চাপ প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।