এক মাসেরও বেশী সময় আগে প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের পদত্যাগের পরে ফেডারেল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নেপাল এখনো নেতাবিহীন ভাবে চলছে। এর মধ্যে চার চারটি নির্বাচন পরিষ্কার কোন বিজয়ীকে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে, পরবর্তী নির্বাচন হবে ১৮ই আগস্ট।
ম্যাকার্থার ফাউন্ডেশনের এশিয়া সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ ব্লগে অনিমেশ রাউল বলেছেন যে পঞ্চম বার নির্বাচন কোন সমাধান আনতে পারবে বলে মনে হয়না।
“ঐক্যমতের প্রধানমন্ত্রী বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কোন আশা নেই যতক্ষণ না মূল দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছায় যা এই মুহূর্তে বেশ অসম্ভব। মাধব কুমার নেপাল ঠিকই বলেছেন, পঞ্চম বারের নির্বাচনেও সম্ভাবনা খুব কম যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য এখনো আছে। দুর্ভাগ্যক্রমে প্রত্যেক দল বিজয়ী হতে চাচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরো কিছুদিন থাকবে। এই মুহূর্তে দুটো রাজনৈতিক দল নেপালের এই রাজনৈতিক সমস্যাতে কিছুটা সমাধান আনতে পারে: ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’ (সম্মিলিত মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল) আর মাধেসে অবস্থিত চারটে দলের জোট ‘সম্মিলিত গণতান্ত্রিক মাধেসি ফ্রন্ট'। মাধেসিরা মার্কসিস্ট নেতা প্রচণ্ডের জন্য ভোট দিতে চাচ্ছে, কিন্তু তারা সেটা করতে পারছে না যেহেতু বাইরের কিছু শক্তি এই ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তে বাধা দিচ্ছে। আর ইউএমএল তাদের জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠনের দাবিতে অনড়। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাওবাদীরাও সরকার গঠনে গুরুত্ব দিচ্ছে না। মনে হচ্ছে বিলম্ব আর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাতে তাদের সুবিধা হয়।”
বর্তমানের জটিল রাজনৈতিক গোপন আতাত ও চুক্তির পরিবেশ আর মতাদর্শ নির্ভর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বার্থপরতা আরো জটিল রুপ নেয় যখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কাঠমান্ডুতে বিশেষ প্রতিনিধি শ্যাম সরনকে পাঠায়।
নেপালে ভারতের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রদূত সরন অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন তার সময়কালে দেশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ আর কূটনৈতিক সীমা লঙ্ঘনের জন্য। এখন যেহেতু নতুন দিল্লী তাকে কাঠমান্ডুতে পাঠিয়েছে ‘সমাধানকারি‘ হিসাবে, মাওবাদি আর ডানপন্থী জাতীয়তাবাদীরা শক্ত হাতিয়ার পেয়েছে নেপাল কংগ্রেস আর কমিউনিস্ট পার্টির কোন প্রস্তাব আটকানোর (ইউনাইটেড মাক্সিস্ট আর লেনিনিস্ট)- যাদেরকে দেখা হচ্ছে সরনের ভ্রমণের সাথে সম্পর্কিত হিসেবে।
ব্লগাররা এটাও আলোচনা করছেন যে ভারত কি প্রতিনিধি পাঠাতে পারে নেপালের অভ্যন্তরীণ স্পর্শকাতর বিষয় আলোচনার জন্য, আমন্ত্রণ ছাড়া? নেপালী ভাষার ব্লগ মাইসংসারে দিপক বলেছেন:
“शरण यसरी आउन मिल्छ कि मिल्दैन। धेरैले शरणलाई माओवादी र तत्कालिन सात दलबीचको भारतको राजधानी दिल्लीमा १२ बुँदे सहमति हुँदा सहजीकरण गरेका व्यक्ति भनी प्रचार गरेका छन्। त्रिभुवन विमानस्थलमा बुधबार अपराह्न उत्रिएलगत्तै भारतीय प्रधानमन्त्री मनमोहन सिहको विशेष दूत भएर आएको शरणले गर्वसाथ बताएका थिए। तर कुनै पनि देशको आन्तरिक मामिलामा त्यो देशले नबोलाईकन विदेशबाट विशेष दूत आउन मिल्ने हो कि होइन? भन्नेमा चर्चा हुन आवश्यक छ। यदी कसैले बोलाएको हो भने; कसले बोलाएको हो? उसले प्रष्ट पार्नुपर्यो। यदी होइन भने हाम्रा नेताहरुले हामी आँफै मिल्न सक्छौं तपाइको आवश्यकता छैन भनिदिए कति राम्रो हुन्थ्यो होला।”
রাজত্ব প্রথার অনুরাগীরাও এই পরিস্থিতি থেকে লাভ করছে আর দাবী করছেন যে ভারতের নাক গলানো আর প্রভাব বিস্তারের সাথে লড়ার জন্য রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। হামরো ব্লগে অনিল ভক্ত খারেল বলেছেন যে রাজতন্ত্রই পূর্বে অন্তত বিদেশী প্রভাব প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল:
“नेपालको सन्दर्भमा २४० वर्षदेखि शाहवंशले नेपालरुपी घर विग्रन–भत्कन दिएको थिएन। जस्तोसुकै अप्ठ्यारा परिस्थितिमा पनि आफ्नो स्वाभिमान बचाईराखेको थियो। राष्ट्रद्रोहीले भारतमा गएर नाकाबन्दी लगाउन लगाए पनि नेपाली जनतालाई जहाजमा तेल र खाद्यान्न पदार्थ ओसारेर खुवाएकै थिए। जनतासामु झुक्ने तर विदेशीको पाउ कहिल्यै नमोल्ने राजसंस्था जनतासामु झुक्यो। तर नेपाली जनताले त्यस्तो राजसंस्थालाई अझै चिन्न सकेका छैनन।”
মাওবাদী আর রাজকীয়রা যখন বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যাকে ব্যবহার করছেন নিজেদের ফায়দার জন্য আর সুবিধা পেতে, নেপালের অর্থনীতি আর আইন শৃঙ্খলা ক্রমে খারাপ হচ্ছে। নেপালের সব থেকে বড় ছুটি দাশিন সামনে। আশা করা যায় মানুষ তখন কিছু উদযাপন করার মত পাবে।